সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

পরদিন চরের কয়েকজন মিলে ওদেরকে বশিরহাট শরণার্থী ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়। স্থানীয় মানুষের সহায়তায় ত্রাণ হিসেবে কিছু খাদ্যদ্রব্য পায় ওরা। এসব খেয়ে তিন-চার দিন কেটে যায়। কোনো অসুবিধা হয়না। তবে দিনগুলো বেশ কষ্টে কাটে। তখন তাদের কষ্ট দেখে মানা ক্যাম্পে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় লোকেরা। একটা বাসে করে তাদেরকে ট্রেন স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। বীথিকা তার মা ও ভাইদের ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে ট্রেনে ওঠায়। কিন্তু ওর বাবা উঠতে পারেনা। দিশেহারা হয়ে যাই সবাই। বীথিকা নিজে চোখের পানি মোছে। ভাইয়েরা কাঁদতে শুরু করে। বিথীকা বলে, আমরা পরের স্টেশনে নেমে যাব।

– ঠিক বলেছিস।

পরের স্টেশনে ট্রেন থামলে বিথীকা সবাইকে নিয়ে নেমে পড়ে। ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলে গেলে বিথীকা মা-ভাইদের নিয়ে স্টেশন মাস্টারের রুমে যায়। স্টেশন মাস্টার ওদের দিকে তাকিয়ে বিব্রত হয়ে জিজ্ঞেস করে, কি ব্যাপার কি হয়েছে আপনাদের?

– আমরা ভীষণ বিপদে পড়েছি।

– কি হয়েছে?

– আমারা মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থী। আমাদেরকে ক্যাম্প থেকে ট্রেনে উঠিয়ে অন্য ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। ভিড়ের ঠেলাঠেলিতে আমার বাবা ট্রেনে উঠতে পারেনি।

– ঠিক আছে আপনারা বাইরে গিয়ে বসুন। আমি আগের স্টেশন মাস্টারকে ফোন করে দিচ্ছি। পরের ট্রেনে তুলে দেবে তাকে।

সবাই মিলে বাইরে এসে স্টেশনের বেঞ্চে বসে। একজন কাছে এসে বলে, শুনলাম আপনারা শরণার্থী। এখানে বিস্কুট আর কলা আছে। নিন, খেতে থাকুন।

বিথীকা হাত বাড়িয়ে ঠোঙাটা নেয়। বয়সী মানুষটিকে প্রণাম করে। তারপর সবাই মিলে কলা বিস্কটু খায়। বাকিটা বাবার জন্য রেখে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ পরে দেখতে পায় ষ্টেশনে ট্রেন ঢুকছে। সবাই মিলে ওখানে দাঁড়িয়ে খেয়াল করে যাত্রীদের। দেখতে পায় নেমে আসছে হরেন্দ্রনাথ। বিথীকা তিন ভাইকে বলে, তোরা দৌড় দিয়ে বাবার কাছে যা। আমাদের কাছে নিয়ে আয়।

– না, না বাবাকে আনব কেন? আমরাতো বাবার সঙ্গে যাব। বাবা এখানে কি করবে?
– মায়ারাণী বলে, হ্যাঁ তাই। চল আমরা এগিয়ে যাই। ট্রেনে উঠব।

সবাই মিলে এগিয়ে গেলে হরেন্দ্রনাথ সবাইকে নিয়ে ট্রেনে উঠে যায়। যারা ওদের নিয়ে যাচ্ছিল তারা ওদেরকে মানা ক্যাম্পের কাছে নামায়। চারদিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় বিথীকা। পাহাড় ও হ্রদ পরিবেষ্টিত মানা ক্যাম্প। ওদিকে তাকালে দৃষ্টি ফেরানো যায়না। হরেন্দ্রনাথ ও মায়ারাণীও মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। ওখানেই ঠাঁই হয় তাদের। বাসস্থানটিও চমৎকার। চারদিকে বাঁশের চাঁচের বেড়া এবং উপরে টিনের চাল। বাকি যারা ছিল, তাদের অনেকের ঠাঁই হয় তাঁবুর নিচে। এই ক্যাম্পে শিশুখাদ্য সরবরাহে কোনো ত্রুটি রাখেনি ভারত সরকার। শিশুদের জন্য গুড়া দুধের ব্যবস্থা ছিল। প্রত্যেককে বিশেষ কার্ড দেয়া হয়েছিল খাদ্যসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী পাওয়ার জন্য।

সবাই খুব হাসিখুশিভাবে দিন কাটাত। শরণার্থী হওয়ার দুঃখ নিয়ে কষ্ট ছিল না। এমন সুন্দর প্রকৃতির মাঝে সুন্দর সময়ের মহিমায় দারুণ সময় কেটে যায় বিথীকার পরিবারের। ছোট তিন ভাই সারা দিন এদিক-ওদিকে দৌড়াদৌড়ি করে। কেউ ওদের বাধা দেয়না। বিথীকা মাকে বলে, এমন জায়গা কি ওরা আর জীবনে পাবে গো মা। বাধা না দেয়াই ভালো! খেলুক ওরা।

– যদি হারিয়ে যায়?

– না গো মা হারাবেনা। ওদের আমি সবসময় পথ চেনাই।

– আচ্ছা যা, তুই ওদের সঙ্গে থাকিস।

– আমি ওদের দিকে সবসময় খেয়াল রাখি।

– আচ্ছা, ভালো করিস।

মানা ক্যাম্পে চারমাস কেটে যায়। একদিন মায়ারাণীর প্রসব ব্যথা ওঠে। অল্প সময়ের মধ্যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বাচ্চাটিকে দেখাশোনা করে পাশের ঘরের এক নারী। বাচ্চাটি জন্ম নেয়ার পর থেকে কাঁদেনি। চোখও ঠিকমতো খুলছে না। খুব ক্ষীণভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস পড়ছে। অনেকেই মনে করে বাচ্চাটি বাঁচবে না।

বিথীকা ঘরে নেই। ও শরণার্থী কার্ড দেখিয়ে ত্রাণসামগ্রী আনার জন্য বাজারে গেছে। হরেন্দ্রনাথ বাইরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। ঘরের ভেতরে দু’তিনজন মহিলার নানা কথায় মন খারাপ হয়ে যায়। দরজায় দাঁড়িয়ে মাথা ঢুকিয়ে জিজ্ঞেস করে, কেমন আছে আমার ছেলে?
একজন নারী বলে, মনে হয় বাচ্চাটি মরে গেছে। কান্নাকাটি নেই, চোখও খোলেনা।

হরেন্দ্রনাথ চোখের জল মুছে বলে, এখন কি করব আমরা।

একজন নারী বলে, বাচ্চার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘরের নতুন মাটির হাঁড়িতে করে ওকে হ্রদে ভাসিয়ে দেব। আমি এখন নিয়ে যাব। সাদা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে নেব হাঁড়ি।

হরেন্দ্রনাথ মাথা সোজা করে দাঁড়িয়ে যায়। আর কোনো কথা বলেনা।

যে নারী হাঁড়িতে ভরেছে বাচ্চাকে, সে হাঁড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। হরেন্দ্রনাথ হাত বাড়িয়ে বলে, আমি ওকে একবার বুকে নিতে চাই।

সেই নারী হাঁড়ি এগিয়ে দেয়। হরেন্দ্রনাথ কিছুক্ষণ বুকে জড়িয়ে ধরে রাখে হাঁড়ি। দুচোখ বেয়ে জল গড়ায় অবিরত ধারায়। একসময় দাঁড়িয়ে থাকা নারী হাঁড়িটা টেনে নেয়। দ্রুত পায়ে হেঁটে হ্রদের কাছে গিয়ে হাঁড়িটা ভাসিয়ে দেয় জলে। তখন পর্যন্ত বাচ্চাটির কোনো সাড়াশব্দ নেই। কিছুক্ষণ পরে বিথীকা ফিরে এলে জানতে পারে ওর ভাইকে হ্রদে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে হ্রদের দিকে ছুটে যায় বিথীকা। সাদা কাপড়ে মোড়ানো হাঁটিটা বেশ খানিকটা ভেসে গেছে। বিথীকার মাথা ঝিমঝিমিয়ে ওঠে। কোনো কিছু চিন্তা না করে ও হ্রদের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাঁতার দিয়ে এগোতে থাকে। ছোটবেলাতেই সাঁতার কাটা শিখেছিল। এই চমৎকার হ্রদে সাঁতার কাটতে দারুণ লাগছে। বেশ কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে হাঁড়িটা নিয়ে ফিরে আসে পাড়ে।

হাঁড়ির ভেতর থেকে ভাইকে বের করে বুকে জড়িয়ে ধরে। মাঝে মাঝে নিজের ভেজা কাপড় থেকে ওকে হাতে ধরে রাখে, যেন ভেজা কাপড় থেকে ওর ঠান্ডা না লাগে। ওর বুকে কান লাগিয়ে শুনেছে হার্টের মৃদু শব্দ। নিঃশ্বাসও ভেসে আসছে মৃদু স্বরে, কিন্তু চোখ বন্ধ। বিথীকা উত্তেজনা বোধ করে। দুহাতে ধরে রেখে ছোট ভাইকে নিয়ে দ্রুত হেঁটে আসে। ভেজা কাপড়ে ছপছপ করে শরীর, কিন্তু ভাইয়ের গায়ে পানি লাগতে দেয়না। ক্যাম্পে চলে আসে দ্রুতগতিতে। চারপাশে মানুষ জমে যায়। মৃত ছেলেটিকে ও ফিরেয়ে এনেছে দেখে মানুষজন ভিড় করে ওদের ঘরের সামনে।

কেউ কেউ বলে, ওকে আমার কাছে দাও।

– খবরদার না। ওকে আমি কারো কাছে দেবনা।

– তোমার কাপড় তো ভেজা।

– আমি ওকে কীভাবে ধরেছি দেখেন না? ভেজা কাপড় ওর গায়ে লাগাই না। আমিতো ওকে অনেক দূর থেকে তুলে এনেছি। ওর শ্বাস পড়ছে। বুক ধুকধুক করছে। ও চোখ খুলছে না বটে। কেউ যদি ওকে আমার কাছ থেকে জোর করে নিয়ে যেতে চায় তাহলে আমি দায়ের কোপে তার মাথা দুভাগ করে ফেলব।

– হয়েছে যা, আর ভ্যাকভ্যাক করতে হবে না। ঘরে চলে যা।

বিথীকা কারো দিকে না তাকিয়ে ঘরে চলে আসে। মায়ারাণী চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলে, স্বাধীনতা, স্বাধীনতা– আমার স্বাধীনতাকে তুই ঘরে এনেছিস মা।

– মাগো ওকে দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের পর থেকে ওর মুখে কিছুই যায়নি।

– আমি ওকে দুধ খাওয়াবো দে, আমার বুকে দে।

– নাগো মা, ও দুধ টেনে খেতে পারবেনা এখন। তুমি এই গ্লাসে দুধ চেপে নাও, আমি ওকে আস্তে আস্তে খাওয়াব।

– কীভাবে খাওয়াবি?

– দুধে তুলা ভিজিয়ে ওকে দেব। ও আস্তে আস্তে চুষে খাবে

(চলবে)

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি