বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শানজানা আলম

কাজলা দিদির গল্প

‘আম টুকাইয়া আমারে আইনা দিও, আমচূড় দিব, বুঝছো?’

আমাদের চারজনের দলের উদ্দেশ্যে কথাটা বলল সোনা আপু। ১৯৯৩ কি ৯৪ সাল হবে, আমাদের বয়স তিন চার বছরের আশেপাশে। থাকি আব্বুর কলেজ কোয়ার্টারে।

সোনা আপুর আব্বা কলেজের প্রফেসর। আমাদের আব্বারাও সবাই প্রভাষক।

আমরা সারাদিন আমগাছ, জামগাছের নিচে ঘোরাঘুরি করি, পাকা জাম পেলে গিলে ফেলি। আম টুকিয়ে জমা করি। সুযোগ পেলে মেখে খাই। সে সুযোগ কমই আসে, আমাদের হাতে ছুড়ি, বটি দেওয়া হয় না। তাই সোনা আপুর কাছে গিয়েছি, আম কেটে দিবে।

আম কেটে, শুকিয়ে সর্ষে তেলে রেখে আমচূড় হয়, আমাদের দুয়েক টুকরো বের করে দেয়। আমরা চাবাই আর গল্প শুনি।
সোনাআপু সেবারে সম্ভবত ডিগ্রি থার্ড ইয়ারে ভর্তি হয়েছেন, খুব ভালো মনে নেই। তার ভক্ত আমরা বাচ্চাদের দল। মুড়ির মোয়া কি নারকেলের ফোপড়া কাটা হলেই আমাদের ডাক পড়ে। একটা কাঁচের বয়ামে গুড়ে শুকনো বরই ভেজানো। চিপে গুড় বের করে আমাদের মুখে একে একে পুড়ে দেয় সোনা আপু।

বাসার সামনে একটা কাঁঠাল চাপার গাছ। গাছের ফুল কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে, পাকলে হলুদ হয়ে যায়। সে গাছে একটা ডাম্বেল শেপের ফলও ধরে। সোনা আপু বলল, ‘এই ফল খাইলে পাগল হয়া যায় বুঝলা!’
আমরা মাথা নাড়ি, এই ফল খাওয়া যাবে না কিছুতেই। শুধু হলুদ ফুল পারতে ইচ্ছে করে।

দুপুরে মিষ্টি রোদে বসে আমাদের গল্প শোনায় সোনা আপু। একেক দিন একেক গল্প!
“পুকুর ধারে লেবুর তলে,
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই,
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?”

‘কাজলা দিদি কে ছিল, জানো?’ -আমাদের প্রশ্ন করে সোনা আপু।
‘একটা বাচ্চা মেয়ের একজন দিদি ছিল, সে গল্প শুনাইতো।
শোলক বলে ঘুম পড়াইয়ে দিতো, তারপর দিদি একদিন মইরা গেল। তার মা ছোটো মেয়ের কাছে বললেন না কাজলা দিদি নাই, আর ফিরা আসবে না।’

আমাদের মন খারাপ হয়। কাজলা দিদি কেন মরে গেল!
আহা, মেয়েটার দুঃখে আমাদের চোখে পানি চলে আসে।
‘এই, আজকে এইটুকই, কালকে আলি বাবা আর চল্লিশ চোরের গল্প শোনাব। দুপুরে আইসো।’

আমরা বাসায় ফিরে যাই। সকাল হতেই তাড়াহুড়ো করে চলে আসি সোনাআপুর বাসায়। সোনা আপু সবে প্লেটে আলুভর্তা ভাত নিয়েছে, আমাদের দেখে বিরক্ত হয় না।
হেসে বলে, ‘আইসা পড়ছো? ভালো হইছে, বাড়ি থিকা চাইলতা আসছে। খাবানি সবাই মিলে। বসো।’

সোনা আপুর মা বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘এই সোনা, তোর পড়াশোনা নাই, এই পোলাপানদের নিয়া এত সময় বইসা থাকিস।’
সোনা আপু হাসে। ভাত খাওয়া শেষ করে একটা দাঁ নিয়ে বসে চালতা কাটতে বসে।
‘এ্যাই, একটু লবন আর মরিচ গুড়া নিয়ে আয় তো!’
লবন মরিচ গুড়া চলে আসে, সর্ষে তেল দিয়ে মসলা মাখিয়ে আমরা চালতা চাবাই, দাত টক করে ফেলি।
দুপুরে কোনোরকমে নাকে মুখে ভাত দিয়েই এক দৌড়ে সোনা আপুর বাসায়। আজকে আলিবাবা আর চল্লিশ চোরের গল্প হবে।
সোনা আপু দীর্ঘ সময় নিয়ে হীরা-জহরত বোঝাই গুহার মন্ত্র শোনায়, চিচিং ফাঁক!
আমাদের চোখের সামনে যেন সোনা-রূপায় ঝলমল করে ওঠে সেই ডাকাতের আস্তানা।
মর্জিনার বুদ্ধিতে আমরা চমৎকৃত হই।
বেলা শেষ হয়, সাথে গল্পও শেষ হয়।
সেই সব রাতগুলোতে লোডশেডিং হতো। কোয়ার্টারের সবাই বাসার বাইরে নেমে আসত, নিম গাছের মাথায় জোনাকি পোকা থোকা বেঁধে থাকত।

আমরা আবার গুটিশুটি হয়ে সোনা আপুর আসেপাশে।
তখন জমে ভূতের হল্প। ছাড়া বাড়ির ভূত, বাঁশ ঝাড়ের ভূত, কবরখানার ভূত সবাই আমাদের ঘিরে ধরে। গা ঘেঁষাঘেষি করে আমরা গল্প শুনি। ভয়ে শিরদাঁড়া কেঁপে ওঠে, রাতে ঘুমাই কাঁথা মুড়ি দিয়ে।

দুদিন পরে শুরু হয় আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের গল্প।
আহা, এমন চেরাগ যদি আমরা পেতাম! তখনো আলিফ লায়লায় এসব দেখায়নি। আমরা গল্প জেনে গিয়েছি বা শুনে ফেলেছি।
সিনবাদের গল্প শুরু হওয়ার কথা যেদিন, সোনা আপুর জ্বর আসে। আমরা গেলাম পরে আপু বলল, ‘আজ গল্প শোনাতে পারব না রে, শরীরটা ভালো নেই। সুস্থ হয়ে গল্প শোনাব।’

একদিন যায়, দু দিন যায়, সোনা আপুর জ্বর কমে না। সেই সাথে গায়ের ভেতর ব্যাথা, যা খায় সব বমি হয়ে যাচ্ছে।
বাগেরহাট খুলনায় ডাক্তার দেখিয়ে ফেরত আসে কিন্তু অসুখ আর কমে না। আমরা যাই, সোনা আপু শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গেছে। আমাদের মুখও কালো থাকে।

‘এই, তোমরা খেলতে যাও, সোনা অসুস্থ।’
সোনা আপুর বড় ভাই আমাদের খেলতে যেতে বলে, ‘খেলতে ভালো লাগে না। সোনা আপু কবে সুস্থ হবে, কবে আমরা গল্প শুনব!’

কিছুদিন পরে সোনা আপুকে ঢাকায় নিয়ে ডাক্তার দেখানো হলো। ফিরে আসার পরে আমাদের মায়েরা নিজেরা বলাবলি করে, আর বাঁচবে না, মাসখানেক আয়ু বেঁধে দিয়েছে নাকি ডাক্তার। ধুর, আয়ু বাঁধা যায় নাকি, আমরা বিশ্বাস করি না। তবে ওই বাসায় আমাদের যাওয়া বারণ হয়ে যায়। ওখানে অসুখ, জীবাণু। আমাদের দূরে থাকাই ভালো!

সব কিছু কেমন অন্ধকার লাগে, কারও মুখে হাসি নেই। সোনা আপুর একটা কঠিন অসুখ হয়েছে, নাম ক্যান্সার। যার হয়, সে আর বাঁচে না। বড়দের বলাবলিতে আমরাও জেনে যাই, তবে কাউকে বলা যাবে না। নিজেরাও বলি না। চুপচাপ থাকি।

এক মাস শেষ হতে অল্প কিছু দিন বাকি আছে, সোনা আপুকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা গেলাম কারও নিষেধ না শুনেই। সোনা আপুদের বাসার সামনে একটা লাল রঙের সোফা ছিল। আমরা সেখানে বসে গল্প শুনতাম। তার একটা সিঙ্গেল চেয়ারে আপুকে বসিয়ে তিন চারজন মিলে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমরা ভীড় ঠেলে পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। আপু প্যাকাটির মত হয়ে গেছে, চোখের পাশে ময়লা জমে আছে, মুখেও কিছু লেগে আছে, ওষুধ বোধহয়।

আমাদের দেখে হাসার চেষ্টা করে বলল, ‘আমি সুস্থ হয়ে এসে সিনবাদের গল্প শোনাব। দোয়া কইরো।’
আমরা ঘাড় নেড়ে সায় দিই।

সোনা আপু কথা রাখতে পারেনি। এক মাস শেষ হওয়ার আগেই একদিন কলেজের প্রিন্সিপাল কাকার বাড়িতে ল্যান্ডফোনে খবর এলো, সোনা আপু আর নেই।

সে কাজলা দিদি হয়ে গেছে। আমাদের কাজলা দিদি, যে আরব্য রজনী অসমাপ্ত রেখেই অনন্ত মহাশূন্যে পাড়ি জমিয়েছে।
সেই সাতাশ বছর আগের কথা, আজও চোখ ঝপসা হয়ে আসে।

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত