বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেশটার দিকে তাকাই, দেশ তো সেই একটাই

কয়েক বছর থেকে দেখতে পাচ্ছি সারা দেশে সাম্প্রদায়িকতা ক্রমাগত বাড়ছে, মানুষের আচরণ সহিংস এবং অসহিষ্ণু হচ্ছে, অন্ধবিশ্বাস ও আবেগে ভাসছে তরুণদের একটি অংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইউটিউব এবং টিকটকের মতো ভিডিও ভাগাভাগির প্ল্যাটফর্মে রুচির নিম্নগামিতার একটা প্রদর্শনী চলছে। এর বিপরীত চিত্রও আছে। হাওর অঞ্চলের বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষকে যখন শুধু মিডিয়া মনোযোগে রেখেছে, ১০০ কোটি টাকার মালিকদের রাডারে তাদের কোনো অস্তিত্বও যখন ধরা পড়েনি, কিছু তরুণই তাদের সহায়তায় এগিয়ে গেছেন। কিন্তু এই বিপরীত চিত্রটি এখন আর তিন দশক আগের মতো উজ্জ্বল নয়। উজ্জ্বল বরং উচ্ছৃঙ্খলতা, সহিংসতা, ঔদ্ধত্য এবং বীভৎসতার প্রাত্যহিক চিত্র। পদ্মা সেতু যেদিন সব যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হলো, কয়েক ঘণ্টায় যা ঘটল সেতুতে, সেগুলোর খণ্ড খণ্ড ছবি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আমরা দিনে দিনে কত রুচিহীন হচ্ছি। বোধ ও বুদ্ধিহীন হচ্ছি। কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, সে বিচারটাও আমরা হারিয়ে ফেলছি। এ ছবিগুলো হাসি-তামাশার নয়, ভয়ানক এক সংকটের, যা থেকে কারও পরিত্রাণ মিলবে না।

‘সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কি আমরা পরাজিত হচ্ছি?’ পরাজিত না হলেও আমরা যে ক্রমাগত ভূমি হারাচ্ছি, তা তো খুবই স্পষ্ট। একসময় সংস্কৃতি ছিল সপ্রাণ, এর চর্চা তরুণদের দিত সক্রিয়তার পাঠ, যা সহজেই সংস্কৃতির অঞ্চল থেকে প্রসারিত হতো রাজনীতি, সমাজচিন্তা এবং গণমানুষের অধিকার রক্ষার নানা কাজকর্মে। এখন সংস্কৃতি আক্রান্ত, এর পরিমণ্ডল সংকুচিত। আমি একজন সাধারণ নাগরিক ও শিক্ষক হিসেবে কিছু উদ্বেগের কথা বলেছিলাম, যার ভিত্তি সেই ১৯৭৪ সাল থেকে আমার শিক্ষকজীবনের নানা অভিজ্ঞতা।

একসময় শিক্ষকেরা ছিলেন, যাকে বলে মানুষ গড়ার কারিগর। এটি ছিল অনেকের ব্রত। তাঁদের সমর্থন দিত সমাজ। কারণ সমাজ জানত, আলোকিত না হলে সত্যিকার মানুষ হওয়া যায় না। কিন্তু দিনে দিনে আলোটা ম্রিয়মাণ হতে থাকল। এখন সমাজে, সমাজ নিয়ন্ত্রণে, ক্ষমতার নানা অবস্থানে এমন সব মানুষ আছে, যারা মানুষ-অমানুষ পার্থক্যটাও বোঝে না। শিক্ষকদেরও মোটাদাগে সেই পরিবর্তন স্পর্শ করেছে। শিক্ষকতাকে ব্রত হিসেবে নিয়েছেন কতজন, সেই হিসাব নিতে গেলে কষ্ট পেতে হবে। একটি সমাজে যখন জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার, সৃষ্টিশীলতায় এবং মানবিক সক্রিয়তায় উৎকর্ষ অর্জনের বিচারে সাফল্য মাপা হয় না; বরং অর্থ, ক্ষমতা এবং পণ্য পৃথিবীতে টিকে থাকার চালাকি আয়ত্ত করার সক্ষমতার পাল্লায় মাপা হয়, তখন মানুষ গড়ার কারিগরদের প্রয়োজন হয় না।

যেদিন প্রাইভেট টিউশন করে শিক্ষকেরা স্কুল-কলেজ থেকে পাওয়া সামান্য বেতনের বেশি উপার্জন করতে শুরু করলেন, বোঝা গেল মুখস্থনির্ভর, পরীক্ষাসর্বস্ব এবং সনদমুখী শিক্ষারই জয় হচ্ছে। এই শিক্ষা এ দেশের পুঁজি ও পণ্যবাজার, আইনশৃঙ্খলা, প্রশাসন ও নানা অফিসপাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ জোগান দিতে পারে, কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানের হালফিল চর্চা, নতুন নতুন প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী চিন্তার জোগান দেওয়া এবং চতুর্থ শিল্পযুগের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ তৈরিতে সক্ষম হবে না। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা ক্রমাগত পেছাব। কত দিন আর আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক সরবরাহ করে যাব, সস্তায় তৈরি পোশাক জোগান দিতে পারব? বিজ্ঞানীরা যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে চূড়ান্ত একটা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে শ্রমিকদের এবং পোশাককর্মীদের কাজগুলো প্রকৃত অর্থেই হাতছাড়া হয়ে যাবে। যদি সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা, সহিংসতা ও রুচিহীনতা রপ্তানিযোগ্য পণ্য হতো, তাহলে একটা কথা ছিল, আমরা ভালোই টিকে থাকতাম। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া, সাংস্কৃতিক শিক্ষা ছাড়া যাতে সভ্যতা, সহিষ্ণুতা আর মানবিকতার পাঠ দেওয়া হয়—সেগুলোর চর্চা না করে আমরা কীভাবে বৈশ্বিক এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করব?

যে শিক্ষকেরা এই পাঠগুলো দেবেন, তাঁরা আজ বিপন্ন, অথবা নিরুৎসাহিত, অথবা বিভ্রান্ত। কারণ যাঁরা একটু মুক্তচিন্তার কথা বলেন, নিয়মানুবর্তিতা আর শৃঙ্খলার কথা বলেন, সাম্প্রদায়িকতা আর সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ান, তাঁদের কী পরিণতি হয়, তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বললেন, যা অনেক দেশের স্কুলের ছাত্ররাও জানে। তাঁকে যেতে হলো কারাগারে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে এক শিক্ষককে পুলিশ প্রশাসনের সামনে গলায় জুতার মালা পরানো হলো। এরপরও প্রাণভয়ে পালিয়ে থাকতে হলো তাঁকে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেরি হয়েছে ঠিকই, সেটিও না হলে ওই শিক্ষকের প্রাণনাশও হতে পারত। আশুলিয়ায় এক শিক্ষক আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ায় স্কুল কমিটির প্রভাবশালী সভাপতির নাতি স্টাম্প দিয়ে তাঁকে পিটিয়ে মেরে চার দিন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেল। আবারও সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। যদি প্রতিবাদ না হতো? আমরা তো জানি প্রভাবশালীরা আইনের হাত ছোট করে দিতে পারেন।

শিক্ষকদের ওপর যেসব নিগ্রহ চলছে, নিষ্ঠুরতা দেখানো হচ্ছে, তার কয়েকটা সংযুক্তি আছে। একটা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, যার সহজ শিকার সংখ্যালঘু শিক্ষকেরা। তাঁদের ওপর হামলা হলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যায়, সাম্প্রদায়িকতার স্রোতটা প্রবল রাখা যায়, আবার শিক্ষকদের অবস্থানটা দুর্বল করে দেওয়া যায়। শিক্ষকদের অবস্থান দুর্বল করে কার লাভ? প্রশ্নটা তুলে আমরা যদি সেই অবিশ্বাস্য সময়ের দিকে তাকাই, যখন পাকিস্তানিরা জানত শিক্ষকেরাই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ তৈরি করেছেন তাদের পথে, তাহলে উত্তরটা পেয়ে যাব। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড. শামসুজ্জোহা থেকে নিয়ে পাকিস্তানিদের সেবক নানা বাহিনীর হাতে নিহত শিক্ষকদের (যাঁদের হাত-পা-চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রায়েরবাজারে) নিয়ে তাদের ভয় ছিল। তারাও বুঝত শিক্ষকেরা বিপদ, কারণ তাঁরা আলো ছড়ান। আলো ছড়ানো কমল, যখন টিউশন বাণিজ্য সম্প্রসারিত হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা রাজনীতিতে নাম লেখালেন এবং ছাত্ররাজনীতির পেশির অনুবর্তী হলেন। এখন অনেক সরকারি শিক্ষক নিজেদের শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। আরেকটা দিক হচ্ছে, শিক্ষকতা পেশাটাকে দুর্বল করে সহিংসতাকে চলমান করে দেশটাকে মেধাহীন করার একটা চলমান চর্চা। কারা এই চর্চা করছে, আমরা তা অনুমান করতে পারি। তাদের একটা অংশ চাইছে নতুন প্রজন্মকে পণ্যবাজারের (যাতে শিক্ষা থেকে নিয়ে স্বাস্থ্য, সবই ঢুকে যাচ্ছে) ভোক্তায় পরিণত করা, যাতে লোভের সংস্কৃতিটা সব সংস্কৃতি থেকে ছাপিয়ে ওঠে।

এখন যাঁরা শিক্ষক নির্যাতনসহ সব অন্যায় অবিচারকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, ভাবছেন তাঁদের সন্তানেরা থাকবে দুধে–ভাতে, আমেরিকা-কানাডায়, দয়া করে দ্বিতীয়বার ভাবুন। যেসব আলামত আমরা দেখছি, তা যে সংকট সৃষ্টি করবে মূল্যবোধের, সভ্যতার, মানবিকতার, তা একটা প্রবল স্রোতের মতো সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। বিদেশও এখন আর নিরাপদ নয়। বিপদ সবখানেই। তার চেয়ে বরং দেশটার দিকে তাকাই। দেশ তো সেই একটাই।

 

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ

 

Header Ad
Header Ad

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার জলেশ্বরীতলায় ‘লাইফ ওকে’ নামের এক পোশাক বিক্রির শো-রুম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৫০ টাকায় মিলবে টি-শার্ট এমন ঘোষণায় হুলস্থুল কান্ড ঘটেছে।

ছাড়ের খবরে আজ বুধবার সকালে শো-রুমটির সামনে এতো সংখ্যক মানুষ জড়ো হন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এছাড়াও শো-রুমটির বিক্রেতাদের মারপিটের শিকার হয়েছেন সস্তার ক্রেতারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ ওকে’ বগুড়ায় প্রথমবারের মতো তাদের আউটলেট খুলতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয় ‘মাত্র ৫০ টাকায় টি-শার্ট, এক থেকে দেড়শ’ টাকার মধ্যে মিলবে শার্ট এবং আড়ইশ’ টাকায় পাওয়া যাবে এক্সপোর্ট ইউএসপোলো সোয়েটার।

এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।। ছবি: সংগৃহীত

এমন ঘোষণায় আজ সকাল থেকে অগণিত নারী-পুরুষ শো-রুমটির সামনে ভিড় করেন। জনসমাগম এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে, পুরো জলেশ্বরীতলা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার যান চলাচল, লোকজনের চাপে আশেপাশের দোকানপাটও বন্ধ করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা, দেখা দেয় নিরাপত্তার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।

সেনাবাহিনী আগত লোকজনকে রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন, এতে কাজ না হলে লাঠি চার্জ শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দুই দফা লাঠি চার্জের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শো-রুমটি খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই আবারও লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে শো-রুমটির বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করেন। পড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে দ্রুত শো-রুমটি বন্ধ করে ভেতরে থাকা ক্রেতাদের বের করে দিয়ে আগামী সাতদিনের জন্য শো-রুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদাতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৪২)। তিনি সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আদাতলা ভারত সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার এলাকা থেকে সিরাজুল ইসলামকে ধরে নেওয়া হয়। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা খাতুন বিএসএফের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

সিরাজুলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সিরাজুল আরও ছয়-সাতজনের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। রাত ৩টার দিকে আদাতলা সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার নাইরকুড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা তাঁদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা বাংলাদেশের সীমান্তে আসতে সক্ষম হলেও সিরাজুল বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।

এ বিষয়ে বুধবর (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ান ১৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাদিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ্য থাকায় সংশ্লিষ্ট আদাতলা সীমান্ত চৌকির (বিওপি) কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু আদাতলা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিফ না হওয়ায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে বিএসএফের হাতে আটক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা বলেন, সিরাজুল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কোথায় যাচ্ছে তা বাড়িতে বলে যায়নি। রাত ৪টার দিকে তাঁর স্বামীর সাথে ভারতে গিয়েছিলো দাবি করে এলাকার কিছু ব্যাক্তি তাঁকে বলেন, সিরাজুলকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মনসুর নামে এক ব্যক্তির পোষা বিড়াল হত্যার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের বাসিন্দা আকবর হোসেন শিবলুর নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক মামলাটি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে নাফিসা নওরীন চৌধুরী এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের ৯ম তলার বাসিন্দা মনসুর নামে এক ব্যক্তির বিড়াল হারিয়ে যায়।

পরে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি আকবর হোসেন শিবলু বিড়ালটিকে এলোপাতাড়ি ফুটবলের মতো লাথি মারছেন। আসামির লাথির আঘাতে বিড়ালটির নিথর দেহ পড়ে থাকার পরও পা দিয়ে পিষ্ট করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন