শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক

চায়ের দোকানটায় গিজগিজে ভিড়। ফুল ভলিউমে একটা টিভি চলছে। হিন্দি ছবির একটা রংটাপ্পা গান হচ্ছে। লোকজন চোখ ঢুকিয়ে দেখছে। আজকাল রাস্তার ধারের চায়ের দোকানগুলোয় টিভি থাকা মামুলি ব্যাপার। সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের ছ্যাবলামো সিনেমা। বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান সিনেমার রমরমা বাজার। টিভির গানের শব্দ ফুঁড়ে মাঝে মধ্যে চাওয়ালার চা ছাঁকনি দিয়ে চা ছাঁকার ‘খট খট’ শব্দ কানে এসে ঠেকছে। তার মাঝে ঠেলা দিয়ে উঠছে ভিড়ের গুঞ্জন। চাটায়ের দেওয়াল খামচে বাদুড়ের মতো লেজ বের করে ঝুলছে অন্ধকার। রাত এখনো সরের মতো ঘন না হলেও, সর হওয়ার জন্যে উৎলাতে শুরু করেছে। ধোঁয়া দিয়ে যাচ্ছে গোধূলির শেষ টান। আর ঘণ্টাখানেক গেলেই আলখাল্লার মতো পা অবদি ঝুঁকে নামবে অন্ধকার। গেঁড়ে বসবে রাত। চায়ে একটা ‘সুড়ুৎ’ করে চুমুক দিয়ে নবী বলল, “আমার কিন্তু তোর সঙ্গে যাওয়া হবে না।“
“যাওয়া হবে না, মানে!” ভ্রূ টান করল আতিফ। ফিসফিস করে নবী বলল, “আমি বালুখালি চৌকি আক্রমণে যাব।“
“কেন? তুই যে বললি, তুই বালুখালি চৌকি আক্রমণে যাবি না। ওতে জুনাইদ মোল্লার স্বার্থ জড়িয়ে আছে। হিতে ভালোর থেকে খারাপই বেশি হবে।“
“হ্যাঁ, তা বলেছিলাম, কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম, বালুখালি চৌকি ধ্বংস না করলে, মিয়ানমার সেনার কাছে আমাদের আর জে এফ’এর শক্তির ঝাঁঝ দেওয়া যাবে না। ওদের বুঝিয়ে দিতে হবে যে, আর জে এফ, রাখাইন দখল করেই ছাড়বে। আরে, আর জে এফ তো জুনাইদ মোল্লার বাপের সম্পত্তি নয়? আর জে এফ রোহিঙ্গাদের সংগঠন, রাখাইনকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে জীবন বাজি রেখেছে। সুতরাং, আর জে এফ তো আর দোষ করেনি। যিনি দোষ করেছিলেন, বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন, তলে তলে কু-ফন্দি এঁটেছিলেন, তাকে তো এ দুনিয়া থেকে আউট করে দিয়েইছি। সুতরাং ওই ষড়যন্ত্রের চ্যাপ্টার এখন বাসি। তা ছাড়া, বালুখালি চৌকির উপর আমার ব্যক্তিগত রাগ জড়িয়ে আছে, সেটা তো তুই ভালো করেই জানিস। যেকোনো মূল্যে এই চৌকিটাকে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করতেই হবে।“
“শুধু কি তোর একা, আমারও বংশের রক্ত লেগে আছে ওখানে।“
“সুতরাং তোকে একাই, নয়াপাড়া যেতে হবে। আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখেন, তবে নিশ্চয় আবার দেখা হবে, ইনশাল্লাহ।“ চায়ের শেষ চুমুকটা দিল নবী। চা’টা পান করার পর শরীরটা বেশ ফুরফুরে লাগছে। আতিফও গ্লাসটায় শেষ চুমুক দিল। চায়ের বিল মিটিয়ে দিয়ে, বেঞ্চ ছাড়ল দুজনে। ট্রাকটার দিকে যেতে যেতে আতিফ বলল, “ট্রাকটার কী করবি?”
“থানচির কাছে লোক অপেক্ষা করছে। ট্রাকটা ওদের হাতে হস্তান্তর করে দেব। তারপর আমরা সাঙ্গু নদী ডিঙিতে করে পেরিয়ে ওপারে অটোরিকশা ধরে চলে যাব বান্দারবান।“

আতিফ একবার ভাবল, জিজ্ঞেস করি, থানচির কাছে যারা ট্রাকটার জন্যে অপেক্ষা করছে, তারা কারা? তাদের পরিচয় কী? আবার পরক্ষণেই ভাবল, কী দরকার অত ঘাঁটাঘাঁটি করার। যেটা চেয়েছিলাম, সেটা হয়েছে, ব্যস, এই ঢের। থপ থপ করে হেঁটে তারা দুজনে ট্রাকটার কাছে এল। চালকের আসনে নবী আর খালাসির আসনে আতিফ। ভুউভুউ করতে করতে একবার জোরে গ-অ করে উঠল ট্রাকটা। এক লাদা কালো ধোঁয়া ছেড়ে গড়াতে শুরু করল গেরুয়া রঙের দশ চাকা মালবাহী গাড়িটা। ধোঁয়ায় আবছা হয়ে উঠল পেছনের নম্বরপ্লেট। বডিতে আঁকা সবুজ রঙের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটার গায়েও বয়ে যাচ্চে কালো ধোঁয়ার হাওয়া-ঢেউ। ধীরে ধীরে ট্রাকটাকে গিলে খেয়ে নিল, চট্টগ্রাম-বান্দরবান মহাসড়কের ওপর বিছানা পেড়ে শুয়ে থাকা রাতের অন্ধকার। ব্যাকলাইটের লাল আলোটা সূর্য থেকে চাঁদ, চাঁদ থেকে তারা, তারপর তারা থেকে ধীরে ধীরে বিন্দু হয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।

আট
একেবারে কাক ভোরে বিছানা ছাড়ল আতিফ। পাশের ঘরে নবীকে ডাকতে গিয়ে দেখল, সে আগেই ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে বসে আছে। ফজরের আযান আসন্ন।
“কী রে কখন উঠলি?” চোখ দল্লাতে দল্লাতে জিজ্ঞেস করল আতিফ। তার চোখে তখনও ঘুমের আবেশ লেগে আছে।
“ঘুম থেকে উঠব কী রে! ঘুমই তো আসেনি। মানুষ যদি জেনে যায় যে, তুমি আগামীকাল মরবে, আজ ভালো করে ঘুমিয়ে নাও, তার চোখে ঘুম কি আসবে?”
“নবী!” চোখ পাখির ডিমের মতো থির হয়ে যায় আতিফের।
“হ্যাঁ, আমি ঠিকই তো বলছি। কে আর স্বেচ্ছায় মরতে চায়? যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে, সেও গলায় দড়ি দিয়ে যখন ঝুলে পড়ে, তখন বাঁচার জন্যে ছটফট করে। পায়ের নিচে একটা সাপোর্ট পাওয়ার জন্যে ধড়ফড় ধড়ফড় করে তড়পায়।“
আতিফ কিচ্ছু বলে না। নবীর কথাবার্তায় তার চোখমুখ গাবফলের মতো হয়ে উঠছে! অতি ধীরে পা তুলে তুলে নবীর পাশে গিয়ে বসল আতিফ। নবীর পিঠে হাত রাখল। বন্ধুর শরীরের ছোঁয়া পেয়ে নবীর অন্তরটা ডুকরে উঠল। নবী চোখ ছলছল চোখে বলল, “আয়, একবার কোলাকুলি করে নিই। এটাই হয়ত এজীবনের শেষ কোলাকুলি।“ হাউমাউ করে কেঁদে উঠল নবী। আতিফ নবীকে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ডুকরে উঠল। দুজনের কান্নার স্বর যখন ভোরের ঝুঝকি ভেদ করে চার দেওয়ালে ধাক্কা খেতে লাগল, তখনই দূরের পাহাড়ি গ্রামটা থেকে মুয়াজ্জিনের গলায় ফজরের আজান ভেসে এল। কান্নার স্বরের সঙ্গে আযানের ধ্বনি মিশে ভোরটাকেই যেন কাঁদিয়ে দিচ্ছে। জানালার কাঁচ ঝাপসা। মিহি কুয়াশা পড়ে ভিজে গেছে। আসলে ভোর কাঁদছে। কেঁদেছে রাতের আকাশ। মানুষের কাঁদনে প্রকৃতিও যে কাঁদে। প্রকৃতির চোখেও কষ্টের অশ্রু ছলছল করে। দুজন দুজনকে ধরে ফোঁপাতেই থাকল। প্রথম মাথা তুলল নবী। বলল, “চল, ওজু করে নিই। আযান দিয়ে দিল।“
আতিফ কোনমতেই ছাড়ে না। হুকের মতো দৃঢ়ভাবে জাপটে ধরে থাকে। “ছাড়, ওজু করতে হবে।“ ঝাঁকানি দেয় নবী। আতিফ কথা কান’ই করে না। তার গাল চুইয়ে থুতনি বেয়ে নবীর ঘাড়ে এসে টসটস করে পড়ছে অশ্রু। নবী বুঝতে পারে, আতিফ একেবারে ভেঙে পড়েছে। সে আতিফের পিঠে হাত চাপড়ে শান্তনা দেয়। ভেজা গলায় শান্ত করে বলে, “কী আর করা যাবে বল, আমরা যে মুজাহিদ। আমাদের ভেঙে পড়লে তো হবে না। মৃত্যুই যে আমাদের অলংকার।“
“মৃত্যু ছাড়া কি কোন সমাধানই নেই? মৃত্যু ছাড়া কেন কোনও স্বাধীন দেশ পাওয়া যায় না?” মুখ তোলে আতিফ। তার গাল চুইয়ে পড়ছে অশ্রু।
“’দেশ’ তো দূরের কথা মৃত্যু ছাড়া এক কাঠা জমিও পাওয়া যায় না। এ তুইও জানিস, আমিও জানি। চল চল, এখন আবেগ সংবরণ কর। তোরও লেট হয়ে যাবে। তোকেও তো সূর্য ওঠার আগেই বের হতে হবে।“ বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে নবী। আতিফ হাত দিয়ে চোখের জল মোছে। চোখ মুছতে মুছতে নবীর মাথার বালিশটার দিকে চোখ পড়ে যায় আতিফের। ভেতরটা ‘থক’ করে ওঠে। বালিশটা ভিজে জুবুথুবু। বোঝায় যাচ্ছে, নবী সারারাত কেঁদেছে। কেঁদে কেঁদে সাদা রঙের বালিশটাকে ভিজিয়ে কাদা করে ফেলেছে। তার শরীরের সমস্ত জল ‘অশ্রু’ হয়ে বেরিয়ে গেছে। মানুষের শরীরের জল যখন চোখের জল হয়ে যায়, তখন সে মানুষের হৃদয় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ভেতরের কলকব্জা ঢিলেঢালা হয়ে পড়ে। মানুষ তখন বাইরে লোহালক্কড় হলেও ভেতরে গলা মোম হয়ে যায়। বাইরে পাথর কঠিন হলেও ভেতরে ঠুনকো কাঁচ হয়ে যায়, যাতে আলতো করে একটু ঠোকা দিলেই মর্মর করে ভেঙে পড়ে। নবীর এখন সেই দশা। বাইরে যতই মুজাহিদ, জেহাদ, ইহকাল পরকাল করুক না কেন, ভেতরে আসলে ওই গলা মোম। পলিমাটির মানুষ। দুজনে ওজু করে, ঘরের আয়তাকার ডাইনিং’এ জায়নামাজ পেতে নামাজে দাঁড়িয়ে গেল। জানালার কপাটে উঁকি দিচ্ছে আশ্বিনের ভোর। গা সিড়সিড় করা ফিনফিনে কুয়াশার আলো-ছায়া। দুই রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নত নিয়ে মোট চার রাকাতের নামাজ, সালাতুল ফজর। ফরজ নামাজ শেষে একবার মোনাজাত ধরল নবী। আতিফও মোনাজাতের জন্যে আল্লাহর দরবারে হাত তুলল। মোনাজাত ধরে কেঁদে ফেলল নবী। চোখের জল টসটস করে ঝরে পড়তে লাগল হাতের তালুতে। কথা বের হচ্ছে না। শুধু ফুঁপিয়ে যাচ্ছে। আতিফও গুঙিয়ে উঠছে। তারা এমনভাবে কাঁদছে, যেন তাদের কান্না সহ্য করতে না পেরে বাইরের আকাশও কুয়াশা হয়ে কাঁদছে।

নামাজ শেষ হওয়ার পরেও কিছুক্ষণ জায়নামাজের ওপর হাঁটু পেড়ে চোখ বুঁজে বসে থাকল নবী। আতিফ জায়নামাজটা গুটিয়ে কাঠের আলমারিতে রেখে বলল, “আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন।“ চোখ খুলল নবী। মিনমিন করে বলল, “আল্লাহ তো আমাদেরকে অন্য কোনো কাজের জন্যেও পৃথিবীতে পাঠাতে পারতেন? এই ‘মারা আর মরা’ কাজ ছাড়া।“ কোমর তুলে হুকের মতো বেঁকে ছাপড়িয়ে জায়নামাজটা গোটাতে গোটাতে আরও বলল, “আল্লাহ যদি সব ভালোর জন্যেই করেন, তবে দুনিয়াই পাপ কাজ কেন হয়? সবকিছুর সঙ্গে আল্লাহকে জড়িয়ে দিলে হবে না। আল্লাহ তো হায়াত-মহুত আর রুজি ছাড়া প্রায় সবই মানুষের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। মরণের ষড়যন্ত্র পাকায়ও মানুষ আবার সে ষড়যন্ত্রের গোড়ায় ধোঁয়াও দেয় মানুষ। ফন্দিফেউর মানুষ করে আর দোষ হয় আল্লাহর। আমরা হয়ত ভুলে যায়, আল্লাহ নিজে কোনো কিছুর দোষ নেবেন না। পৃথিবীর সব ‘কারণ’এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে হয় প্রকৃতি না হয় মানুষ।“ জায়নামাজটা আলমারিতে রেখে ‘কচ’ করে আলমারির পাল্লাটা লাগিয়ে দিল। গুটি গুটি পায়ে আতিফের দিকে এগিয়ে এল। আতিফের ঘাড়ে হাত রেখে বলল, “আমি তোর জন্যে আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া করলাম। তুই যেন তোর আব্বা-মা-ভাইয়েদের খুঁজে পাস। তোর আব্বা যেন সুস্থ থাকেন।“ কাটা গাছের গুঁড়ির মতো ধসমসিয়ে ভেঙে পড়ল আতিফ। নবীকে জড়িয়ে ধরল। হাউমাউ করে ডুকরে উঠল, “আমি আল্লাহর কাছে তোর জন্যে সারারাত কেঁদেছি। তোর ‘মিশন’ যেন সফল হয়। তুই যেন সুস্থ সবল বেঁচে ফিরে আসতে পারিস। আল্লাহ যেন এত তাড়াতাড়ি আমাদের চিরদিনের মতো বিচ্ছিন্ন না করে দেন।“

“জানে বেঁচে ফিরে আসি আর না আসি, আমাদের এই আত্মবলিদান কখনো বিফল হবে না। আমাদের স্বপ্ন সফল হবেই। আমরা স্বাধীন ‘রাখাইন রাষ্ট্র’ পাবই।“ কণ্ঠ ইস্পাতের মতো দঢ় হয়ে ওঠে নবীর। বুকের সিনা ফুলে উঠছে। চোখের জল আগুনের ফুলকিতে বদলে যাচ্ছে। এতক্ষণের ভেজা ভুষভুষে কণ্ঠ কামারশালার হাপরের মতো গনগন করছে। সেই আগুনে ‘জেহাদের’ ঘি পড়ে ছ্যান করে উঠল, “আমার মৃত্যু যেন শয়তান মিয়ানমার সেনাদের ধ্বংসের কারণ হয়ে ওঠে। মায়ানমার সরকারের মাথার ওপর যেন জাহান্নাম নেমে আসে। তাদের দশা যেন ‘বনী ইসরাইল’দের মতো হয়। আল্লাহর গজব নেমে আসে। তাদের বংশ নির্বংশ হয়ে যায়। বংশে প্রদীপ জ্বালানোরও যেন কেউ না থাকে। পৃথিবীর মানচিত্র থেকে যেন এই নরখাদক জাতি চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।“

চলবে...

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক