রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ | ২৩ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বই আলোচনা

মোস্তফা কামালের ‘জননী’: জীবনের অনন্য আখ্যান

‘মা’ আমাদের সবারই অনুভূতির একটি বড় অংশ জুড়ে থাকেন সবসময়। তাই হয়তো পৃথিবীর অধিকাংশ কবি-লেখক মাকে নিয়ে লিখেছেন অসংখ্য অনুভূতি ও ভাবনা। মাকে নিয়ে ভাবনার জায়গাগুলো বোধহয় জগতের সবারই এক। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোস্তফা কামালও মাকে নিয়ে লিখেছেন ভিন্নমাত্রিক উপন্যাস। তাতে তুলে ধরেছেন জননীর অবিনশ্বর ও চিরন্তন অবয়ব। উপন্যাসের পাতায় পাতায় মেলে ধরেছেন জীবনের অনন্য এক আখ্যান।

মোস্তফা কামাল লেখালেখির স্বপ্নে বিভোর থাকা একজন স্বপ্নময় মানুষ। বলা যায়, সাহিত্যের প্রেমে বিভোর পুরুষ তিনি। এ প্রেম কিংবা স্বপ্নের হাত ধরেই তিনি লিখেছেন অসংখ্য বই। তার একটি ভিন্নধর্মী সৃষ্টিকর্ম ‘জননী’। উপন্যাসের গল্পটি গড়ে উঠেছে একজন দুঃখী মায়ের জীবনের গল্প নিয়ে। গল্পটির মূল চরিত্রে মধ্যবিত্ত এক মমতাময়ী মা সানজিদা বেগম। তার স্বামী মোহাম্মাদ আলীর সংসারের প্রতি দায়িত্ব পালনে প্রচণ্ড অনীহা। ঘটনাক্রমে একসময় তার স্বামী পীরের দরবারে আশ্রয় গ্রহণ করলে শুরু হয় শিশুদের নিয়ে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকা একা এক নারীর লড়াই।

একসময় স্বামীকে খুঁজে পেলেও তিনি সংসার পরিচালনায় অপরাগতা প্রকাশ করলে মানসিক যন্ত্রনায় ও সন্তানদের ভবিষ্যতের চিন্তায় ভেঙ্গে যেতে যেতেও আকড়ে ধরেন মাটি, সন্তান কিংবা সংসার। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের সময় ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে সামান্য নুনের জন্যেও তাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে, পাড়ি দিতে হয়েছে একাই এক বিশাল সমুদ্র। যেখানে হাত ছুঁয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ার মতোন ছিল না কেউ। বরং বিভিন্নভাবে নিকট আত্মীয়দের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন মা সানজিদা বেগম। তবুও হাল ছেড়ে না দিয়ে সংসার বৈঠা ধরেছেন আরও শক্ত ভাবে আরও প্রবল চিত্তে।

উপন্যাসের এক পর্যায়ে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে খুব কম বয়সে বড় ছেলে ইকবালের বিয়ে করার মধ্য দিয়ে গল্পে সন্তানদের মাতৃ-বৃত্তের বাইরে যাওয়ার সূচনা হয়। মা কেন্দ্রীক জীবনের বাইরে শুরু হয় অন্য এক জীবন, জগত ও কঠিন বাস্তবতার গল্প। এ গল্পে লেখক মোস্তফা কামাল উন্মোচিত করেন আমাদের অজস্র পরিবারের ভেতরকার নিত্যদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা। গল্পের একসময়ে প্রিয় সন্তানের মায়ের প্রতি অবহেলা, পুত্রবধূর কারণে সংসারে বিভিন্ন বিবাদ-বিচ্ছেদ সৃষ্টি এবং ছোট ভাইবনদের প্রতি বড় ভাইয়ের অবহেলার ছবি পর্যায়ক্রমে স্পষ্ট হতে থাকে এবং তাদের জীবনের বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্ত।

লেখক মোস্তফা কামাল তার ‘জননী’ উপন্যাসে তিন প্রজন্মের গল্প, জীবন যাপন ও বাংলার একটি গ্রামীন যৌথ পরিবারের ভাঙা-গড়ার গল্প তুলে ধরে ধরেছেন। তবে উপন্যাসে একসময় দেখা যায়, মায়ের বৃত্তের বাইরে কেউই যেতে পারেনি। মাকে অবহেলা করার পরিণতি সঙ্গে সঙ্গেই টের পেয়েছে সন্তানেরা। সন্তানেরা দূরে থাকাকালীন তাদের বিবর্ণ জীবনে সানজিদা বেগম হয়ে উঠেছেন আরও গাঢ় রঙ তুলি। মাকে ছেড়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও ব্যর্থ হয়ে আবার সেই মায়ের কোলেই আশ্রয় নিতে হয়েছে তাদের। শুধু সন্তান নয়, নাতনীদেরও আগলে রেখেছেন মমতায়। সব সংকট কিংবা ঘাত-প্রতিঘাতে শেষ দিনটি পর্যন্ত মা-ই প্রবলভাবে আগলে রেখেছে সকল সন্তানকে।

মোস্তফা কামাল তার ‘জননী’ উপন্যাসে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলে ধরেছেন। গল্পে ফুটে উঠেছে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে বাংলার মানুষের দুর্দশা কিংবা একমুঠো খাবারের জন্য সাধারন মানুষের হাহাকারের চিত্র। একটি পরিবারের টিকে থাকার লড়াই ও সময় কিংবা সম্পর্কের বিবর্তন। একজন মা এবং একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে টেনে তুলে ধরার গল্প।

মোস্তফা কামালের ভাবনায় জগত সংসারে সবচেয়ে ত্যাগ স্বীকার করা এক মমতাময়ী জননীর জীবনলেখ্য এই উপন্যাস। যা পৃথিবীর সব সন্তানদের জন্য এক উপযোগী গ্রন্থ। এ উপন্যাসের জননীর ব্যক্তিত্ত্ব আর ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে টিকে থাকার সংগ্রামে জয়ী সানজিদা বেগমের গল্প রয়েছে আমাদের আনাচে-কানাচের প্রতিটি ঘরে। আমাদের প্রত্যেকের মা-ই হয়ত কোনো না কোনোভাবে মোস্তফা কামালের জননী উপন্যাসের সানসিজা বেগমের প্রতিচ্ছবি।

 

জননী
লেখক: মোস্তফা কামাল
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
প্রকাশক: পার্ল পাবলিকেশন্স
দাম: ৪০০ টাকা

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সবসময় সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ভারত সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে শক্তিশালী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

শনিবার (৮ মার্চ) দেশটির বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসকে (আইএএনএস) দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারত সর্বদা তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং বাংলাদেশও আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা সর্বদা আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। কারণ (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) অটল বিহারী বাজপেয়ী বলতেন, আমরা আমাদের বন্ধুদের পরিবর্তন করতে পারি; প্রতিবেশীদের নয়। সুতরাং, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সবশেষ শুক্রবারও (৭ মার্চ) বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশ সমর্থন করি; যেখানে সব সমস্যার সমাধান গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, গুরুতর অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সহিংস উগ্রপন্থীদের মুক্তি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের ‘হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা’র অভিযোগের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ভারত আশা করছে, বাংলাদেশ কোনও ধরনের পার্থক্য না করেই হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনবে।

জয়সওয়াল বলেন, আমরা বারবার গুরুত্ব দিয়ে বলেছি যে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।

এর আগে, গত মাসে ওমানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সতর্ক করেন ভারতের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Header Ad
Header Ad

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে তদন্ত কমিশন

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে তদন্ত কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।

শনিবার (৮ মার্চ) এ বিষয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কমিশন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ১৫ জন ব্যক্তিকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যাদের ডাকা হয়েছে, তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, ৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের তৎকালীন অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ শামসুল আলম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মঈন উ আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক মহাপারিচালক (ডিজি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) নূর মোহাম্মদ ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে সাক্ষীদেরকে তাদের সুবিধামতো সময়সূচি লিখিতভাবে কমিশনকে জানাতে হবে। সাক্ষীরা ফোন, ইমেইল বা চিঠির মাধ্যমে সময়সূচি কমিশনের কাছে পাঠাতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কোনও সাক্ষী যদি অসহযোগিতা করেন, তবে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন থেকে আইন অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, পদ্ধতিতে সাক্ষ্য দিতে সাক্ষীরা জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে, অথবা অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে পারবেন। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আগ্রহী ব্যক্তিরা মোবাইল: +৮৮০১৭১৪০২৬৮০ বা ইমেইল: commission@bdr-commission.org  এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়া কমিশনের কার্যালয় বিআরআইসিএম ভবন, সপ্তম তলা, (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) ড. কুদরত-ই-খুদা রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫ এসেও সাক্ষী দিতে পারবেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি নারী, একজনের মরদেহ মিলল লেকে

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ভ্রমণে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি নারী। একই কাণ্ডের শিকার হন তার ভারতীয় বান্ধবী ও কর্ণাটকের স্থানীয় একটি হোম-স্টের নারী স্বত্বাধিকারী। তাদের সঙ্গে তিন পুরুষ বন্ধু ছিল। দুজন সাঁতরে প্রাণে বেঁচে গেছেন। একজনের মরদেহ মিলেছে লেকের পানিতে। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণাটকের হাম্পির সানাপুর হ্রদের কাছে তিন জন পুরুষ পর্যটকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা দুই নারী পর্যটকের উপর হামলা চালায় একদল লোক। এ সময় দুই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও লুটপাট চালানো হয়।

শনিবার (৮ মার্চ) কোপ্পালের পুলিশ সুপার রাম এল আরাসিদ্দি বলেন, দুই নারী এবং তিন জন পুরুষ হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু'জন বিদেশি - একজন আমেরিকান, অন্য একজন ইসরায়েলের। আরেকজন নারী ছিলেন ট্যুর গাইড। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই স্থানীয় বাসিন্দা - মল্লেশ এবং সাই চেতনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া পুলিশকে দ্রুত অপরাধীদের সনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। এক্স পোস্টে লিখেছেন, কোপ্পাল জেলার গঙ্গাবতী তালুকের সানাপুরে একজন ইসরায়েলি নাগরিক এবং স্থানীয় নারীর উপর হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। ঘটনাটি জানার সাথে সাথেই আমি সংশ্লিষ্ট পুলিশের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছি এবং দ্রুত অপরাধীদের সনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।

কর্মকর্তাদের মতে, মোটরবাইকে করে আসা একদল আক্রমণকারী প্রথমে পর্যটকদের কাছে এসে পেট্রোল কেনার ১০০ টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগীরা দিতে অস্বীকার করলে ওই লোকগুলো হিংস্র হয়ে ওঠে, তাদের মারধর শুরু করে। এ সময় তারা পর্যটকদের সঙ্গে থাকা তিন পুরুষকে হ্রদে ফেলে দেয়। এরপ দুই নারীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়।

পিটিআই সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, হ্রদে ফেলে দিলে সেখান থেকে দুই পুরুষ পর্যটক - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও মহারাষ্ট্রের একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তৃতীয় জন ওড়িশার লোকটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

থানায় দায়ের করা মামলার তথ্য অনুসারে, স্কুটার নিয়ে সানাপুর হ্রদের কাছে দুর্গাম্মা গুড়ি মন্দিরের কাছে তুঙ্গভদ্রা হ্রদের বাম তীরে গিয়েছিলেন পাঁচ পর্যটক। রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে তারা খালের ধারে বিশ্রাম নিচ্ছিল, গিটার বাজছিল এবং পরিবেশ উপভোগ করছিল। ঠিক তখনই মোটরসাইকেলে করে একদল এসে হামলে পড়ে তাদের ওপর। ধর্ষণের পর তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল এবং নগদ টাকাও কেড়ে নেওয়া হয়।

সম্প্রতি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে স্পেনের এক পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বহু পর্যটক।

গত বছর ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় ২৮ বছর বয়সী এক বিদেশি নারী এবং তার স্বামী লাঞ্ছিত হন। এশিয়াজুড়ে মোটরবাইক ভ্রমণের ইতিহাস নিয়ে ইনস্টাগ্রাম পেজ পরিচালনাকারী এই দম্পতি তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।

গত মাসেও গোয়া শহরে ২৮ বছর বয়সী এক বিদেশি তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ৩১ বছর বয়সী এক ভারতীয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে তদন্ত কমিশন
ভারতে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি নারী, একজনের মরদেহ মিলল লেকে
নারী দিবসে জ্যাকলিনের চমক! এই প্রথম বাংলা গান গাইলেন অভিনেত্রী (ভিডিও)
ঈদে যেভাবে মিলবে টানা ৯ দিনের ছুটি
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী বিথি গ্রেপ্তার
ভারতের শেয়ারবাজারে ট্রিলিয়ন ডলারের ধস, মধ্যবিত্তের মাথায় হাত
টাঙ্গাইলে মৃতপ্রায় গরু জবাই করে মাংস বিক্রি, কসাইকে জরিমানা
মুম্বাইয়ের সম্পত্তি বিক্রি, তবে কি বলিউড থেকে বিদায় নিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা?
মুশফিককে বিদায়ী সংবর্ধনা দেবে বিসিবি
ইফতার মাহফিল স্থগিত করলো বিএনপি
আমুর কোটিপতি এপিএস আজাদের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে দুদক
বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
চুয়েটে মাদক সেবনকালে দুই আবাসিক হলের ১৩ শিক্ষার্থী আটক
জুলাই অভ্যুত্থানে ১১ নারী শহীদ হয়েছেন: উপ‌দেষ্টা আসিফ মাহমুদ
সাতক্ষীরায় পুকুরে মাছ ধরায় চাচার লাঠির আঘাতে ভাইপোর মৃত্যু
আজম খানের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তিতে যা বললেন মেয়ে অরণী খান
বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা পাচ্ছেন গ্রেফতারের ক্ষমতা  
নারীর রমজান ও রোজার বিধান
মাগুরায় আলোচিত শিশু ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় তিন দিন পর মামলা