সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শানজানা আলম

কাজলা দিদির গল্প

‘আম টুকাইয়া আমারে আইনা দিও, আমচূড় দিব, বুঝছো?’

আমাদের চারজনের দলের উদ্দেশ্যে কথাটা বলল সোনা আপু। ১৯৯৩ কি ৯৪ সাল হবে, আমাদের বয়স তিন চার বছরের আশেপাশে। থাকি আব্বুর কলেজ কোয়ার্টারে।

সোনা আপুর আব্বা কলেজের প্রফেসর। আমাদের আব্বারাও সবাই প্রভাষক।

আমরা সারাদিন আমগাছ, জামগাছের নিচে ঘোরাঘুরি করি, পাকা জাম পেলে গিলে ফেলি। আম টুকিয়ে জমা করি। সুযোগ পেলে মেখে খাই। সে সুযোগ কমই আসে, আমাদের হাতে ছুড়ি, বটি দেওয়া হয় না। তাই সোনা আপুর কাছে গিয়েছি, আম কেটে দিবে।

আম কেটে, শুকিয়ে সর্ষে তেলে রেখে আমচূড় হয়, আমাদের দুয়েক টুকরো বের করে দেয়। আমরা চাবাই আর গল্প শুনি।
সোনাআপু সেবারে সম্ভবত ডিগ্রি থার্ড ইয়ারে ভর্তি হয়েছেন, খুব ভালো মনে নেই। তার ভক্ত আমরা বাচ্চাদের দল। মুড়ির মোয়া কি নারকেলের ফোপড়া কাটা হলেই আমাদের ডাক পড়ে। একটা কাঁচের বয়ামে গুড়ে শুকনো বরই ভেজানো। চিপে গুড় বের করে আমাদের মুখে একে একে পুড়ে দেয় সোনা আপু।

বাসার সামনে একটা কাঁঠাল চাপার গাছ। গাছের ফুল কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে, পাকলে হলুদ হয়ে যায়। সে গাছে একটা ডাম্বেল শেপের ফলও ধরে। সোনা আপু বলল, ‘এই ফল খাইলে পাগল হয়া যায় বুঝলা!’
আমরা মাথা নাড়ি, এই ফল খাওয়া যাবে না কিছুতেই। শুধু হলুদ ফুল পারতে ইচ্ছে করে।

দুপুরে মিষ্টি রোদে বসে আমাদের গল্প শোনায় সোনা আপু। একেক দিন একেক গল্প!
“পুকুর ধারে লেবুর তলে,
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই,
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?”

‘কাজলা দিদি কে ছিল, জানো?’ -আমাদের প্রশ্ন করে সোনা আপু।
‘একটা বাচ্চা মেয়ের একজন দিদি ছিল, সে গল্প শুনাইতো।
শোলক বলে ঘুম পড়াইয়ে দিতো, তারপর দিদি একদিন মইরা গেল। তার মা ছোটো মেয়ের কাছে বললেন না কাজলা দিদি নাই, আর ফিরা আসবে না।’

আমাদের মন খারাপ হয়। কাজলা দিদি কেন মরে গেল!
আহা, মেয়েটার দুঃখে আমাদের চোখে পানি চলে আসে।
‘এই, আজকে এইটুকই, কালকে আলি বাবা আর চল্লিশ চোরের গল্প শোনাব। দুপুরে আইসো।’

আমরা বাসায় ফিরে যাই। সকাল হতেই তাড়াহুড়ো করে চলে আসি সোনাআপুর বাসায়। সোনা আপু সবে প্লেটে আলুভর্তা ভাত নিয়েছে, আমাদের দেখে বিরক্ত হয় না।
হেসে বলে, ‘আইসা পড়ছো? ভালো হইছে, বাড়ি থিকা চাইলতা আসছে। খাবানি সবাই মিলে। বসো।’

সোনা আপুর মা বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘এই সোনা, তোর পড়াশোনা নাই, এই পোলাপানদের নিয়া এত সময় বইসা থাকিস।’
সোনা আপু হাসে। ভাত খাওয়া শেষ করে একটা দাঁ নিয়ে বসে চালতা কাটতে বসে।
‘এ্যাই, একটু লবন আর মরিচ গুড়া নিয়ে আয় তো!’
লবন মরিচ গুড়া চলে আসে, সর্ষে তেল দিয়ে মসলা মাখিয়ে আমরা চালতা চাবাই, দাত টক করে ফেলি।
দুপুরে কোনোরকমে নাকে মুখে ভাত দিয়েই এক দৌড়ে সোনা আপুর বাসায়। আজকে আলিবাবা আর চল্লিশ চোরের গল্প হবে।
সোনা আপু দীর্ঘ সময় নিয়ে হীরা-জহরত বোঝাই গুহার মন্ত্র শোনায়, চিচিং ফাঁক!
আমাদের চোখের সামনে যেন সোনা-রূপায় ঝলমল করে ওঠে সেই ডাকাতের আস্তানা।
মর্জিনার বুদ্ধিতে আমরা চমৎকৃত হই।
বেলা শেষ হয়, সাথে গল্পও শেষ হয়।
সেই সব রাতগুলোতে লোডশেডিং হতো। কোয়ার্টারের সবাই বাসার বাইরে নেমে আসত, নিম গাছের মাথায় জোনাকি পোকা থোকা বেঁধে থাকত।

আমরা আবার গুটিশুটি হয়ে সোনা আপুর আসেপাশে।
তখন জমে ভূতের হল্প। ছাড়া বাড়ির ভূত, বাঁশ ঝাড়ের ভূত, কবরখানার ভূত সবাই আমাদের ঘিরে ধরে। গা ঘেঁষাঘেষি করে আমরা গল্প শুনি। ভয়ে শিরদাঁড়া কেঁপে ওঠে, রাতে ঘুমাই কাঁথা মুড়ি দিয়ে।

দুদিন পরে শুরু হয় আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের গল্প।
আহা, এমন চেরাগ যদি আমরা পেতাম! তখনো আলিফ লায়লায় এসব দেখায়নি। আমরা গল্প জেনে গিয়েছি বা শুনে ফেলেছি।
সিনবাদের গল্প শুরু হওয়ার কথা যেদিন, সোনা আপুর জ্বর আসে। আমরা গেলাম পরে আপু বলল, ‘আজ গল্প শোনাতে পারব না রে, শরীরটা ভালো নেই। সুস্থ হয়ে গল্প শোনাব।’

একদিন যায়, দু দিন যায়, সোনা আপুর জ্বর কমে না। সেই সাথে গায়ের ভেতর ব্যাথা, যা খায় সব বমি হয়ে যাচ্ছে।
বাগেরহাট খুলনায় ডাক্তার দেখিয়ে ফেরত আসে কিন্তু অসুখ আর কমে না। আমরা যাই, সোনা আপু শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গেছে। আমাদের মুখও কালো থাকে।

‘এই, তোমরা খেলতে যাও, সোনা অসুস্থ।’
সোনা আপুর বড় ভাই আমাদের খেলতে যেতে বলে, ‘খেলতে ভালো লাগে না। সোনা আপু কবে সুস্থ হবে, কবে আমরা গল্প শুনব!’

কিছুদিন পরে সোনা আপুকে ঢাকায় নিয়ে ডাক্তার দেখানো হলো। ফিরে আসার পরে আমাদের মায়েরা নিজেরা বলাবলি করে, আর বাঁচবে না, মাসখানেক আয়ু বেঁধে দিয়েছে নাকি ডাক্তার। ধুর, আয়ু বাঁধা যায় নাকি, আমরা বিশ্বাস করি না। তবে ওই বাসায় আমাদের যাওয়া বারণ হয়ে যায়। ওখানে অসুখ, জীবাণু। আমাদের দূরে থাকাই ভালো!

সব কিছু কেমন অন্ধকার লাগে, কারও মুখে হাসি নেই। সোনা আপুর একটা কঠিন অসুখ হয়েছে, নাম ক্যান্সার। যার হয়, সে আর বাঁচে না। বড়দের বলাবলিতে আমরাও জেনে যাই, তবে কাউকে বলা যাবে না। নিজেরাও বলি না। চুপচাপ থাকি।

এক মাস শেষ হতে অল্প কিছু দিন বাকি আছে, সোনা আপুকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা গেলাম কারও নিষেধ না শুনেই। সোনা আপুদের বাসার সামনে একটা লাল রঙের সোফা ছিল। আমরা সেখানে বসে গল্প শুনতাম। তার একটা সিঙ্গেল চেয়ারে আপুকে বসিয়ে তিন চারজন মিলে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমরা ভীড় ঠেলে পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। আপু প্যাকাটির মত হয়ে গেছে, চোখের পাশে ময়লা জমে আছে, মুখেও কিছু লেগে আছে, ওষুধ বোধহয়।

আমাদের দেখে হাসার চেষ্টা করে বলল, ‘আমি সুস্থ হয়ে এসে সিনবাদের গল্প শোনাব। দোয়া কইরো।’
আমরা ঘাড় নেড়ে সায় দিই।

সোনা আপু কথা রাখতে পারেনি। এক মাস শেষ হওয়ার আগেই একদিন কলেজের প্রিন্সিপাল কাকার বাড়িতে ল্যান্ডফোনে খবর এলো, সোনা আপু আর নেই।

সে কাজলা দিদি হয়ে গেছে। আমাদের কাজলা দিদি, যে আরব্য রজনী অসমাপ্ত রেখেই অনন্ত মহাশূন্যে পাড়ি জমিয়েছে।
সেই সাতাশ বছর আগের কথা, আজও চোখ ঝপসা হয়ে আসে।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে