বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেশটার দিকে তাকাই, দেশ তো সেই একটাই

কয়েক বছর থেকে দেখতে পাচ্ছি সারা দেশে সাম্প্রদায়িকতা ক্রমাগত বাড়ছে, মানুষের আচরণ সহিংস এবং অসহিষ্ণু হচ্ছে, অন্ধবিশ্বাস ও আবেগে ভাসছে তরুণদের একটি অংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইউটিউব এবং টিকটকের মতো ভিডিও ভাগাভাগির প্ল্যাটফর্মে রুচির নিম্নগামিতার একটা প্রদর্শনী চলছে। এর বিপরীত চিত্রও আছে। হাওর অঞ্চলের বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষকে যখন শুধু মিডিয়া মনোযোগে রেখেছে, ১০০ কোটি টাকার মালিকদের রাডারে তাদের কোনো অস্তিত্বও যখন ধরা পড়েনি, কিছু তরুণই তাদের সহায়তায় এগিয়ে গেছেন। কিন্তু এই বিপরীত চিত্রটি এখন আর তিন দশক আগের মতো উজ্জ্বল নয়। উজ্জ্বল বরং উচ্ছৃঙ্খলতা, সহিংসতা, ঔদ্ধত্য এবং বীভৎসতার প্রাত্যহিক চিত্র। পদ্মা সেতু যেদিন সব যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হলো, কয়েক ঘণ্টায় যা ঘটল সেতুতে, সেগুলোর খণ্ড খণ্ড ছবি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আমরা দিনে দিনে কত রুচিহীন হচ্ছি। বোধ ও বুদ্ধিহীন হচ্ছি। কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, সে বিচারটাও আমরা হারিয়ে ফেলছি। এ ছবিগুলো হাসি-তামাশার নয়, ভয়ানক এক সংকটের, যা থেকে কারও পরিত্রাণ মিলবে না।

‘সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কি আমরা পরাজিত হচ্ছি?’ পরাজিত না হলেও আমরা যে ক্রমাগত ভূমি হারাচ্ছি, তা তো খুবই স্পষ্ট। একসময় সংস্কৃতি ছিল সপ্রাণ, এর চর্চা তরুণদের দিত সক্রিয়তার পাঠ, যা সহজেই সংস্কৃতির অঞ্চল থেকে প্রসারিত হতো রাজনীতি, সমাজচিন্তা এবং গণমানুষের অধিকার রক্ষার নানা কাজকর্মে। এখন সংস্কৃতি আক্রান্ত, এর পরিমণ্ডল সংকুচিত। আমি একজন সাধারণ নাগরিক ও শিক্ষক হিসেবে কিছু উদ্বেগের কথা বলেছিলাম, যার ভিত্তি সেই ১৯৭৪ সাল থেকে আমার শিক্ষকজীবনের নানা অভিজ্ঞতা।

একসময় শিক্ষকেরা ছিলেন, যাকে বলে মানুষ গড়ার কারিগর। এটি ছিল অনেকের ব্রত। তাঁদের সমর্থন দিত সমাজ। কারণ সমাজ জানত, আলোকিত না হলে সত্যিকার মানুষ হওয়া যায় না। কিন্তু দিনে দিনে আলোটা ম্রিয়মাণ হতে থাকল। এখন সমাজে, সমাজ নিয়ন্ত্রণে, ক্ষমতার নানা অবস্থানে এমন সব মানুষ আছে, যারা মানুষ-অমানুষ পার্থক্যটাও বোঝে না। শিক্ষকদেরও মোটাদাগে সেই পরিবর্তন স্পর্শ করেছে। শিক্ষকতাকে ব্রত হিসেবে নিয়েছেন কতজন, সেই হিসাব নিতে গেলে কষ্ট পেতে হবে। একটি সমাজে যখন জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার, সৃষ্টিশীলতায় এবং মানবিক সক্রিয়তায় উৎকর্ষ অর্জনের বিচারে সাফল্য মাপা হয় না; বরং অর্থ, ক্ষমতা এবং পণ্য পৃথিবীতে টিকে থাকার চালাকি আয়ত্ত করার সক্ষমতার পাল্লায় মাপা হয়, তখন মানুষ গড়ার কারিগরদের প্রয়োজন হয় না।

যেদিন প্রাইভেট টিউশন করে শিক্ষকেরা স্কুল-কলেজ থেকে পাওয়া সামান্য বেতনের বেশি উপার্জন করতে শুরু করলেন, বোঝা গেল মুখস্থনির্ভর, পরীক্ষাসর্বস্ব এবং সনদমুখী শিক্ষারই জয় হচ্ছে। এই শিক্ষা এ দেশের পুঁজি ও পণ্যবাজার, আইনশৃঙ্খলা, প্রশাসন ও নানা অফিসপাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ জোগান দিতে পারে, কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানের হালফিল চর্চা, নতুন নতুন প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী চিন্তার জোগান দেওয়া এবং চতুর্থ শিল্পযুগের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ তৈরিতে সক্ষম হবে না। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা ক্রমাগত পেছাব। কত দিন আর আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক সরবরাহ করে যাব, সস্তায় তৈরি পোশাক জোগান দিতে পারব? বিজ্ঞানীরা যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে চূড়ান্ত একটা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে শ্রমিকদের এবং পোশাককর্মীদের কাজগুলো প্রকৃত অর্থেই হাতছাড়া হয়ে যাবে। যদি সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা, সহিংসতা ও রুচিহীনতা রপ্তানিযোগ্য পণ্য হতো, তাহলে একটা কথা ছিল, আমরা ভালোই টিকে থাকতাম। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া, সাংস্কৃতিক শিক্ষা ছাড়া যাতে সভ্যতা, সহিষ্ণুতা আর মানবিকতার পাঠ দেওয়া হয়—সেগুলোর চর্চা না করে আমরা কীভাবে বৈশ্বিক এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করব?

যে শিক্ষকেরা এই পাঠগুলো দেবেন, তাঁরা আজ বিপন্ন, অথবা নিরুৎসাহিত, অথবা বিভ্রান্ত। কারণ যাঁরা একটু মুক্তচিন্তার কথা বলেন, নিয়মানুবর্তিতা আর শৃঙ্খলার কথা বলেন, সাম্প্রদায়িকতা আর সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ান, তাঁদের কী পরিণতি হয়, তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বললেন, যা অনেক দেশের স্কুলের ছাত্ররাও জানে। তাঁকে যেতে হলো কারাগারে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে এক শিক্ষককে পুলিশ প্রশাসনের সামনে গলায় জুতার মালা পরানো হলো। এরপরও প্রাণভয়ে পালিয়ে থাকতে হলো তাঁকে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেরি হয়েছে ঠিকই, সেটিও না হলে ওই শিক্ষকের প্রাণনাশও হতে পারত। আশুলিয়ায় এক শিক্ষক আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ায় স্কুল কমিটির প্রভাবশালী সভাপতির নাতি স্টাম্প দিয়ে তাঁকে পিটিয়ে মেরে চার দিন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেল। আবারও সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। যদি প্রতিবাদ না হতো? আমরা তো জানি প্রভাবশালীরা আইনের হাত ছোট করে দিতে পারেন।

শিক্ষকদের ওপর যেসব নিগ্রহ চলছে, নিষ্ঠুরতা দেখানো হচ্ছে, তার কয়েকটা সংযুক্তি আছে। একটা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, যার সহজ শিকার সংখ্যালঘু শিক্ষকেরা। তাঁদের ওপর হামলা হলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যায়, সাম্প্রদায়িকতার স্রোতটা প্রবল রাখা যায়, আবার শিক্ষকদের অবস্থানটা দুর্বল করে দেওয়া যায়। শিক্ষকদের অবস্থান দুর্বল করে কার লাভ? প্রশ্নটা তুলে আমরা যদি সেই অবিশ্বাস্য সময়ের দিকে তাকাই, যখন পাকিস্তানিরা জানত শিক্ষকেরাই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ তৈরি করেছেন তাদের পথে, তাহলে উত্তরটা পেয়ে যাব। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড. শামসুজ্জোহা থেকে নিয়ে পাকিস্তানিদের সেবক নানা বাহিনীর হাতে নিহত শিক্ষকদের (যাঁদের হাত-পা-চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রায়েরবাজারে) নিয়ে তাদের ভয় ছিল। তারাও বুঝত শিক্ষকেরা বিপদ, কারণ তাঁরা আলো ছড়ান। আলো ছড়ানো কমল, যখন টিউশন বাণিজ্য সম্প্রসারিত হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা রাজনীতিতে নাম লেখালেন এবং ছাত্ররাজনীতির পেশির অনুবর্তী হলেন। এখন অনেক সরকারি শিক্ষক নিজেদের শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। আরেকটা দিক হচ্ছে, শিক্ষকতা পেশাটাকে দুর্বল করে সহিংসতাকে চলমান করে দেশটাকে মেধাহীন করার একটা চলমান চর্চা। কারা এই চর্চা করছে, আমরা তা অনুমান করতে পারি। তাদের একটা অংশ চাইছে নতুন প্রজন্মকে পণ্যবাজারের (যাতে শিক্ষা থেকে নিয়ে স্বাস্থ্য, সবই ঢুকে যাচ্ছে) ভোক্তায় পরিণত করা, যাতে লোভের সংস্কৃতিটা সব সংস্কৃতি থেকে ছাপিয়ে ওঠে।

এখন যাঁরা শিক্ষক নির্যাতনসহ সব অন্যায় অবিচারকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, ভাবছেন তাঁদের সন্তানেরা থাকবে দুধে–ভাতে, আমেরিকা-কানাডায়, দয়া করে দ্বিতীয়বার ভাবুন। যেসব আলামত আমরা দেখছি, তা যে সংকট সৃষ্টি করবে মূল্যবোধের, সভ্যতার, মানবিকতার, তা একটা প্রবল স্রোতের মতো সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। বিদেশও এখন আর নিরাপদ নয়। বিপদ সবখানেই। তার চেয়ে বরং দেশটার দিকে তাকাই। দেশ তো সেই একটাই।

 

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে এখন থেকে লাগবে পুলিশের অনুমতি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগরে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির আগে এখন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দিনের বেলায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ফলে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। অনেক সময় বিকল্প রাস্তা ছাড়াই খোঁড়াখুঁড়ি করা হয় এবং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জায়গা কেটে ফেলা হয়। এছাড়া, ট্রাফিক সিগন্যাল ও নির্দেশনাসংবলিত সাইনবোর্ড না বসানো, খোঁড়াখুঁড়ির মাটি পাশের লেনে ফেলে রাখা, এবং রাস্তার দুই পাশেই একসঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করার কারণে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

ডিএমপি কর্তৃপক্ষ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

১. ডিএমপি সদর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না।
২. সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ নিষিদ্ধ।
৩. কাজ শুরু ও শেষ করার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
৪. খোঁড়াখুঁড়ির আগে-পরে ২০০ মিটারের মধ্যে ট্রাফিক নির্দেশনা ও সিগন্যাল লাইট স্থাপন করতে হবে।
৫. বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং যথাযথ সংখ্যক জনবল দিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
৬. কোনো অবস্থাতেই একই রাস্তার দুই পাশে একসঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না।
৭. ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রাতে খোঁড়াখুঁড়ি করতে হবে।
৮. সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শেষ করতে হবে এবং পরবর্তী তিন রাতের মধ্যে তা মেরামত করতে হবে।

ডিএমপি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে এবং নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর আগে রমজান মাসে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখার জন্যও ডিএমপি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল।

Header Ad
Header Ad

ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দশক পার হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ রোজার ঈদের সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ করেছে।

বুধবার (১২ মার্চ) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আরব আমিরাতে আগামী ৩০ মার্চ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে। এর ফলে ৩১ মার্চ দেশটিতে ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে।

জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, চাঁদ দেখার বিষয়টি স্থানীয় কমিটি অথবা অফিসিয়াল চাঁদ দেখা কমিটিকে জানাতে হবে। আমিরাতে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যসহ আমিরাতে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হলে এবারের রমজান ৩০টি রোজা পূর্ণ হবে। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় ১ মার্চ থেকে দেশটিতে রমজান মাস শুরু হয়।

খালিজ টাইমস জানিয়েছে, আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি আগামী ২৯ মার্চ শাওয়াল মাসের চাঁদ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করবে। ওইদিন দেশটিতে ২৯তম রোজা পালিত হবে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে রমজানে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ১০ টাকায় ইফতার পাচ্ছেন সুবিধাবঞ্চিতরা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রমজান মাস উপলক্ষে টাঙ্গাইলের শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। সমাজের অবহেলিত ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য মাত্র ১০ টাকায় ইফতার সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের জেলা সদর রোডের ইসলামী পাঠাগারের সামনে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ইফতারের মধ্যে রয়েছে খেজুর, মুড়ি, ছোলা, পিয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপী ও এক বোতল খাবার পানি।

দরিদ্র মর্জিনা বেগম বলেন, “গরীব হওয়ায় ভালো ইফতার করতে পারি না। আজ ১০ টাকায় ইফতার কিনেছি। প্রতিদিন এমন আয়োজন করা উচিত।” শারীরিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক আসলাম মিয়া জানান, “আমি প্রতিদিন ঠিকমত ইফতার করতে পারি না। এত খাবার ১০ টাকায় পেয়ে খুব খুশি।”

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুঈদ হাসান তড়িৎ জানান, “সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা যেন বিনা সংকোচে ১০ টাকায় ইফতার কিনতে পারেন, এজন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। ইতোমধ্যে আমরা ইফতার বিক্রি শুরু করেছি। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এমন আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, মাদ্রাসা, এতিমখানা, দুর্গম চর ও বস্তিতেও ইফতার আয়োজন করা হবে এবং ঈদের আগে দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ বাজার বিতরণ করা হবে। সমাজের বিত্তবানদের এই মহতী উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে এখন থেকে লাগবে পুলিশের অনুমতি
ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ
টাঙ্গাইলে রমজানে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ১০ টাকায় ইফতার পাচ্ছেন সুবিধাবঞ্চিতরা
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করে দিল সরকার
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
টাঙ্গাইলে মুখে লাল কাপড় বেঁধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ
নওগাঁয় আগামী শনিবার খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না: জিএম কাদের
মসজিদে তিন জনকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে রোজা না রাখায় প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ওঠ-বস, নেটিজেনদের ক্ষোভ
বিদেশ থাকা সত্ত্বেও কেন শেখ হাসিনার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা!
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
পাবনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী নিজামীপুত্র মোমেন, বাদ পড়লেন ডা. বাসেত
যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, ভারত ও মোদিকে গালি!
শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস
কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত
লাকিকে গ্রেফতারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল
সারাদেশে বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা
আম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো