বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বকুলের মালা

ছেলেটির নাম বকুল। ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশোনা করে। ছেলেটি যখন ইন্টারমিডিয়েট অধ্যায়নরত ছিলো তখন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানান ধরনের স্বপ্ন দেখতো। ঠিক তার আগের মুহূর্তে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনার এক ভয়াবহ আকার দেখা দেয়। তখন অনলাইনে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। সেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, তাদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনলাইনে হয়। ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের শিক্ষক সবাইকে জিজ্ঞাসা করছিল তোমাদের বাড়ি কোথায়, কার জীবনে কি স্বপ্ন আছে এবং বড় হয়ে কে কি হতে চাও। সবাই এক এক করে পরিচয় দিচ্ছিল। একদম শেষ মুহূর্তে মালা নামের একটি মেয়ে তার পরিচয় দিয়েছিল। তার কথার সুরগুলো ছিল কোকিলের গান। তার নিঃশ্বাসে ছিল কালবৈশাখী ঝড়ের আওয়াজ। তার ঠোঁট ছিল সকালের শিমুল ফুলের সূর্যের আবরণ। নাম দুটো বেশ সুন্দর মানিয়েছিল বকুলের মালা।

মেয়েটার বাসা ঢাকাতেই ছিল। বকুলের মেয়েটাকে এতটাই ভাল লাগে, ওই যে কথায় বলে না ‘লাভ অ্যাট টেন সেকেন্ড’ ব্যাপারটা ছিল ঠিক তাই। বকুল মেয়েটাকে ফেসবুকে খোঁজার চেষ্টা করে ইনস্টাগ্রামে খোঁজার চেষ্টা করে অবশেষে সে পায়। বকুল নিয়মিত মেয়েটাকে ফেসবুকে ফলো করে, কিন্তু মালা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করছিল না।

বকুল শুয়ে শুয়ে মালার কথা ভাবে আর বলে ইস যদি আমার জীবনে মালাকে পেতাম। কয়েকদিন পর থেকে তাদের ক্লাস শুরু হয়। বকুল স্যারের লেকচার শুনা বাদ দিয়ে মালার জিমেইলের ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকতো আর জনম জনমের স্বপ্ন দেখতো। হঠাৎ করে পরের দিন সন্ধ্যায় মালা বকুলের ফেসবুক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করে। বকুল সাথে সাথে ফেসবুকে ঢুকে দেখে মালা এক্টিভ নাই। একটু আগে চলে গেছে। মালা আবার অনেকটা কম কথা বলত বেশ চুপচাপ স্বভাবের ছিল। বকুল তো মন খারাপ করে বসে আছে। এত সাধনার পরে তাকে পেলাম, তবু কথা বলতে পালাম না। তবে একদিক থেকে খুশি ছিল মালা ওর ফেন্ড রিকোয়েস্টটা একসেপ্ট করেছে। বকুল ভেবেছিল আজ হোক কাল হোক কথা তো হবেই।

রাত দশটার পরে বকুল মালাকে তাই লিখে একটি এসএমএস করে। কিন্তু মালা রিপ্লাই না করেই ফেসবুক থেকেচলে যায়। এভাবেই  কিছুদিন যেতে যেতে শোনা গেল তাদের বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিবে। বকুল তো শুনে মহা খুশি। মালার সাথে তার দেখা হবে। মালার সাথে কথা বলুক আর না বলুক চোখের দেখাটাতো বকুল দেখতে পারবে। তারপর বাসা খোঁজা নিয়ে এর মধ্যে দিন পার হচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন বেশ ভদ্রতার সাথে সুন্দর একটি ড্রেস পড়ে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেল। কিন্তু দেখে মালা নেই। বকুলের তো মনটা ভীষণ খারাপ। যাকে দেখার জন্য এত উৎফুল্ল হয়ে সে ঢাকা আসলো কিন্তু এখনো সে আসেনি। সে নিয়মিত ক্লাস করছিল, কিন্তু কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে পারছিল না। এভাবেই প্রায় ১৫ দিন পার হয়ে গেল। হুট করে একদিন ক্লাসে মালা উপস্থিত। বকুলের যেন আনন্দের বন্যা বয়ে যেতে লাগলো মালাকে দেখে। এই প্রথম বকুল মালাকে সরাসরি দেখল। মালা ক্লাসে এসে চুপচাপ ক্লাস করছিল। কারো সাথে তেমন কথা বলছিল না। বকুল অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করে কোনো বার সফল হতে পারছিল না। এভাবেই তিনটা ক্লাস শেষ হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যাল শেষে মালার পিছু নেয় বকুল। মালার বাসাটা চেনার জন্য। অনেক বড় একটি বাড়িতে মালা ঢুকলো। বকুল ভাবছিল মালারা হয়তোবা অনেক ধনী।। বকুল মাঝে মধ্যেই মালার বাসার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো মালাকে একনজর দেখার জন্য। হঠাৎ করে কেউ একজন মালার পিছু নিচ্ছে মালা বুঝতে পারে। পরের দিন দেখে সেই ছেলেটা বকুল, তার ক্লাসমেট। বেশ রাগান্বিত হওয়ার পরেও বকুলকে মালা কিছু বলে না। বকুল কখনো মালার সামনাসামনি এসে কথা বলার সাহস পায়নি। কিন্তু ব্যাপারটা মালার কাছে বেশ বিরক্তিকর ছিল। মালা বকুলের উপর রাগ করে অনেক কিছু বলতে চাইলেও বলতে পারছিল না। কারণ বকুল মালার ক্লাসমেট। মালা বুঝতে পেরেছিল বকুল ওকে অনেক ভালোবাসে।

হঠাৎ করে মালার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কেমন জানি উধাও হয়ে গেল। বকুল মালার বাসার সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মালার জন্য অপেক্ষা করে তবু মালার দেখা পায় না। তার মনটা বেশ খারাপ। কিন্তু মজার ব্যাপারটা হল মালা তখন চুপি চুপি ফলো করছিল। ততদিনে বকুলের প্রতি মালার ও একটা ভালো লাগা তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু মালা চায়না কারও সাথে তার জীবনকে জড়াতে। কিছু দিন পর মালার সাথে হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিতে দেখা। হুট করে বকুল মালাকে ঐদিন প্রপোজ করে। মালা বললো অসম্ভব, মাফ করবেন।

পরের দিন বিকালে বকুল মালাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ওই বাড়িটি থেকে একজন ভদ্রলোক বেরিয়ে আসে এবং বলে এই ছেলে তোমার কদিন ধরে দেখছি তুমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকো। যাও এখান থেকে চলে যাও। আর কখনো যেন তোমাকে এদিকে না দেখি। ভদ্রলোক সঙ্গে সঙ্গে বাসায় যায়। এবং মালাকে বলে বাড়ির সামনে যে ছেলেটা দাঁড়িয়ে থাকে ছেলেটা কে? তুমি কি তাকে চেনো। মালা বলে, হ্যাঁ। তুমি তাকে নিষেধ করে দিবে সে যেনো কখনো বাড়ির সামনে না আসে। পরের দিন মালা বেশ রাগান্বিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। সে বকুলকে বলে প্লিজ দয়া করে আমার পিছু নিও না। এক সড়ক দুর্ঘটনায় আমি আমার পুরো পরিবার হারিয়েছি। আমার চাচা-চাচি, মামা-মামি কেউ আমাকে ঠাঁই দেয়নি। অবশেষে আমার বাবার আমাকে আশ্রয় দেন। তার স্ত্রী অসুস্থ। তাদের একটা মেয়ে ছিল। আমার মত। সে হঠাৎ বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে সাগরে ডুবে মারা যায়। তারপর থেকেই আমি তাদের বাড়িতে মেয়ের অভিনয় করে থাকছি। আমার যাবতীয় খরচ তারই বহন করছে। আর আন্টিও তার নিজের মেয়ে মনে করে ভালোবাসে এবং সে আমাকে পেয়ে মানসিকভাবে অনেকটা সুস্থ। আমি এক পরিবারকে হারিয়েছি। আর একটি পরিবার আমি হারাতে চাই না।

প্লিজ, দয়া করে আমার পড়াশোনাটা বন্ধ করো না। আমি আমার এই জীবনের সাথে কাউকে জড়াতে চাই না। তুমি যদি আমার বাসার সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকো তাহলে হয়তো বা কদিন পরে আমাকে তারা বাড়ি থেকে বের করে দিবে। তারপর আমার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাই তোমাকে হাতজোড় করে বলছি। আমর পিছু ছেড়ে দাও।

বকুল বলে ঠিক আছে আর কখেনো তোমাকে বিরক্ত করব না। কখনোই তোমার বাসার সামনে যাব না। তবে শুনে রাখ। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। এই বলে বকুল চলে গেল। মনে মনে মালারও বেশ কষ্ট হচ্ছিল। কারণ মালা জানতো বকুল তাকে অনেক ভালোবাসে। মালা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল আর বলছিলো, আমিও তোমাকে ভালোবাসি বকুল। কিন্তু ইচ্ছে করলেই আমি আমার জীবনে তোমার জড়াতে পারবো না। আমায় মাফ করে দিও বকুল।

আবার করোনার কারনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেল। সবাই সবার বাসায় চলে যাচ্ছিল। কিন্তু বকুলের একদম বাড়িতে যেতে ভালো লাগছিলো না। কিন্তু বাড়ির চাপে বকুল বাড়ি যেতে বাধ্য হয়। বাড়ি যাওয়ার বেশ কদিন পরে বকুলের বন্ধু রুপম বকুলকে বলে কিরে, তোর মালা তো অসুস্থ। ওর কি অবস্থা এখন। বকুল বলে আমার সাথে তো ওর কথা হয় না। আর মালার কি হয়েছে?

রুপম বলে, তেমন কিছু জানি না। শুনলাম অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এটা শুনে বকুল এর মাথা ঘুরে যায়। বকুল প্ল্যান করতে থাকে ঢাকা যাবে। কিন্তু তার কাছে টাকাও ছিলো না। ঘুম ও নাই বকুলের চোখে। পরের দিন সকালে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার কথা বলে বকুল তার মায়ের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে ঢাকায় আসে মালাকে দেখার জন্য। বকুল সরাসরি হাসপাতালে চলে যায়। বকুল গিয়ে দেখে সেই ভদ্রলোকটি সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। বকুল বলে স্যার মালার কি হয়েছে?

ভদ্রলোক বলে মালার দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনেক চেষ্টা করলাম কিডনি জোগাড় করতে পারলাম না। দেখা যাক আজকে সন্ধ্যায় একজনের সাথে কথা হয়েছে। সে নাকি জোগাড় করে দিতে পারবে।

বকুল বলে স্যার তার প্রয়োজন নেই। আমি আমার একটি কিডনি মালাকে দিতে চাই। একটা সুযোগ দিন স্যার। প্লিজ। আমি আর মালা একসাথে বকুল মালা হয়ে থাকতে চাই। দয়া করেন স্যার। ভদ্রলোক শুনে অনেক আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়লেন। ভদ্রলোক বললেন ঠিক আছে। বকুল বলে স্যার, কিন্তু আমি যে মালাকে কিডনি দিচ্ছি মালাকে আপনি কখনো বলবেন না। ভদ্রলোক বললেন, কিন্তু কেন? বকুল বলে মালা আমাকে ভালোবাসে না। ওর জীবনের সাথে কাউকে জড়াতেও চায় না। ভদ্রলোক খানিকটা ভেবে বললেন ঠিক আছে। তারপর বকুলকে বিভিন্ন টেষ্ট করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন বকুলের অপারেশন। কিন্তু তার মনে ভয় থেকে খুশি ছিলো বেশি। সাতদিন পরে বকুল সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যায়। মালার সুস্থ হতে প্রায় তিন সপ্তাহের মত লেগে যায়। কদিন পরে মালাকে তার আংকে বলে, দেখ মালা বকুল ছেলেটা অনেক ভালো। তোমাকে অনেক ভালোবাসে। তুমি চাইলেই ওর ব্যাপারটা ভেবে দেখতে পার। তুমি আমাদের মেয়ের মতো। মেয়ের মতই থাকবে। মালা বলে কি ব্যাপার আংকেল । তুমি হঠাৎ ওর হয়ে কথা বলছো কেন?

তুমি যে কিডনি দিয়ে বেঁচে আছ, সেই কিডনি বকুল তোমাকে ডোনেট করেছে। সে আমাকে এটাও বলেছে আমি যেন কথাটা তোমাকে না বলি। এখন তুমি দেখো কি করবে।

মালা কথাগুলো শুনে নিস্তবদ্ধ হয়ে যায়। সে নিজকেই নিজে দোষী মনে করে। ইস, ছেলেটা আমার এত ভালোবাসে। সাথে সাথে মালা বকুলকে ফোন করে কোন কথা নাই, সরাসরি বকুলকে আই লাভ ইউ বলে। বকুল আমি তোমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি। আমায় মাফ করে দাও। বকুল বলে, আরে কি যে বলো তুমি। আমি জানি তুমিও কতটা চাপে ছিলে। বকুল খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। পরের সপ্তাহে বকুল মালার সাথে দেখা করতে ঢাকায় আসে। তারপর তাদের একজনের প্রতি আরেকজনের এক অন্ধ ভালোবাসা তৈরি হয়। এভাবে বকুল আর মালা ভালোবাসর মালা গাঁথার দিনগুলো শুরু হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত