সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অব্যক্ত ভালোবাসা

ঘড়িতে সময় ভোর সাড়ে ৬টা। মোবাইলের রিংটোনে ঘুম ভাঙলো রবিনের। সচরাচর ৯টার আগে উঠে না সে। চোখ কচলাতে কচলাতে আধো ঘুমে ফোন রিসিভ করল। হ্যালো বলতেই ভেসে উঠলো অতি পরিচিত এক আওয়াজ। চেনা সেই সুর। নাম্বার দেখে রীতিমতো চমকে গেছে রবিন।

বহুদিন পর রিয়ার ফোন। ওপাশ থেকে আওয়াজ এল, ‘কেমন আছ? রবিন।’ হঠাৎই রবিনের চোখের কোনায় দু’ফোটা জ্বল এসে জমা হলো। চোখ মুছে বলল, ‘ভালো আছি। তুমি ভালো?’ তারপর বেশ কিছুক্ষণ কথা চলল।

ঘুম পুরোই ভেঙে গেল রবিনের। ঘুম আসছেনা আর। মনে পড়ছে রিয়ার কথা। সেই পুরোনো দিনের কথা। রবিন কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গেল সোনালি অতীতে। রিয়াকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো রবিন তবে কখনো ভালোবাসি বলে উঠা হয়নি।

রবিন আর রিয়া। পরিচয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রায় বছর খানেক পর। কথাবার্তা শুরু ফেসবুক মেসেঞ্জারের সুবাদে। ক্লাস নোট দেওয়া নেওয়ার মাধ্যমে শুরু। এই স্বল্প পরিচয় যে এতদুর নিয়ে যাবে কেউ কখনো ভাবতেই পারেনি। একজনের আরেকজন ছাড়া যেন চলতই না। কেয়ারিং-শেয়ারিংয়ের কোনো কমতি ছিল না তাদের মধ্যে। অনেকে বলে থাকে প্রতিটা ছেলেই না কি তার মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ডের প্রেমে পরে। রবিন কথাটা বিশ্বাস না করলেও পরে মেনে নিয়েছে।

রিয়াকে প্রচণ্ড রকম ভালোবেসে ফেলেছিল রবিন। তবে ভালোবাসাটুকু শুধু মনেই ছিল। প্রকাশ করেনি হারানোর ভয়ে। রবিন শুধু অপলক দৃষ্টিতে চেয়েই থাকতো রিয়ার দিকে।

ডিপার্টমেন্টে রবিন আর রিয়াকে চেনেনা এমন কেউ নেই। তাদের সম্পর্ক টম এন্ড জেরির মত। সারাক্ষণ খোঁচাখুঁচি, ঝগড়া। তাদের দু’জনেরই ক্লাসে ভালো পার্ফর্মেন্স। বরাবরই সিজিপিএ ভালো। তাই আর শিক্ষকদেরও নজরের বাইরে পরত না।

ক্লাসে এক বেঞ্চে বসে মারামারি, খোঁচাখুঁচি। মাঝে মাঝে স্যারের নজরে পড়লে দাঁড় করিয়ে রাখতো পুরো ক্লাস। তবুও ক্লাসে খোঁচাখুঁচি বন্ধ হয় না তাদের। ক্লাস শেষেই আড্ডা ডায়না চত্বরে। বিকেল হলেই মফিজ লেকে ঘুরতে যাওয়া। সন্ধায় রিয়াকে হলে পৌঁছে দিয়ে জিয়া মোড়ে বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডায় মিলিত হওয়া। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল রবিন আর রিয়ার সময়গুলো।

ভালোই চলছিল। হঠাৎ সম্পর্কে নেমে এল কালো ছায়া। রাকিব সন্দেহ করতো রবিন আর রিয়া প্রেম করে। রাকিব রিয়ার বয় ফ্রেন্ড। সে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। রবিন আর রিয়ার এরকম সম্পর্ক রাকিব মেনে নিতে পারেনি। সন্দেহ করতো সবসময় ওরা প্রেম করে কি না।

রিয়ার আশপাশের বন্ধু-বান্ধবীদের জিজ্ঞেস করত ওদের মধ্যে সম্পর্ক কী, প্রেম করে না কি ইত্যাদি ইত্যাদি। রিয়া কোনো ছেলের সাথে মিশলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠত রাকিব। ধীরে ধীরে বেড়েই চলল রাকিবের সন্দেহের পাহাড়।

রিয়া শুরুর দিকে তার বয়ফ্রেন্ডের সন্দেহের কথা লুকালেও হঠাৎ একদিন রবিনকে বলেই ফেলল। রিয়া বলল, ‘রবিন শোন, তোর সাথে মনে হয় আর তেমন যোগাযোগ হবে না।’ রবিনের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। সে রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘কি বলিস তুই! বুঝে বলছিস?’ রিয়া তখন আস্তে আস্তে খুলে বলল সব।

রবিন সেদিন হাসিমুখে রিয়ার কাছ থেকে বিদায় নিলেও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। রিয়ার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হওয়ায় ভেঙে পড়ে। এদিকে সেমিস্টার ফাইনাল দরজায় কড়া নাড়ছে।

ধীরে ধীরে তাদের দুরত্ব বাড়ল। কিছুদিন পড়েই রবিন অসুস্থ হয়ে পড়ল। খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ম, অবহেলা। শরীরের প্রতিও যত্ন নেই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হলো সেমিস্টার ফাইনাল।

পরীক্ষার তেমন কোনো প্রস্তুতিই নেই রবিনের। বাসায় কী জবাব দেবে রেজাল্ট খারাপ হলে। এ চিন্তায় আর পড়াশোনা হচ্ছেনা। পরীক্ষা চলছে। চাপ বাড়ছে। মোটামুটি প্রিপারেশন নিয়ে প্রথম পরীক্ষায় অংশ নিল। পরিক্ষা শেষ। পরীক্ষা শেষে সাধারণত সবাই টেনশন ফ্রি হয়। রবিনের ঘটল উল্টো। পরীক্ষা চরম খারাপ হয়েছে তার। বাড়িতে কী জবাব দেবে?

কথায় আছে সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। রবিনের জন্যও সময় থমকে দাঁড়ায়নি। ধীরে ধীরে রবিন সুস্থ হয়ে উঠল। তবে রিয়াকে কোনভাবেই ভুলতে পারছেনা। কেটে গেল বাকি আরো দু’টি বছর। গ্রাজুয়েশন শেষ তাদের। এখন দৌড়ানোর পালা চাকরির বাজারে। কয়েকজন বন্ধু মিলে ঢাকা শহরে একটা বাসা ভাড়া নিল রবিন। সেখান থেকেই চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা রবিন। পরিবারের বড় সন্তান। টিউশনি করে নিজের খরচ চালায়। দেশে চাকরি সোনার হরিণ। সরকারি চাকরি তো আরও বিশাল ব্যাপার। ভাইভার পর ভাইভা দিয়েই যাচ্ছে। চাকরি হচ্ছেনা। টেনশন বাড়ছে। আর কতদিন বাবার টাকায় চলবে।

রবিনের আইটি সেক্টরে হাত পাঁকা। চাকরি না পেয়ে আর সাত পাঁচ না ভেবে আউটসোর্সিং শেখা শুরু করল। অল্প সময়েই রপ্ত করে ফেলল। শুরুতে বেশি টাকা আয় না হলেও ধীরে ধীরে আয় বাড়ল। আউটসোর্সিংয়ে রবিন এখন মাসপ্রতি প্রায় লাখখানেক টাকা আয় করে। বাড়িতেও টাকা পাঠায়।

ভাড়া বাসা ছেড়ে ফ্ল্যাটে উঠল রবিন। এখনো মাঝেমধ্যেই রিয়ার কথা ভাবে। ভাবে সোনালী অতীতের কথা। কোথায় আছে, কেমন আছে। রিয়া শুধু কল্পনায়ই থেকে গেল। প্রণয় ছিল, পরিনয় আর হয়ে উঠল না। রবিনের অব্যক্ত ভালোবাসা এভাবেই বেচে রইল তার মনে। রিয়াকে কখনো বলেনি ‘ভালোবাসি’।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে