বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

বীথিকা এখন কলেজের ছাত্রী। নিজের গ্রামের সৌন্দর্য দুচোখ ভরে উপভোগ করে। শৈশব থেকে গ্রামের পথঘাটে অনেক ঘুরেছে। এখন খুলনার সরকারি কলেজে পড়ে। ছুটিতে বাড়িতে এলে প্রাণভরে তাকিয়ে থাকে গ্রামের চারদিকে। দাকোপ মহকুমার শ্রীনগর গ্রামে তাদের বাড়ি। বাবা হরেন্দ্রনাথ মা মায়ারাণী আর তিন ভাই কৃষ্ণপদ, নিরঞ্জন, অমল সবার সঙ্গে বেশ দিন কাটে বীথিকার। সুন্দরবনের খুব কাছে বলে গ্রামটি ওর ভীষণ প্রিয়। গ্রামটির চারদিকে নদী আছে। দূর থেকে সুন্দরবনের দিকে তাকিয়ে থাকলে মা বলে, তুই কি ভবিষ্যতে গিয়ে থাকবি ওখানে?

-বাঘের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারলে গিয়ে থাকব। গাছপালা নিয়ে ঘুমাব। বাঘ আমাকে পাহারা দেবে। পাখিদের কূজন শুনব ভোরের আলো ফোটার আগে।
-ভালোইতো, কত সুন্দর করে বললি যে আমার মন ভরে গেল।
-মাগো, আমরা একদিন নৌকায় করে সুন্দরবনের ধারে বেড়াতে যাব।
-এখন আর হবে না রে।
-কেন মা?
-রেডিওতে শুনলিনা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। ওই রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করেছে।
-এখন যুদ্ধ শুরু হবে মা। আমার তিনটি ভাই এতই ছোট যে যুদ্ধ করতে পারবেনা।
হরেন্দ্রনাথ মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলে, মাগো এত ভাবিসনা।
-আমাদের এলাকায় পাকবাহিনী আসতে পারবেনা বাবা?
-কেন রে মা?
-এই যে চারদিকে নদী। ওদের বড় বড় গাড়ি কীভাবে আসবে?
-ওরা কি আর পথে আসবে? আমাদের এদিকে আসতে হলে গানবোটে আসবে।
-ঠিক বলেছ বাবা। আমাদেরকে সতর্ক হয়ে থাকতে হবে।
-তুই আর বেশি গ্রামে ঘুরিসনা। বাড়িতে থাকিস।
-হ্যাঁ বাবা থাকব। মায়ের কাছে যাই।
মায়ারাণী রান্না করছে। বীথিকা পেছনে বসে মাকে জড়িয়ে ধরে।
-মাগো এই যুদ্ধের সময় তোমার একটা বাচ্চা হবে। আমার তিন ভাই আছে। আমি এবার একটা বোন চাই।

মায়ারাণী মৃদু হেসে বলে, ভগবান যা দেবে আমি তাকেই বুকে আঁকড়ে ধরব। ভগবান তোর ইচ্ছা পূরণ করলে আমি খুশি হব।

বীথিকা মাকে গভীরভাবে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দেয়।
-ভগবান ভাই বা বোন যা দেবেন আমি তাকেই কোলে তুলে নিয়ে আদর করব মাগো। অমি যাই এখন দেখি ছোট ভাইগুলো কোথায় কি করছে।
-ওদেরকে বেশি দূরে যেতে দিসনা। ঘরে ডেকে নিয়ে আয়।

বীথিকা বাইরে বেরিয়ে চারদিকে তাকায়। কোথাও ওদেরকে দেখা যাচ্ছেনা। ও সামনে আগায়। দেখতে পায় ভদ্রা নদীর ধারে ওর তিন ভাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ওকে দেখে হাত নাড়ায়। কাছে যেতে ডাকে। বীথিকা ছুটে যায় ওদের কাছে।

কৃষ্ণপদ বলে, দিদি দেখ একটা কেমন নৌকা। এর আগে এই নদীতে কখনো দেখিনি।
-কই রে?
-ওই যে দূরে, এখান দিয়েই ওদিকে গেল।
বীথিকা গানবোট দেখে আঁতকে ওঠে।
-এটা আমিও আগে দেখিনি রে। বাবা বলেছে পাকবাহিনী গানবোটে করে আসবে। ওরা তাহলে আমাদের এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে। আয় আমরা বাড়ি যাই। আয় দৌড়াই।

বীথিকা আতঙ্কে অস্থির হয়ে যায়। বাবাকে খবরটা জানাতে হবে যে মিলিটারি আমাদের এলাকায় ঢুকেছে। ও ভাইদের হাত ধরে দৌড়াতে শুরু করে। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল হরেন্দ্রনাথ। মেয়েকে দৌড়াতে দেখে তার বুক কেঁপে ওঠে। ওর সঙ্গেতো ছেলেরা আছে। তাহলে কোনো খারাপ খবর শুনতে হবে না। বীথিকা ওদের নিয়ে ফিরে আসছে। বাতাসে উড়ছে ওর চুল। ওর পেছনে আছে নদী আর চারপাশে সবুজ গাছ-গাছালী। হরেন্দ্রনাথের সামনে একটি অপরূপ দৃশ্য নয়ন জুড়িয়ে দেয়। নিজেকে বলে, আমার মাতৃভূমি। মাতৃভূমির স্বাধীনতা চাই। বঙ্গবন্ধু আপনাকে লাল সালাম। প্রণাম জানাই আপনাকে। আপনি পাকিস্তানের জেলে সুস্থ থাকেন। স্বাধীন দেশে ফিরে আসবেন আমাদের কাছে।
একটু পরেই ফিরে আসে বীথিকা। ছোট ছেলেরা বাবাকে জড়িয়ে ধরে। তিনজনই চেঁচিয়ে বলে, বাবা, বাবা, আজকে নদীতে নতুন নৌকা দেখেছি। একদম অন্যরকম। নৌকায় যারা ছিল তাদের হাতে বন্দুক ছিল।

-থাম, বাবারা, থাম। মারে তুই কি দেখেছিস?
-না, বাবা, আমি যখন গিয়েছি গানবোট তখন অনেক সামনে চলে গেছে। আমি এর জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে ফিরে এসেছি বাবা। ওরা আমাকে দেখেনি।
-ভালো করেছিস। ভগবান, আমাদের রক্ষা করবে। চল, ভেতরে যাই।
সবাই মিলে ঘরে ঢুকে। মায়ারাণী এসব খবর শুনে বলে, আমার মনে হয় ওরা শুধু একা থাকবে না। বাঙালিরাও ওদের সঙ্গে ভিড়বে।
-এসব কথা এখন বলোনা। ভুলে যেওনা যে আমরা হিন্দু। এসব কথা শুনলে আমাদের আশেপাশের মুসলমানরা আমাদের ছাড়বে না।
-অনেকেতো ভারতে চলে যাচ্ছে। আমরাও চলে যাই।
-তাহলে কি আমরা শরণার্থী হব? বীথিকা বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে।
-দুজনেই মাথা নেড়ে সায় দেয়।

মা বলে, এখানে পাকবাহিনীর ঝামেলার মধ্যে না থেকে আমরা শরণার্থী শিবিরে কষ্ট করে থাকব। ওখানেতো কেউ আমাদেরকে প্রাণে মারবেনা। আমার একটি মেয়ে তিনটি ছেলেকে নিয়ে আমরা বেঁচে থাকতে চাই। ওরা যেন বাবা-মায়ে ভালোবাসা নিয়ে বড় হয়।

-আমি মেয়ে। এখানে থাকলে আমার বিপদ বেশি। আমি এখানে থাকব না। কিন্তু আমাদের বাড়িঘরের কি হবে?
-চারদিক বন্ধ করে রেখে যাব।
-যদি আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়?

হরেন্দ্রনাথ বলে, দিতে পারে। যদি দেয় আমাদের কিছু করার থাকবেনা। দেশ স্বাধীন হলে আমরা পোড়া ভিটায় ঘর তুলব।

-বাবা ঠিক বলেছ, তাহলে আমাদের নতুন ঘরে স্বাধীনতার থাকা হবে। নতুন মাটিতে নতুন বাড়ি।
তিনভাই লাফিয়ে ওঠে, নতুন বাড়ি, নতুন বাড়ি। আমরা নতুন বাড়িতে থাকব।
ওরা লাফাতে লাফাতে চেঁচিয়ে ওঠে, ওই যে দেখ নতুন নৌকা যাচ্ছে।

 

 

(চলবে)

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত