শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মাসুদ খান

প্রিয় ১০ কবিতা

সংশ্লেষ

সাহারা যদি হয় এক ধূসর থিসিস,
কঙ্গোর বৃষ্টিবন তবে তার এক অনবদ্য অ্যান্টিথিসিস।
ধূসর ও সবুজের এমন দাউদাউ সংশ্লেষের নামই আফ্রিকা।

বস্তুত পৃথিবীটাই এরকম বালু ও বাষ্পের,
রাগ ও স্নেহের দুর্দান্ত সিনথিসিস।

কোথায়ই-বা যাবে তুমি? কোথাও পাবে না এই কূটাভাস, একসঙ্গে মধু আর বিষ 
যেখানেই যাও, বুধে বা মঙ্গলে, সবখানে একটানা ঊষর থিসিস।

শুধু এক মহাজাগতিক জ্যোৎস্না, মানে
অশ্রুত অলীক সুর, টিপটিপ ঝরতে থাকবে সবখানে।

সেই জ্যোৎস্না, অলীক স্পন্দন—মৃদু, স্নিগ্ধ, আকস্মিক
কিন্তু না-তারা পার্থিব, না বৌধিক, কিংবা মাঙ্গলিক! 

 

 

বিস্তার

কেউ চলে যাবার পরেও থেকে যায় তার নিঃশব্দ আবেশ
বৃষ্টি থেমে গেলেও যেমন থাকে মিষ্টি আওয়াজের মৃদু রেশ।

থেমে গেছে সুফিগান, ঘুমিয়ে পড়েছে শ্রোতা, আজকের মতো এই শেষ
তবুও ঘূর্ণনজাড্যে ঘুরেই চলেছে ধীরে সেই এক আবিষ্ট দরবেশ।

 

 

তৃষ্ণা

তেতে-ওঠা বালুর ওপর দিয়ে হাহাকার করে ধেয়ে আসে
এক মরুসরীসৃপ, মুসাফিরের দিকে।
‘বিষ ঢালব না, ছিঁড়ে খাব না মাংস, শুধু একটু গলা ভেজাব রক্তরসে,
এমন ছাতিফাটা কহর তৃষ্ণায় প্রাণ যায়-যায়, এটুকু রহম করো হে বেদুইন’
ব’লে সেই গনগনে সরীসৃপ ঝাঁপ দিয়ে পড়ে বিদ্যুৎ গতিতে,
গোড়ালি কামড়ে ধরে রক্ত শুষে ভিজিয়ে নেয় জিহ্বা ও গলা,   
তারপর নিমেষে উধাও, এক ক্ষমাহীন বিষুবীয় ক্রুদ্ধ মরীচিকার ভেতর।

 

 

ফাতনা

সরল ছিপের এক প্রান্তে মাছশিকারি, চুপচাপ।
অন্য প্রান্তে মাছ।

মাঝখানে নিরীহ ফাতনা—ভাসে নিরুপায়, মধ্যপক্ষরূপে
তাকায় চঞ্চল শিকারের দিকে একবার, পরক্ষণে ধূর্ত শিকারির প্রতি।

জগতের প্রত্যেকটি ঘটনার তীব্র, তুঙ্গ মুহূর্তে হাজির থাকে
তৃতীয় একটি পক্ষ। থাকে এক সুদর্শন মাছরাঙা—
বড়শির বিবেকের মতো বাঁকা, রঙিন, আকর্ষণীয়।

আর এই সমস্তকিছুর মৌনী মধ্যস্থতা আকারে ভাসতে থাকে
একা এক শোলার ফাতনা।

 

 

উপমান

তোমার মুখের ওপর ঝেঁপে নেমে আসছে বেসামাল কেশদাম, খেয়ালি হাওয়ায়।
তারই ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে এক লালচে নির্জন দুষ্টব্রণ, গণ্ডদেশে তোমার—
যেন পুঞ্জাক্ষ আনারসের ঝোপে খুব ছোট্ট এক রূপদক্ষ গিরগিটি...

অতিদূর অতীত থেকে ভেসে আসে দূরগামী তূর্ণ ট্রেনের সিটি।

 

 

আন্তর্জাগতিক

ভিন গ্যালাক্সির মেয়ে তুমি, ভিন্ন গ্রহের মেয়ে
তোমায় আমি ফুটিয়ে তুলি ইচ্ছাশক্তি দিয়ে।
দেখতে কেমন, ভাষা কী তার, কেমন অবয়ব—
জড়বুদ্ধি জাহিল আমি, জানি না ওসব।

তার মন তৈরি রূপ তৈরি কেমন উপাদানে
কল্পভীরু এই কবি আর কীই-বা তার জানে!  
জানি না তার অনুভূতি, আবেগ, স্বভাবগতি
স্রেফ অনুমানেই ফুটিয়ে তুলি, এমন প্রাণবতী!

ছায়াপথ ছাড়িয়ে, দূরের ওই সুরগঙ্গা, তারও ওইপারে, বহির্গোলকে,
শঙ্কু-আকৃতির এক মিটিমিটি আলো-জ্বলা ঘরে ব’সে
ভিন্ন ভুবনের মেয়ে তুমি 
নির্নিমেষ চেয়ে আছ হে আমারই জানালার দিকে।

হৃদয়ের নেশা, এক আন্তর্জাগতিক নেশা...
একদিন ঘনিয়ে আসব ঠিকই দুইজনে, পরস্পরে।

তোমার আমার ঘনীভূত অভিকর্ষ দিয়ে
আস্তে-আস্তে বাঁকিয়ে ফেলব দেশকাল
দূর দুই জগতের মাঝখানে যে ব্যাকুল মহাশূন্য,
বেঁকে যাবে তা টানটান অশ্বক্ষুরাকার চুম্বকের মতো।
আলোকবর্ষের ওই মহাদূর দূরত্বই হয়ে যাবে
তুড়ি-মেরে-উড়িয়ে-দেওয়া ঘণ্টা কয়েকের পথ।
আর আমি ঠিকই সাঁতরে পাড়ি দেবো ওইটুকু মহাকাশ।

জ্যামিতির ছুড়ে-দেওয়া এক জেদি অথচ লাজুক স্পর্শকের মতো
তোমাকেই ছুঁয়ে ছুঁয়ে বয়ে যাব আমি
পৃথিবী নামের গ্রহ থেকে ছোটা হেমন্তদিনের হাওয়া।

 

 

কাঠবিড়ালির দর্শন

নিষ্ফলা কাঠবাদাম গাছ।

কী খেয়ে বাঁচবে তবে কাঠবিড়ালিরা!
তা-ভেবে কে যেন প্রতিদিন
চুপিচুপি গোড়ায় ছড়িয়ে রাখে প্রচুর চিনাবাদাম।

তন্ন-তন্ন করে খুঁজছে বাদামফল, গাছবিড়ালিরা, ডাল থেকে ডালে।    
কিন্তু নিষ্ফল।

আর সেই নিদারুণ বাদাম-বিফলতার পর   
একসময় গাছ থেকে নেমে আসে হতাশ কাঠবিড়ালি।
নেমেই স্ফারিত চোখে চেয়ে দ্যাখে 
প্রচুর চিনাবাদাম ছড়ানো মাটিতে।

কে দেয়, কোত্থেকে আসে, কিছুই জানে না তারা। শুধু জানে—
কাঠবাদাম গাছের গোড়ার বাকল ফুঁড়ে
প্রতিদিন প্রকাশিত হয় আর টুপটাপ ঝরে পড়ে
খোসাসহ রাশি-রাশি আমান চিনাবাদাম।

 

 

 

মিসিং লিংক


কালোবাজারের মর্মস্থলে বসে এতকাল
চালান করেছ দারুচিনি, ভাবাবেগ...সীমান্তের এপার-ওপার।
আজ দেখি আনাগোনা
না-কালো-না-শাদা এই হৃদগন্ধা ধূসরবাজারে!

এই তো এখন চারপাশ থেকে
কানে ভেসে আসছে বকুলের গন্ধধ্বনি
নাকের ঝিল্লিতে ঝাপসা ধাক্কা খাচ্ছে
ব্রতবদ্ধ ব্যস্ত মৌমাছির বিবিধ গুঞ্জনগন্ধ।
আর কিছুক্ষণ পরে ঝোপের আড়াল থেকে
ঢুলুঢুলু চোখে তাকাবে বহুচক্ষু আনারস
তার চূড়ায় চড়ে-বসা এক মাথাগরম গিরগিটি 
চেরা জিভ বাড়িয়ে দিয়ে মাপতে থাকবে
টিপটিপ রোদের সুর, ছন্নমতি খেয়ালি হাওয়ার গতি।
রূপসী আকন্দফুল, অভিনয়পটু, সখিদল নিয়ে ছিনালি-আনন্দে
মান ভাঙাবে তিরিক্ষিমেজাজ কিছু বিছুটিপাতার।

এইবার মেলাও তো দেখি হে গুনিন
ওপরের দুই স্তবকের মধ্যকার মিসিং লিংক?

 

 

তদন্ত

কী ঘটেছে ওইখানে, ওই ছায়াপথে,
রাতের আকাশে ফুটে-ওঠা
ওই চেরি-ব্লসমের পুষ্পসমাবেশে?

যেন এক মহাজাগতিক অপরাধপট,
তদন্ত চলছে, নেমে পড়েছে বাঘা-বাঘা সব
জ্যোতির্গোয়েন্দা ও মহাকাশীয় পুলিশ
অকুস্থলে খোঁজা হচ্ছে ক্লু, মোটিভ, সাক্ষী ও সাবুদ,
কিংবা অ্যালিবাই...

ওই যে ওখানে একটি তারা ছিল,
লাপাত্তা হঠাৎ। মেরে ফেলেছে কি কেউ?
কোথায়ই-বা লুকালো সে-ডেডবডি?

হঠাৎ হাউৎ করে ডুকরে-ওঠা, গায়ে-হিম-ধরানো কসমিক কান্না...

আর কারাই-বা, কোন ধীর বিষপ্রক্রিয়ায়,
আস্তে-আস্তে হনন করছে প্রিয় এই গ্যালাক্সিকে!

দীর্ঘ তদন্তের পর জানা গেল—
ওই যে আবর্তমান তারা-ফোটা মহাজাগতিক চাকতি,
কল্পনাকেও ক্লান্ত-করে-ফেলা ওই মহাকায় যমজাঙাল,
মর্মদেশে বসে আছে তার
সে-এক ভাবগম্ভীর, রাশভারী, ঘনীভূত কালামামা।

এইসব নাকি তারই কাজ।

 

 

দুঃস্বপ্নের মধ্যপর্ব

পাকা রাস্তা ভেদ করে ফুঁসে উঠছে চাপা-পড়া উলু ঘাস।
এমনই অদম্য তবে উদ্ভিদের উৎপ্রেষ?
ভাং-মেশানো ভাষার ভেতর বইয়ে দিচ্ছে ভেজা-ভেজা সুর    
ঊর্ধ্বমুখী তাড়নায় ওই দ্যাখো 
যুক্তি বাঁকিয়ে গোলাকার করে ফেলছে সব প্রসাদপুষ্ট বুধমণ্ডলী,
কুবের কুমির আর যক্ষদের সপক্ষে।
চোখেমুখে তাদের অনর্গল বুধবিকিরণ। আর বলাই বাহুল্য—
যখনই অ্যাপেন্ডিক্সরা ভূমিকা নেয় জিহ্বার, আর তা চলতে থাকে অবিরাম,
তখনই সমাজে দেখা দেয় চণ্ড ব্যথা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের।    

তবে বুধবর্গ ভয়ে থাকে সারাক্ষণ—কখন যে কে এসে তাদের
সুরক্ষিত সফটঅয়্যারের মেঘে মিশিয়ে দেয় দুরারোগ্য বাগ ও ভাইরাস
আনডু করে দেয় সরাসরি সমস্ত অর্জন ও আস্ফালন।
ভয়ে থাকে সারাক্ষণ
কখন যে কারা এসে গোল করে ফেলে দুর্ভেদ্য চাট্টিবাট্টি তাদের
কিংবা ক্লোজ করে দেয় সানডে মানডে একদম দূরতর ফ্রাইডে অবধি।
সুধী দুর্ধী সবাই থাকে তাই এক চিনচিনে ভয়ের ভেতর।
আর কে না-জানে-- দুঃস্বপ্ন দেখাটাও এক ধরনের দক্ষতা।

নিচে নেমে এসো ন্যায়াধীশ, দেখে যাও—
বলকানো ভাতের হাঁড়ি ঘিরে বসে আছে তিনটি ক্ষুধার্ত শিশু
মাছের চাতুর্যে নাজেহাল হচ্ছে বাচ্চা বক, দূরে, আত্রাই নদীতে
বনপথে বানরেরা লুট করে নিচ্ছে ট্রাকভর্তি পাকা কলা
জিনদের জীবাণু এসে ধরছে ইনসানে
এসব কি ন্যায় হচ্ছে কোনো, ন্যায়াধীশ?
এ কেমন দুরাচার, আয়ুর অসম বণ্টন   
চোর দিয়ে চোর ধরাধরি, নাটকীয় কাঁটা দিয়ে কাঁটা...  
আর এ সবই ঘটে সেইদিন
যেদিন তুখোড়তম গোয়েন্দাকে আবারও উল্লু বানিয়ে
সটকে পড়ে খতরনাক অপরাধী। 

দমকা হাওয়ায় দ্রুত মুড সুইং হচ্ছে নদীর।
ফের দমকা হাওয়ায় কার যেন হাত ধরে পালিয়েছে
মল্লিকবাড়ির আফরোজা মল্লিকা। জীবনের প্রথম ক্রাশ...
আর তা-ই নিয়ে কত কথা!
বিয়ের আগে যেন স্বপ্নে-পাওয়া দিব্যপ্রভা  
অথচ বিয়ের পর নিরেট আসবাবশোভা।
মেকি দাম্পত্যসুখের ছবি, ফটোশপ-করা সুখ
নদী শুধু একবার ভ্যাবাচ্যাকা খাবে উত্তাল সাগরের মোহনায়
তারপর স্বতঃস্ফূর্ত মিশে যাবে দরিয়ায়  
নির্বিকার নির্বিকল্প। আনকোরা নতুন জাহাজ
জীবনে প্রথম জলে নামে শঙ্কা-থরোথরো
জ্যোতির্ময় জলদস্যুর সম্ভাবনা-জেগে-ওঠা জলরাশি... 

ইউরেকা ইউরেকা বলে সেই কবে আচমকা ছুটেছিল উত্তেজিত আর্কিমিডিস,
তারও বহু আগে থেকেই মানুষ ভাসিয়েছে নৌকা ও জাহাজ।
বস্তুত যে-কোনো সূত্র উদ্ভাবনের আগেই
মানুষ জেনে এসেছে সে-সূত্রের ব্যবহার, এমনকি দুর্ব্যবহারও।
মানুষের চর্চা ও চর্যা তাই তার সফল জ্ঞাননাট্যের প্রিক্যুয়েল মাত্র।     

দীক্ষার্থী এসেছে মঠে, যাকে বসিয়ে রেখেছিলে
ওই দূর ঊনপঞ্চাশের নির্জনে।
দাও দীক্ষা এখন এ অর্বাচীনে
সেইসাথে দিৎসাও জাগিয়ে তোলো ধীরে, অভ্যন্তরে।
আধার এগিয়ে ধরো যদি নিরাধারে
আশ্রয় এগিয়ে দাও যদি নিরাশ্রয়ে
ভিক্ষার্থীকে দিয়ো তবে মুষ্টিভিক্ষা ওগো দানেশ্বরী।
নচেৎ বিফলে যায় আমাদের এ দুঃখদিনের মাধুকরী।

আলাভোলা মার্বেল, চুপচাপ থেমে আছে পথের ঢালে।
ঢালু, গতি নেই তবু। মনোযোগ নেই তার গড্ডয়নে।
তাকে দিয়ো মনোযোগ
মার্বেলের অগতিকে দিয়ে দিয়ো রঙিন রিনিঝিনি গতিজাড্য
জঙ্গলের তমোমণি তুমি হে জোনাকি
তমসা কাটিয়ে দিয়ো হেসে মিটিমিটি।

নিজের পুরনো খাত ফেলে এঁকেবেঁকে পালিয়েছে নদী
সীমান্ত পার হয়ে অন্য দেশে।
এখন সে বয়ে যায় অন্য এক বিষণ্ন হারাবতীর শুকিয়ে-যাওয়া খাতে 
যেমন বিপ্লব ব্যর্থ হলে গেরিলারা বনবাসে যায় প্রতিবেশী রাজ্যে
যেমন পিক-আপ থেকে পালায় ধরে-আনা বাঘের শাবক।

ময়ূরাক্ষী বইছে এখন ডাকাতিয়ার খাতে
খাত বদলের চমকলীলা চলছে দিনে রাতে
স্পষ্ট দিনের বেলা
খাত বদলের খেলা...
নদীশাসন পলিবহন বিষম অনুপাতে।

 কী যে দুষ্ফল ফলেছে এবার গাছে গাছে খুনখারাবি রং
গতিদীর্ণ খানাখন্দ পথ, দারুদহনের দিনে নিঃস্ব বনভূমি...
চত্বরের বেদিতে উঠে সমবেত পায়রাদের উদ্দেশে
অনর্গল বলকাতে-থাকা এক ধূসর ধুরন্ধর ঘুঘু,
পাশে এক বাচ্চা গোল্লা কবুতর
যেন ওয়াজের উত্তেজিত বক্তার পাশে দাঁড় করিয়ে-রাখা কাঁচুমাচু নওমুসলিম।
ওদিকে মাদক আর নারীশিকারের ফাঁদ পেতে রাখে কালাধনে ধনাঢ্য ফাঁদিয়াল
তাদের রয়েছে কত পালিত পুলিশ আর সারি-সারি সব শায়িত সাংবাদিক...।

এদের তো চিনি না, এরা কারা
আচমকা থানা আক্রমণ করে আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে
ছেড়ে দিয়ে গেল নিরাপদে! বিপ্লবীরা অবাক রীতিমতো।
সেইসঙ্গে উদ্ধারকদেরসহ
সবাইকে ফের তাবা-তাবা করে দেবার শপথ নেয় তারা।
শুধু দেয় এইটুকু নিশ্চয়তা-- শবসৎকার হবে সবারই, যথাযথ ধর্মমতে।

দংশনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলে বাস্তুতক্ষকও
দুঃস্বপ্নের মাঝপথ থেকে  
ধড়ফড় করে জেগে ওঠে ভীত তক্ষকতাড়িত গৃহস্থ।    
জোরে বাক দিয়ে ওঠে মিনারচূড়ার আবহমোরগ
মোটেও ভালো নয় কিন্তু এইসব উঁচু আলামত...
ঝটপট বলে ওঠে গণৎকার।

কপোতাক্ষ বইতে থাকে দামোদরের খাতে
খাত বদলের নর্মলীলা চলছে দিনে রাতে
স্পষ্ট দিবালোকে
খাত বদলের ঝোঁকে
পড়ছে ভেঙে এ-কূল ও-কূল দুকূল একই সাথে।

 

Header Ad
Header Ad

ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি

ছবিঃ সংগৃহীত

সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবে কাম্য নয়। ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের আমরা সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যে থেকে গ্রেপ্তার করে হস্তান্তর করি। সেটা কতটুকু আর করা যাবে?

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নবসৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে জানতে চাইলে বিজিবিপ্রধান বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টি এক নম্বরে ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত বিএসএফ সদর দপ্তর থেকে শুরু করে যে জায়গায় হত্যা হলো, সব জায়গায় বিজিবির পক্ষ থেকে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এই ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।

আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি যেন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে। তবে আমরা জোরালো শক্ত ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর পর কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন অবৈধভাবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করছিল। তখন বিএসএফ বাধা দেওয়ার পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।

বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, সেই সংঘাতে বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ওই যুবকের পেটে লাগে। দুর্বল জায়গায় রাবার বুলেটও হত্যা ঘটাতে পারে। বাংলাদেশি যুবককে আহত অবস্থায় তারা (বিএসএফ) হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল; তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যা-ই হোক, হত্যা কোনো চূড়ান্ত সমাধান হতে পারে না।

এপর আর একটি (হত্যা) যদি হয়, আমরা পরবর্তী সময়ে আরো কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা চেষ্টা করছি, যেন ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা না করে।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে আছেন। আহত রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে, এ ঘটনা যে ওই জায়গারই, তার প্রমাণ কী।

মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবির ডিজি বলেন, মায়ানমার সীমান্তে কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ না করলে (মাদক ছাড়া) তার নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে আমরা বিজিবি তৈরি আছি।

Header Ad
Header Ad

রমজান ঢাকার ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয় করা হবে। সুলভমূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুলাই বিল্লবের সময় যেসব স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব স্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বস্তি এলাকায় প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে ‘রমজানে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির এলাকাগুলো হচ্ছে-সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গণি রোড), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), ষাটফুট রোড (মিরপুর), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা), বনশ্রী, হাজারীবাগ (সেকশন), আরামবাগ (মতিঝিল), মোহাম্মদপুর (বাবর রোড), কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিক নগর গলির মুখে), শাহাজাদপুর (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি-বনানী, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও (রেল ক্রসিং দক্ষিণে), নাখালপাড়া (লুকাস মোড়), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), বসিলা (মোহাম্মদপুর), উত্তরা (হাউজ বিল্ডিং), রামপুরা (বাজার), মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) ও কাকরাইল।

তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাজারে যারা অহেতুক, অন্যায়ভাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আপনারাও সোচ্চার হবেন। তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। এবার রমজান ভিন্নতর হবে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বাধীন দেশে নতুন করে পবিত্র রমজান পালন করব। সেই ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। অন্তর্বর্তী সরকার হিসাবে শুধু কিছু সংস্কার করব তা নয়, আমাদের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষ যেসব কারণে কষ্ট পাচ্ছিল, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনা। এখন দ্রব্যমূল্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি রমজান মাসকে কেন্দ্রে করে হলেও অতি প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করতে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সুলভমূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমে ড্রেসড ব্রয়লার মাংস প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, দুধ পাস্তুরিত প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা এবং গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এতে সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএফএ) এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজন এবং প্রান্তিক খামারিরা।

এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) তোফাজ্জেল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা) চেয়ারম্যান কমান্ডার জাহিরুল আলিম, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরের মিঠাপুকুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে মৎস্য খামারের মাছ চুরি এবং রোপণকৃত চার শতাধিক আমগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ফকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তার ভাড়াটে লোকজনের বিরুদ্ধে।

এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন খামারের মালিক এনামুল হক চৌধুরী (হীরা)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মিঠাপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার ৮ নম্বর চেংমারী ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার গিলাঝুঁকি মৌজাস্থ খামারে প্রথমে আমগাছ উপড়ে ও ভেঙে ফেলা হয়। এরপর রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাছ চুরি করা হয়।

ফকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু জমির মালিকানা নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ব্যক্তি মালিকানার মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিজ দেওয়া গিলাঝুঁকি মৌজার ৭.৯৩ একর জমিতে এনামুল হক চৌধুরী (হীরা) ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা দাবি করেন এবং সেখানে মৎস্য চাষ করে আসছিলেন। এ নিয়ে তিনি মিঠাপুকুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করেন এবং আদালত চলমান মামলার প্রেক্ষিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

এনামুল হক চৌধুরীর দাবি, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে ভাড়াটে লোকজন খামারে হামলা চালায়। তারা খামারের কেয়ারটেকার সাগর মিয়া ও মোকছেদ আলীকে মারধর করে এবং আমগাছ উপড়ে ফেলে। পরে রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিন শতাধিক মণ মাছ চুরি করা হয়।

খামারের নৈশপ্রহরী মোন্নাফ বলেন, “রাতে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়, আর বিদ্যুৎ না থাকায় আমি বাড়ি চলে যাই। সকালে এসে দেখি আশপাশের লোকজন মরা মাছ নিয়ে যাচ্ছে। হয়তো দুষ্কৃতিকারীরা বিষ প্রয়োগ করেছে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “পুকুর বিদ্যালয়ের, সেখানে গাছ লাগানোর অধিকার কারও নেই।”

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি
রমজান ঢাকার ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস
মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ
রমজানে শপিংমল, বাস টার্মিনালে ছদ্মবেশে দায়িত্ব পালন করবে ডিবি সদস্যরা  
টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  
এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার
নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার
স্বামীকে হত্যার পর বুকে ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে আত্মহত্যা