সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

বীথিকা এখন কলেজের ছাত্রী। নিজের গ্রামের সৌন্দর্য দুচোখ ভরে উপভোগ করে। শৈশব থেকে গ্রামের পথঘাটে অনেক ঘুরেছে। এখন খুলনার সরকারি কলেজে পড়ে। ছুটিতে বাড়িতে এলে প্রাণভরে তাকিয়ে থাকে গ্রামের চারদিকে। দাকোপ মহকুমার শ্রীনগর গ্রামে তাদের বাড়ি। বাবা হরেন্দ্রনাথ মা মায়ারাণী আর তিন ভাই কৃষ্ণপদ, নিরঞ্জন, অমল সবার সঙ্গে বেশ দিন কাটে বীথিকার। সুন্দরবনের খুব কাছে বলে গ্রামটি ওর ভীষণ প্রিয়। গ্রামটির চারদিকে নদী আছে। দূর থেকে সুন্দরবনের দিকে তাকিয়ে থাকলে মা বলে, তুই কি ভবিষ্যতে গিয়ে থাকবি ওখানে?

-বাঘের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারলে গিয়ে থাকব। গাছপালা নিয়ে ঘুমাব। বাঘ আমাকে পাহারা দেবে। পাখিদের কূজন শুনব ভোরের আলো ফোটার আগে।
-ভালোইতো, কত সুন্দর করে বললি যে আমার মন ভরে গেল।
-মাগো, আমরা একদিন নৌকায় করে সুন্দরবনের ধারে বেড়াতে যাব।
-এখন আর হবে না রে।
-কেন মা?
-রেডিওতে শুনলিনা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। ওই রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করেছে।
-এখন যুদ্ধ শুরু হবে মা। আমার তিনটি ভাই এতই ছোট যে যুদ্ধ করতে পারবেনা।
হরেন্দ্রনাথ মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলে, মাগো এত ভাবিসনা।
-আমাদের এলাকায় পাকবাহিনী আসতে পারবেনা বাবা?
-কেন রে মা?
-এই যে চারদিকে নদী। ওদের বড় বড় গাড়ি কীভাবে আসবে?
-ওরা কি আর পথে আসবে? আমাদের এদিকে আসতে হলে গানবোটে আসবে।
-ঠিক বলেছ বাবা। আমাদেরকে সতর্ক হয়ে থাকতে হবে।
-তুই আর বেশি গ্রামে ঘুরিসনা। বাড়িতে থাকিস।
-হ্যাঁ বাবা থাকব। মায়ের কাছে যাই।
মায়ারাণী রান্না করছে। বীথিকা পেছনে বসে মাকে জড়িয়ে ধরে।
-মাগো এই যুদ্ধের সময় তোমার একটা বাচ্চা হবে। আমার তিন ভাই আছে। আমি এবার একটা বোন চাই।

মায়ারাণী মৃদু হেসে বলে, ভগবান যা দেবে আমি তাকেই বুকে আঁকড়ে ধরব। ভগবান তোর ইচ্ছা পূরণ করলে আমি খুশি হব।

বীথিকা মাকে গভীরভাবে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দেয়।
-ভগবান ভাই বা বোন যা দেবেন আমি তাকেই কোলে তুলে নিয়ে আদর করব মাগো। অমি যাই এখন দেখি ছোট ভাইগুলো কোথায় কি করছে।
-ওদেরকে বেশি দূরে যেতে দিসনা। ঘরে ডেকে নিয়ে আয়।

বীথিকা বাইরে বেরিয়ে চারদিকে তাকায়। কোথাও ওদেরকে দেখা যাচ্ছেনা। ও সামনে আগায়। দেখতে পায় ভদ্রা নদীর ধারে ওর তিন ভাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ওকে দেখে হাত নাড়ায়। কাছে যেতে ডাকে। বীথিকা ছুটে যায় ওদের কাছে।

কৃষ্ণপদ বলে, দিদি দেখ একটা কেমন নৌকা। এর আগে এই নদীতে কখনো দেখিনি।
-কই রে?
-ওই যে দূরে, এখান দিয়েই ওদিকে গেল।
বীথিকা গানবোট দেখে আঁতকে ওঠে।
-এটা আমিও আগে দেখিনি রে। বাবা বলেছে পাকবাহিনী গানবোটে করে আসবে। ওরা তাহলে আমাদের এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে। আয় আমরা বাড়ি যাই। আয় দৌড়াই।

বীথিকা আতঙ্কে অস্থির হয়ে যায়। বাবাকে খবরটা জানাতে হবে যে মিলিটারি আমাদের এলাকায় ঢুকেছে। ও ভাইদের হাত ধরে দৌড়াতে শুরু করে। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল হরেন্দ্রনাথ। মেয়েকে দৌড়াতে দেখে তার বুক কেঁপে ওঠে। ওর সঙ্গেতো ছেলেরা আছে। তাহলে কোনো খারাপ খবর শুনতে হবে না। বীথিকা ওদের নিয়ে ফিরে আসছে। বাতাসে উড়ছে ওর চুল। ওর পেছনে আছে নদী আর চারপাশে সবুজ গাছ-গাছালী। হরেন্দ্রনাথের সামনে একটি অপরূপ দৃশ্য নয়ন জুড়িয়ে দেয়। নিজেকে বলে, আমার মাতৃভূমি। মাতৃভূমির স্বাধীনতা চাই। বঙ্গবন্ধু আপনাকে লাল সালাম। প্রণাম জানাই আপনাকে। আপনি পাকিস্তানের জেলে সুস্থ থাকেন। স্বাধীন দেশে ফিরে আসবেন আমাদের কাছে।
একটু পরেই ফিরে আসে বীথিকা। ছোট ছেলেরা বাবাকে জড়িয়ে ধরে। তিনজনই চেঁচিয়ে বলে, বাবা, বাবা, আজকে নদীতে নতুন নৌকা দেখেছি। একদম অন্যরকম। নৌকায় যারা ছিল তাদের হাতে বন্দুক ছিল।

-থাম, বাবারা, থাম। মারে তুই কি দেখেছিস?
-না, বাবা, আমি যখন গিয়েছি গানবোট তখন অনেক সামনে চলে গেছে। আমি এর জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে ফিরে এসেছি বাবা। ওরা আমাকে দেখেনি।
-ভালো করেছিস। ভগবান, আমাদের রক্ষা করবে। চল, ভেতরে যাই।
সবাই মিলে ঘরে ঢুকে। মায়ারাণী এসব খবর শুনে বলে, আমার মনে হয় ওরা শুধু একা থাকবে না। বাঙালিরাও ওদের সঙ্গে ভিড়বে।
-এসব কথা এখন বলোনা। ভুলে যেওনা যে আমরা হিন্দু। এসব কথা শুনলে আমাদের আশেপাশের মুসলমানরা আমাদের ছাড়বে না।
-অনেকেতো ভারতে চলে যাচ্ছে। আমরাও চলে যাই।
-তাহলে কি আমরা শরণার্থী হব? বীথিকা বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে।
-দুজনেই মাথা নেড়ে সায় দেয়।

মা বলে, এখানে পাকবাহিনীর ঝামেলার মধ্যে না থেকে আমরা শরণার্থী শিবিরে কষ্ট করে থাকব। ওখানেতো কেউ আমাদেরকে প্রাণে মারবেনা। আমার একটি মেয়ে তিনটি ছেলেকে নিয়ে আমরা বেঁচে থাকতে চাই। ওরা যেন বাবা-মায়ে ভালোবাসা নিয়ে বড় হয়।

-আমি মেয়ে। এখানে থাকলে আমার বিপদ বেশি। আমি এখানে থাকব না। কিন্তু আমাদের বাড়িঘরের কি হবে?
-চারদিক বন্ধ করে রেখে যাব।
-যদি আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়?

হরেন্দ্রনাথ বলে, দিতে পারে। যদি দেয় আমাদের কিছু করার থাকবেনা। দেশ স্বাধীন হলে আমরা পোড়া ভিটায় ঘর তুলব।

-বাবা ঠিক বলেছ, তাহলে আমাদের নতুন ঘরে স্বাধীনতার থাকা হবে। নতুন মাটিতে নতুন বাড়ি।
তিনভাই লাফিয়ে ওঠে, নতুন বাড়ি, নতুন বাড়ি। আমরা নতুন বাড়িতে থাকব।
ওরা লাফাতে লাফাতে চেঁচিয়ে ওঠে, ওই যে দেখ নতুন নৌকা যাচ্ছে।

 

 

(চলবে)

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ