শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিরে পড়া ছোটবেলার বই

বই আমার প্রিয়তম শেষ আশ্রয়, জগৎ যখন শূন্য হয়ে যায় তখনও তার বুক থাকে পূর্ণ।

বয়সে বড় হয়ে গেলেও, কিংবা বয়স বেড়ে গেছে বলেই হয়তো এখনো আমি ছোটদের বই পড়ি। ছোটদের বই মানে ছোটদের জন্য লেখা বই, যদিও ওগুলো আদৌ ছোটদের জন্য লেখা কি না, নাকি বড়দের জন্যই, সে প্রশ্ন জাগে মনে মাঝে-মধ্যেই। কারণ এসব বইয়ে এমন কিছু বিষয় থাকে, যা বড়দেরই বোঝার কথা, ছোটদের নয়। অবশ্য কথাটা এভাবে বলাও যায় না, বড়রা ছোটদের চেয়ে বেশি বোঝে এমন কোনো প্রমাণ আসলে নেই। ছোটদের জগৎটা আলাদা, তাদের বোঝা-পড়ার ধরন আলাদা, আলাদা মানে তো এই নয় যে, তারা কম বোঝে! বরং ব্যাপারটা এইরকম যে, তারা একভাবে বোঝে, বড়রা অন্যভাবে।

ছোটরা বোঝাপড়ার জন্য নিজেদের কল্পনার রং অবাধে মিশিয়ে নেয়, বড়দের কল্পনার জগৎ যেহেতু বাস্তবতার আঘাতে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু ও ক্ষুদ্র হয়ে আসে তাই তারা ততটা রং মেশাতে পারে না। যেমন, ধরা যাক, ছোটদের একটা উপন্যাস ছোট্ট রাজপুত্র’র কথা, যেটি লিখেছিলেন অঁতোয়ান দ্য স্যাঁৎ-একজ্যুপেরি (Antoine de Saint-Exupéry), আজ থেকে প্রায় আশি বছর আগে। এই উপন্যাসে ভিন্ন এক গ্রহ বা গ্রহাণু থেকে ছোট্ট এক রাজপুত্র আসে পৃথিবী ভ্রমণে, তার আগে সে বেড়িয়ে আসে আরো কয়েকটি ছোট ছোট গ্রহ থেকে যেগুলোতে মাত্র একজন করে লোকের বাস। উপন্যাসে ফুল কথা বলে, সাপ কথা বলে, শেয়াল কথা বলে; মোট কথা মানুষ ছাড়াও প্রাণীজগৎ ও জড়জগতের নানা সদস্য কথা বলে। ওই রাজপুত্র অবলীলায় তাদের সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে যায় যেন এটা নিতান্তই মামুলি ব্যাপার। আমরা, মানে বড়রা, যখন ওটা পড়ি তখন মনে হয়, এ নিছক রূপকথা, ওগুলো কি আর সত্যিই কথা বলতে পারে? কিন্তু একজন ক্ষুদে পাঠক কখনো ভাববে না যে, ওরা কথা বলতে পারে না, বরং ভেবে নেবে সত্যিই ওদের ভাষা আছে। ফলে তাদের বোঝার ধরন যে আমাদের চেয়ে অন্যরকম হবে তাতে আর সন্দেহ কী? একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, শিশুরা অনবরত বস্তুজগতের নানান জিনিসের সঙ্গে কথা বলে চলে, বিশেষ করে তাদের খেলনাদের সঙ্গে। কখনো আমার এরকম মনে হয়, ওগুলো কি তাদের ভাষা বোঝে? নইলে এরকম একতরফা আলাপ কতক্ষণ চালিয়ে যাওয়া যায়?

যা বলছিলাম সেই প্রসঙ্গে ফিরি। আমি ছোটদের জন্য লেখা বইগুলো এখনো পড়ি। বলাইবাহুল্য যে, আনন্দ পাওয়ার জন্যই পড়ি, পাইও, প্রভূত আনন্দ পাই, কিন্তু সঙ্গে আরো কিছু পাই। লক্ষ করে দেখি, ছোটবেলায় এই বইটি বা এরকম কোনো বই পড়ে যা মনে হয়েছিল, এখন অন্যরকম মনে হচ্ছে। এই বইয়ের ব্যাখ্যা আমার কাছে পাল্টে যাচ্ছে। এই যে ভিন্ন অর্থ নিয়ে বহুকাল পরে একটি লেখা নতুনরূপে ধরা দেয়, এটাই হলো লেখকের শক্তিমত্তা। এও মনে হয় যে, ছোটদের জন্য যারা লেখেন, তারাই জগতের সবচেয়ে শক্তিমান শিল্পী। কারণ, তাকে ছোটদের মন বুঝতে হয়, ছোটদের ভাষা বুঝতে হয়, ছোটদের কল্পনা বুঝতে হয়, যদিও তিনি নিজে বড় হয়ে গেছেন এবং সম্ভবত ছোটদের মনটি হারিয়ে ফেলেছেন। সত্যিই কি হারিয়েছেন? পড়তে গেলে মনে হয়, তার আসলে দুটো মন, একটি শিশুদের মতো সরল ও কল্পনার রঙে রাঙানো, অন্যটি বড়দের মতো বিদঘুটে।

কোনো-কোনো সময় নতুন কোনো বই পড়তে ইচ্ছে করে না। হয়তো নতুন এক জগৎ ওই বইয়ের ভেতরে অপেক্ষা করে আছে, নতুন কোনো উপলব্ধি, ইঙ্গিত বা ইশারার সঙ্গে হয়তো দেখা হয়ে যাবে ওই বইটি পড়লে, তবু ইচ্ছে করে না। নতুন বইয়ের গন্ধে লোভ সামলাতে না পেরে ভেতরে ঢুকে প্রতারিত হবার অভিজ্ঞতাও তো কম নয়! হয়তো খুব নামিদামি স্বাস্থ্যবান কোনো বই পড়তে পড়তে শেষ পৃষ্ঠায় গিয়ে মনে হয়েছে–যতটা সময় ব্যয় করলাম তা অপচয়ই হয়ে গেল। আবার কোনো কোনো বই পড়তেই পারিনি, মানে পাঠযোগ্যই মনে হয়নি। এরকম অর্ধপঠিত বইয়ের সংখ্যাও কম নয়। তাই নানা কারণে মন যখন বিমূঢ় হয়ে থাকে, কিংবা বিষণ্ন, কিংবা অস্থিরতায় ভুগি, হতবাক হয়ে থাকি কোনো কারণে, তখন নতুন কোনো বই হাতে তুলে নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়। তখন ভালো লাগে পুরনো কোনো প্রিয় বই পড়তে। একজন পাঠক যখন তার পঠিত একটি বই আবার তুলে নেন হাতে, পড়ার জন্য, বুঝে নিতে হয়–ওই বইয়ের ভেতরে এমনকিছু আছে যা তাকে ফিরে যেতে বাধ্য করেছে। ওই ধরনের বই পড়লে হৃদয় এক অনির্বচনীয় অনুভূতিতে ভরে ওঠে, কোমল আর মায়াময় হয়ে ওঠে মন, মানুষকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে, জীবন ও পৃথিবীর দিকে নতুন চোখে তাকাতে ইচ্ছে করে, জগৎকে আরো বেশি বাসযোগ্য মনে হয়। এ এক অপ্রকাশযোগ্য অনুভূতি। একে কেবল আধ্যাত্মিক অনুভূতির সঙ্গে তুলনা করা চলে। কিন্তু মুশকিল হলো- এই বইগুলো ইতিমধ্যেই কয়েকবার পড়া হয়ে গেছে আমার। নানা সময়ে ফিরে ফিরে গেছি তাদের কাছে, ফলে এতটাই পরিচিত তারা যে, কোন পৃষ্ঠায় কী আছে তাও যেন চোখের সামনে ভাসে। আমার সংগ্রহে যে বইগুলো আছে তার মধ্যে ওরকম প্রিয় বইয়ের সংখ্যা কম নয়। আমি যখন ঘুরে ঘুরে ওগুলো দেখতে থাকি, ভাবি হাতে তুলে নেবো কি না, তখন যেন দেখতে পাই কোথাও কোথাও উজ্জ্বল সব পঙক্তি আবেদনময়ীর ভঙ্গিতে শুয়ে আছে বইটির অমুক পাতায়, কোথাও বা বিষণ্ন কোনো পঙক্তি মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে ওইখানে, কোথাও-বা রাগী কোনো পঙক্তি চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। পঙক্তিগুলো যেন রক্তমাংসের মানুষ একেকটা, অনুভূতিময়, প্রকাশোন্মুখ। হ্যাঁ এভাবেই বই পড়ি আমি। এতটা গভীর ভালোবেসে। বই আমার প্রিয়তম শেষ আশ্রয়, জগৎ যখন শূন্য হয়ে যায় তখনও তার বুক থাকে পূর্ণ।

ছোটবেলা থেকে বাছবিচারহীনভাবে বই পড়েছি অনেকগুলো বছর, এবং এভাবে পড়ার একটা সুবিধা পাচ্ছি এই মধ্যবয়সে এসে। পড়তে পড়তে একটা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়ে যায় নিজের অজান্তেই, এরপর যে-কোনো লেখা আর পড়ার দায় থাকে না, কোনো-কোনোটি দু-চারপাতা পড়েই রেখে দেয়া যায়। অবশ্য এটা ভালো না খারাপ তা বলা মুশকিল, কিন্তু এ-কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়–এই স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হওয়ার জন্য যে পরিমাণ পড়তে হয় তাতে ওই রেখে দেয়ার অধিকার জন্মে যায় একজন পাঠকের। এবং আরেকটি ব্যাপারও ঘটে, এই যে স্ট্যান্ডার্ড, সেখানে দু-একজন লেখক দাঁড়িয়ে যান, যাঁদেরকে নির্দ্বিধায় পড়া যায়, বারবার ফিরে ফিরে পড়া যায। এই লেখকদের প্রায় সবাই প্রিয় লেখকে পরিণত হন। তার মানে এই নয় যে, এঁদের বাইরে আর কোনো প্রিয় লেখক নেই বা থাকেন না, কিন্তু ওই ফিরে ফিরে পড়ার ব্যাপারটা সবার ক্ষেত্রে ঘটে না। একজন পাঠক যখন তার পঠিত একটি বই আবার তুলে নেন হাতে, পড়ার জন্য, বুঝে নিতে হয়, ওই বইয়ের ভেতরে এমনকিছু আছে যা তাকে ফিরে যেতে বাধ্য করেছে।

কিন্তু কেনইবা পুরনো বই ফিরে ফিরে পড়ি বারবার? হয়তো হাজারটা কারণ বলা যায় এ প্রশ্নের উত্তরে, কিংবা কিছু নাও বলা যায়, পড়তে ভালো লাগে, পড়তে ইচ্ছে করে এই কি যথেষ্ট নয়?

যখন আমার মন খারাপ থাকে বা বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে সমস্ত চিন্তা এবং কল্পনা তখন আমি যে বইগুলো পড়ি সেগুলোর প্রায় সবই ছোটদের বই। যেমন ঠাকুরমার ঝুলি কিংবা রুশদেশের উপকথা’র মতো রূপকথার বই। সুকুমার রায় কিংবা শিবরাম চক্রবর্তীর অতি-অসম্ভব আর অদ্ভুত সুন্দর লেখাগুলো। পেটার বিকসেলের গল্পগুলো। তবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার পড়া বইটি হলো অঁতোয়ান দ্য স্যাঁৎ-একজ্যুপেরির অনবদ্য উপন্যাস লিটল প্রিন্স বা ছোট্ট রাজপুত্র।

‘ঠাকুরমার ঝুলি’র সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল একেবারে ছোটবেলায়। সেই তখন থেকে শুরু করে কতবার যে পড়া হলো সেটি, ইয়ত্তা নেই। এখনো বাচ্চাদের মতো আনন্দ পাই গল্পগুলো পড়ে। বাস্তবতারিক্ত অধিবাস্তবতা আর জাদুবাস্তবতার কী অসম্ভব সুন্দর আর রঙিন এক জগৎই না নির্মাণ করেছিলেন আমাদের পূর্বসুরিরা, কেবল মুখে মুখে গল্প বলার জন্য! এরপর কী করে যেন পেয়ে গিয়েছিলাম ‘রুশদেশের উপকথা’ নামক এক অপূর্ব-সুন্দর বই। প্রথম দর্শনেই ভালো লেগে গিয়েছিল বইটি। কী সুন্দর কাগজ, ঝকঝকে ছাপা, গল্পের সঙ্গে সুন্দর সুন্দর কত ছবি, ভালো না লেগে উপায় আছে? এর আগে কখনো এমন বই তো দেখিইনি! কীভাবে সেটা বাড়ি পর্যন্ত এসেছিল, কে এনে দিয়েছিলেন, তা আর মনে পড়ে না। তবে বইটি পাওয়ার পর নাওয়া-খাওয়া ভোলার মতো অবস্থা হলো আমার। ওটাও রূপকথার বই, তবে মানুষগুলো একেবারেই অচেনা। যে বরফঢাকা দেশটির গল্প ওটাতে ছিল, সেটিও অচেনা। ঠাকুরমার ঝুলি পড়তে গিয়ে যেমন কাউকে কাউকে প্রায় চেনা মানুষের আদলে ভাবতে পেরেছি, এই বই থেকে তা পারা যাচ্ছে না। এই অচেনা মানুষগুলো কী কী করছে সেই কৌত‚হলে আমি প্রায় উত্তেজনায় কাঁপছি। বলাইবাহুল্য, মানুষগুলো অচেনা হলেও তারা যে সত্যি মানুষ তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহই ছিল না। ঠাকুরমার ঝুলির সব মানুষকেও সত্যি বলে মনে হতো আমার। এবং রূপকথায় যেমনটি থাকে, মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাণীরা–এমনকি বৃক্ষরাও–কথাটথা বলতে পারে, আমার সেটাকেও সত্যি বলেই মনে হতো। তো, ওই রুশদেশের উপকথার ইভান নামের রাজপুত্রটিই আমার ছোটবেলার নায়ক হয়ে ওঠে। আমার প্রথম নায়ক। বলাইবাহুল্য, ইভানের সঙ্গে আমার কোনো মিলই ছিল না, নিজেকে ইভানের জায়গায় কল্পনা করাও ছিল অসম্ভব। কারণ ওই বরফের দেশে, স্লেজগাড়ির দেশে যা যা ঘটে তা আমার দূর কল্পনাতেও ধরা পড়তো না। তবু ইভানকে এত ভালো লেগেছিল কেন? কেন বারবার পড়েছিলাম ইভানের গল্পগুলো? মনে পড়ে না।

সত্যি বলতে কি, রুশদেশের উপকথা পড়ার পর, বিশেষ করে ইভানের সঙ্গে পরিচয় হবার পর, অন্য কোনো রূপকথার বই আমার আর ভালো লাগেনি। অন্য বই যে পড়তাম না তা নয়, তবে বারবার ফিরে যেতাম ওই বইটির কাছে। পড়তাম, পড়তে পড়তে কল্পনায় নিজেকে রাঙিয়ে নিতে চেষ্টা করতাম, আমার নায়ক রাজপুত্র ইভানের সঙ্গে স্লেজগাড়িতে চড়ে হারিয়ে যেতাম বরফ-ঢাকা দেশটির দূর কোনো অচেনা প্রান্তরে। এই কল্পনায় ভরা রূপকথার জগৎটি নিয়ে আমি ভালোই ছিলাম, আনন্দে ছিলাম। এখনো গল্পগুলো পড়লে ছোটবেলার সেই আনন্দের স্মৃতি ফিরে আসে আমার।

আরো কত বইয়ের কথা বলা হলো না! বলবো কখনো, অন্য কোথাও, অন্য কোনো সময়ে।

 

লেখক: কথা সাহিত্যিক

 

 

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান