শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশটার দিকে তাকাই, দেশ তো সেই একটাই

কয়েক বছর থেকে দেখতে পাচ্ছি সারা দেশে সাম্প্রদায়িকতা ক্রমাগত বাড়ছে, মানুষের আচরণ সহিংস এবং অসহিষ্ণু হচ্ছে, অন্ধবিশ্বাস ও আবেগে ভাসছে তরুণদের একটি অংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইউটিউব এবং টিকটকের মতো ভিডিও ভাগাভাগির প্ল্যাটফর্মে রুচির নিম্নগামিতার একটা প্রদর্শনী চলছে। এর বিপরীত চিত্রও আছে। হাওর অঞ্চলের বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষকে যখন শুধু মিডিয়া মনোযোগে রেখেছে, ১০০ কোটি টাকার মালিকদের রাডারে তাদের কোনো অস্তিত্বও যখন ধরা পড়েনি, কিছু তরুণই তাদের সহায়তায় এগিয়ে গেছেন। কিন্তু এই বিপরীত চিত্রটি এখন আর তিন দশক আগের মতো উজ্জ্বল নয়। উজ্জ্বল বরং উচ্ছৃঙ্খলতা, সহিংসতা, ঔদ্ধত্য এবং বীভৎসতার প্রাত্যহিক চিত্র। পদ্মা সেতু যেদিন সব যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হলো, কয়েক ঘণ্টায় যা ঘটল সেতুতে, সেগুলোর খণ্ড খণ্ড ছবি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আমরা দিনে দিনে কত রুচিহীন হচ্ছি। বোধ ও বুদ্ধিহীন হচ্ছি। কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, সে বিচারটাও আমরা হারিয়ে ফেলছি। এ ছবিগুলো হাসি-তামাশার নয়, ভয়ানক এক সংকটের, যা থেকে কারও পরিত্রাণ মিলবে না।

‘সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কি আমরা পরাজিত হচ্ছি?’ পরাজিত না হলেও আমরা যে ক্রমাগত ভূমি হারাচ্ছি, তা তো খুবই স্পষ্ট। একসময় সংস্কৃতি ছিল সপ্রাণ, এর চর্চা তরুণদের দিত সক্রিয়তার পাঠ, যা সহজেই সংস্কৃতির অঞ্চল থেকে প্রসারিত হতো রাজনীতি, সমাজচিন্তা এবং গণমানুষের অধিকার রক্ষার নানা কাজকর্মে। এখন সংস্কৃতি আক্রান্ত, এর পরিমণ্ডল সংকুচিত। আমি একজন সাধারণ নাগরিক ও শিক্ষক হিসেবে কিছু উদ্বেগের কথা বলেছিলাম, যার ভিত্তি সেই ১৯৭৪ সাল থেকে আমার শিক্ষকজীবনের নানা অভিজ্ঞতা।

একসময় শিক্ষকেরা ছিলেন, যাকে বলে মানুষ গড়ার কারিগর। এটি ছিল অনেকের ব্রত। তাঁদের সমর্থন দিত সমাজ। কারণ সমাজ জানত, আলোকিত না হলে সত্যিকার মানুষ হওয়া যায় না। কিন্তু দিনে দিনে আলোটা ম্রিয়মাণ হতে থাকল। এখন সমাজে, সমাজ নিয়ন্ত্রণে, ক্ষমতার নানা অবস্থানে এমন সব মানুষ আছে, যারা মানুষ-অমানুষ পার্থক্যটাও বোঝে না। শিক্ষকদেরও মোটাদাগে সেই পরিবর্তন স্পর্শ করেছে। শিক্ষকতাকে ব্রত হিসেবে নিয়েছেন কতজন, সেই হিসাব নিতে গেলে কষ্ট পেতে হবে। একটি সমাজে যখন জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার, সৃষ্টিশীলতায় এবং মানবিক সক্রিয়তায় উৎকর্ষ অর্জনের বিচারে সাফল্য মাপা হয় না; বরং অর্থ, ক্ষমতা এবং পণ্য পৃথিবীতে টিকে থাকার চালাকি আয়ত্ত করার সক্ষমতার পাল্লায় মাপা হয়, তখন মানুষ গড়ার কারিগরদের প্রয়োজন হয় না।

যেদিন প্রাইভেট টিউশন করে শিক্ষকেরা স্কুল-কলেজ থেকে পাওয়া সামান্য বেতনের বেশি উপার্জন করতে শুরু করলেন, বোঝা গেল মুখস্থনির্ভর, পরীক্ষাসর্বস্ব এবং সনদমুখী শিক্ষারই জয় হচ্ছে। এই শিক্ষা এ দেশের পুঁজি ও পণ্যবাজার, আইনশৃঙ্খলা, প্রশাসন ও নানা অফিসপাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ জোগান দিতে পারে, কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানের হালফিল চর্চা, নতুন নতুন প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী চিন্তার জোগান দেওয়া এবং চতুর্থ শিল্পযুগের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ তৈরিতে সক্ষম হবে না। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা ক্রমাগত পেছাব। কত দিন আর আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক সরবরাহ করে যাব, সস্তায় তৈরি পোশাক জোগান দিতে পারব? বিজ্ঞানীরা যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে চূড়ান্ত একটা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে শ্রমিকদের এবং পোশাককর্মীদের কাজগুলো প্রকৃত অর্থেই হাতছাড়া হয়ে যাবে। যদি সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা, সহিংসতা ও রুচিহীনতা রপ্তানিযোগ্য পণ্য হতো, তাহলে একটা কথা ছিল, আমরা ভালোই টিকে থাকতাম। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া, সাংস্কৃতিক শিক্ষা ছাড়া যাতে সভ্যতা, সহিষ্ণুতা আর মানবিকতার পাঠ দেওয়া হয়—সেগুলোর চর্চা না করে আমরা কীভাবে বৈশ্বিক এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করব?

যে শিক্ষকেরা এই পাঠগুলো দেবেন, তাঁরা আজ বিপন্ন, অথবা নিরুৎসাহিত, অথবা বিভ্রান্ত। কারণ যাঁরা একটু মুক্তচিন্তার কথা বলেন, নিয়মানুবর্তিতা আর শৃঙ্খলার কথা বলেন, সাম্প্রদায়িকতা আর সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ান, তাঁদের কী পরিণতি হয়, তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বললেন, যা অনেক দেশের স্কুলের ছাত্ররাও জানে। তাঁকে যেতে হলো কারাগারে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে এক শিক্ষককে পুলিশ প্রশাসনের সামনে গলায় জুতার মালা পরানো হলো। এরপরও প্রাণভয়ে পালিয়ে থাকতে হলো তাঁকে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেরি হয়েছে ঠিকই, সেটিও না হলে ওই শিক্ষকের প্রাণনাশও হতে পারত। আশুলিয়ায় এক শিক্ষক আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ায় স্কুল কমিটির প্রভাবশালী সভাপতির নাতি স্টাম্প দিয়ে তাঁকে পিটিয়ে মেরে চার দিন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেল। আবারও সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। যদি প্রতিবাদ না হতো? আমরা তো জানি প্রভাবশালীরা আইনের হাত ছোট করে দিতে পারেন।

শিক্ষকদের ওপর যেসব নিগ্রহ চলছে, নিষ্ঠুরতা দেখানো হচ্ছে, তার কয়েকটা সংযুক্তি আছে। একটা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, যার সহজ শিকার সংখ্যালঘু শিক্ষকেরা। তাঁদের ওপর হামলা হলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যায়, সাম্প্রদায়িকতার স্রোতটা প্রবল রাখা যায়, আবার শিক্ষকদের অবস্থানটা দুর্বল করে দেওয়া যায়। শিক্ষকদের অবস্থান দুর্বল করে কার লাভ? প্রশ্নটা তুলে আমরা যদি সেই অবিশ্বাস্য সময়ের দিকে তাকাই, যখন পাকিস্তানিরা জানত শিক্ষকেরাই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ তৈরি করেছেন তাদের পথে, তাহলে উত্তরটা পেয়ে যাব। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড. শামসুজ্জোহা থেকে নিয়ে পাকিস্তানিদের সেবক নানা বাহিনীর হাতে নিহত শিক্ষকদের (যাঁদের হাত-পা-চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রায়েরবাজারে) নিয়ে তাদের ভয় ছিল। তারাও বুঝত শিক্ষকেরা বিপদ, কারণ তাঁরা আলো ছড়ান। আলো ছড়ানো কমল, যখন টিউশন বাণিজ্য সম্প্রসারিত হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা রাজনীতিতে নাম লেখালেন এবং ছাত্ররাজনীতির পেশির অনুবর্তী হলেন। এখন অনেক সরকারি শিক্ষক নিজেদের শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। আরেকটা দিক হচ্ছে, শিক্ষকতা পেশাটাকে দুর্বল করে সহিংসতাকে চলমান করে দেশটাকে মেধাহীন করার একটা চলমান চর্চা। কারা এই চর্চা করছে, আমরা তা অনুমান করতে পারি। তাদের একটা অংশ চাইছে নতুন প্রজন্মকে পণ্যবাজারের (যাতে শিক্ষা থেকে নিয়ে স্বাস্থ্য, সবই ঢুকে যাচ্ছে) ভোক্তায় পরিণত করা, যাতে লোভের সংস্কৃতিটা সব সংস্কৃতি থেকে ছাপিয়ে ওঠে।

এখন যাঁরা শিক্ষক নির্যাতনসহ সব অন্যায় অবিচারকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, ভাবছেন তাঁদের সন্তানেরা থাকবে দুধে–ভাতে, আমেরিকা-কানাডায়, দয়া করে দ্বিতীয়বার ভাবুন। যেসব আলামত আমরা দেখছি, তা যে সংকট সৃষ্টি করবে মূল্যবোধের, সভ্যতার, মানবিকতার, তা একটা প্রবল স্রোতের মতো সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। বিদেশও এখন আর নিরাপদ নয়। বিপদ সবখানেই। তার চেয়ে বরং দেশটার দিকে তাকাই। দেশ তো সেই একটাই।

 

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত