শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ৪

অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব: ৪

পরদিন রাতে শাবিনকে বেশ ফুরফুরে মনে হলো। ঘর আটকে সে মেঝেতে আয়োজন করে বসেছে। তার সামনে ছোটো ব্যাগ। সেই ব্যাগ থেকে তিনটা ছোটো বোতল বের করল। আমি একজন মানুষ যে এ ঘরে আছি তা যেন ভুলে গেছে।
শাবিনের পাশে গিয়ে বসলাম। সে একটা বোতল খুলল। মুখ হা করে সেই বোতল থেকে ঢক করে অর্ধেকটা তরলকিছু খেয়ে ফেলল। ওষুধের হালকা গন্ধ আসছে। জিগ্যেস করলাম, ‘এটা কী?’
শাবিন বলল, ‘ডাইল।’
‘ডাইল কী?’
‘ফেন্সি।’
‘ফেনসিডিল?’
‘হু।’
‘খেলে কী হয়?’
‘নেশা হয়।’
‘নেশা করার জন্য তুমি ফেনসিডিল কেন খাবে, শাবিন! তুমি হুইস্কি খাবে, ভদকা খাবে, নহয় ওয়াইন খাবে। কিছু না পেলে ইন্ডিয়া থেকে প্রচুর রাম আসছে, রাম খাবে। ফেনসিডিল কেন খাচ্ছ?’
‘হুইস্কি খাওয়ার পয়সা জোগাড় করতে পারি না। মা টাকা দেয় না। বাপের কোনো খবর নেই দিনের পর দিন।’
‘এসব খাবে না। আমি তোমাকে হুইস্কি খাওয়াব। আমার সাথে খাবে।’
‘ফেনসিডিলেই আমার এখন নেশা ভালো হয়।’
বলে বোতলের বাকি ফেনসিডিল গলায় ঢেলে দিলো।
জানতে চাইলাম, ‘গতকাল কী খাচ্ছিলে?’
‘শাকসবজি।’
‘শাকসবজি?’
‘ঘাস।’
‘ঘাস কী?’
‘গাঁজা।’
‘তুমি রোজ খাও?’
‘হ্যাঁ।’
‘কেন খাও?’
‘তুমি খাবে? খেয়ে দেখো। মনে হবে আকাশে উড়ছ। মেঘের সঙ্গে তোমার প্রেম। তার হাত ধরে তুমি উড়বে।’
শাবিন আরেকটা বোতলের মুখ খুলল। এক ঢোক ফেনসিডিল খেলাম। আমার কিছু হলো না।
শাবিন সেই বোতলটাও শেষ করে আরেকটা বোতল খুলেছে। সে বলল, ‘তুমি খুব ভালো। তোমার হাতটা ধরি?’
হাত বাড়িয়ে দিলাম। শাবিন আমার হাত ধরে আলগোছে টান দিলো। তিন বোতল ফেনসিডিল খেয়ে তার নেশা হয়েছে মনে হচ্ছে। খানিকটা ঝুঁকে ওর কোলে শুয়ে পড়লাম।
শাবিন বলল, ‘তোমার কাঁধের কাছে লাল হয়ে আছে। কিসের দাগ?’
‘গতরাতে তুমি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলে। চড় মেরেছিলে।’
‘গাঁজা খেলে কিছু মনে থাকে না। আমার কিছু মনে নেই। তুমি সেই কথা বাড়ির অন্যদের বলোনি তো?’
‘না, বলিনি।’
‘কেন বলোনি?’
‘এটা তোমার আর আমার পারসোনাল ব্যাপার। অন্যদের কেন জানাব?’
‘তুমি সত্যি খুব ভালো মেয়ে। তোমাকে ঠিক ওরকম আরেকটা সোনার চেইন বানিয়ে দেব।’
‘আমার চেইন কী করেছ?’
‘বেচে দিয়েছি। তবে সব টাকা এখনো নিইনি। ওর কাছে কিছু রেখে দিয়েছি।’
‘কার কাছে?’
‘যার কাছে বেচেছি। টাকা নিয়ে ডাইল কিনেছি আর পুরিয়ার অর্ডার দিয়েছি।’
‘পুরিয়া কী?’
‘হেরোইন। চকলেটের খোঁজে আছি। সবুজ ম্যানেজ করবে বলেছে।’
‘সবুজ কে?’
‘আমার বন্ধু। সবুজ, হাবিব, এনায়েত। ওদের আজ সবাইকে তিন বোতল করে ডাইল গিফট করেছি। আমার বিয়ে উপলক্ষে বাদশাহী খাওয়া। অনেকদিন আমাদের হাতে টাকা ছিল না। এখন আমার টাকা হয়েছে। সেই টাকায় আমরা চকলেট খেতে পারব। সব হয়েছে তোমার জন্য। তুমি লাকী।‘
‘কী চকলেট?‘
‘হিটলার চকলেট। বাবা। শালা আমার বাবা। এতদিন চাকা খেয়েছি। এবার বাবা খাব।’
‘চাকা কী?’
‘নেশার ট্যাবলেট।’
‘বাবা কী?’
‘ইয়াবা। খামাখা দাম বেশি। তুমি দারুণ লাকী। তুমি আমাদের জন্য বাবা আনার ব্যবস্থা করে দিয়েছ। তোমাকে আজ ভীষণ আদর করতে ইচ্ছে হচ্ছে।’
উঠে বিছানায় এলাম। শাবিন এলো। অবসন্ন হাতে আমার পরনের কাপড় খুলতে থাকল। শাবিনকে সাহায্য করলাম। সে কী করবে যেন বুঝতে পারছে না। এলোমেলোভাবে আমাকে আদর করতে গেল। আমার ওপরে উঠল। আমাকে তারওপরে তুলে নিলো। কিছুতেই যেন নিজেকে প্রস্তুত করতে পারল না।
খাট থেকে নেমে পড়েছে শাবিন। ফ্লোরে বসে খাটে মাথা দিয়ে আছে। আমার অসহ্য লাগছে। শরীর অস্থির হয়ে গেছে। চুপচাপ চিত হয়ে শুয়ে আছি।
শাবিন কাঁদছে। সে খাট চেপে ধরে ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলল,‘ আই অ্যাম ফিনিশড। আমি শেষ হয়ে গেছি, তুরি। আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’

বাথরুমে গেলাম। ঠান্ডা পানিতে শাওয়ার নিলাম। ঘরে ফিরে এসে দেখি শাবিন ঘুমিয়ে গেছে। সে বিছানায় শুয়ে ঘুমাচ্ছে।
সুনসান ঘর। বাতাসে ফেনসিডিলের হালকা গন্ধ। শাবিনের ভারী শ্বাসের শব্দ। আমার ঘুম এলো না। জেগে থাকলাম।

আমার মাথায় নতুন ভাবনা এসেছে। এরপর কী? শাবিনকে আটকে দিয়েছে তুরি। বাড়ি থেকে বেরুতে দেয়নি। কী করছে তখন শাবিন?
ল্যাপটপে নতুন ফাইল ওপেন করলাম। ফাইলের নাম দিলাম ‘তুরির নোটবুক’। ওয়ার্ড ডকুমেন্টে গিয়ে লিখতে শুরু করলাম।

অনেক বেলা করে চাঁদের ঘুম ভাঙল। সে এলোমেলো হয়ে ঘুমিয়েছিল। ঘুমানোর সময় তার পরনে কাপড় ছিল না। তুরি তাকে বিছানায় গুছিয়ে শুইয়ে দিয়েছে। গায়ের ওপর চাদর দিয়েছে। তুরি আজ সেজেছে। তাকে অপূর্ব দেখাচ্ছে।
ঘুম ভেঙে শাবিন খেয়াল করল পরনে কিছু নেই। তার গতরাতের কথা মনে পড়েছে। সে ফ্যালফ্যাল করে ঘরের চারপাশে তাকাচ্ছে। তুরি সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তার হাতে শাবিনের ট্রাউজার আর টিশার্ট।
তুরি বলল, ‘দাঁত ব্রাশ করো। শেভ করবে। গোসল করে বেরুবে। এগুলো পরবে। পরিষ্কার কাপড়। ইস্তিরি করিয়ে এনেছি। তোমার কাপড়গুলো ময়লা হয়েছে। ওগুলো কাচতে হবে।’


শাবিনের পরনে থাকে জিনসের প্যান্ট। ওই এক জিনসের প্যান্ট যে শাবিন কতদিন পরে তার হিসেব বলতে পারবে না। তাতে ময়লা জমে। চিটচিটে হয়ে যায়। তাও পরে। ঘরে শার্ট, টিশার্ট যা পায় পরে নেই। সেসব শার্ট, টিশার্ট কোনোদিন কেচে কেউ পরিষ্কার করে বলে মনে হয় না।
শাবিন বাথরুমে গিয়ে দাঁত মাজছে। তার মনে হচ্ছে সে অনেকদিন পর দাঁত ব্রাশ করছে। রোজ সকালে উঠে দাঁত মাজার মতো ব্যাপারগুলোকে সে পাত্তা দেয় না। প্রতিদিন গোসল করতেই হবে এমন নিয়ম মানে না। সে আরও অনেককিছুকেই পাত্তা দেয় না। নিজের মতো থাকে।
আজ তার দিন ভালো। আজ সে সবকিছুকে পাত্তা দেবে। চুলে শ্যাম্পু দিয়ে, সাবান দিয়ে ডলে গোসল করবে। হিটলার চকলেট আনবে। আর পাউডার। আহ্ হোয়াইট পাউডার। আজ তারা রাজাধিরাজ।
শাবিন মাথা দুলিয়ে মনে মনে বলল, ‘লাভ ইউ, তুরি। তোমার জন্য এত সব আয়োজন হচ্ছে। তোমার সোনার চেইন আমাদের বাবা এনে দিয়েছে।’
শাবিনের নাস্তা ঘরে নিয়ে এসেছে তুরি। গুছিয়ে নাস্তা খেয়েছে শাবিন। সে চিনি বেশি দিয়ে চা খেতে চেয়েছিল। তাকে চিনি বেশি দিয়ে চা দেওয়া হয়েছে।
শাবিন আয়েশ করে চা খাচ্ছে। তুরি বসে আছে তার সামনে। ‘শাবিন বলল, তোমাকে কিছু গিফট দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। কী গিফট দেওয়া যায় বলো দেখি?’
‘আজকের দিনটা তুমি আমাকে দাও। আমার কাছে থাকো। তোমার সঙ্গে আমার অনেক কথা আছে।’
মাথা ঝাঁকাচ্ছে শাবিন। সে বলল, ‘আজ ফেরার সময় তোমার জন্য অনেকগুলো টিপ নিয়ে আসব। টিপ পরলে তোমাকে আরও সুন্দর দেখবে। কী রঙের টিপ আনব, লাল, সবুজ?’
চায়ের কাপ, নাস্তার এঁটো প্লেট নিয়ে তুরি চলে গেল। শাবিন উঠে পড়েছে। সে আয়নায় নিজেকে আরেকবার দেখল। পরিপাটি চুল আবার আঁচড়াল। হলুদ পোলো গেঞ্জিতে বেশ মানিয়েছে। আজকে সান্গ্লাস কিনবে। তার নিজের সানগ্লাস থাকা দরকার।
দরজা খুলতে গিয়ে শাবিন খেয়াল করল দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। সে তুরিকে ডাকল। তুরি সাড়া দিলো না। শাবিন মাকে ডাকল। মা সাড়া দিলেন না। শাবিন চিৎকার করছে। কেউ আসছে না।
শাবিনের নেশা উঠে গেছে। সে হাত দিয়ে ঘনঘন নাক ঘষছে। নাক দিয়ে সর্দি ঝরছে। গা-হাত-পা থরথর করে কাঁপছে। মনে হচ্ছে হাতে পায়ে খিল ধরে আসছে। আড়ষ্ট হয়ে গেছে হাত-পা।
শাবিন জোরে জোরে সবাইকে ডাকতে থাকল। কেউ তার কথা শুনছে না। টেবিলের ওপর তুরির কাচের চুড়ি অগোছালো হয়ে আছে। শাবিন সেগুলো ছুড়ে ফেলল। ওয়ারড্রবের ওপর থেকে কাচের ফুলদানি নিয়ে মেঝেতে ছুড়ে মারল। ফুলদানি ভেঙে ঘরের চারপাশে কাচ ছড়িয়ে পড়েছে।
শাবিনের পেটে ব্যথা করছে। তার সমস্ত নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে বের হয়ে আসতে চাইছে। সে পেট চেপে ধরে শরীর মুচড়াচ্ছে। তার হেঁচকি উঠতে শুরু করেছে। হেঁচকি এখন হিক্কা হয়ে গেছে। হিক্কা থামছে না। হিক্কা দিতে দিতে শাবিন ঘরের মেঝে ভাসিয়ে হড়হড় করে বমি করল। বমির টক গন্ধে ঘরের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
শাবিন দলা পাকিয়ে বমির ভেতর শুয়ে গড়াচ্ছে।
এ পর্যন্ত লিখে মনে হলো শাবিন আর তুরির প্রথম দেখা, তাদের মেলামেশা এগুলো লিখে আসা দরকার। তুরি লিখেছে শাবিন আর সে একসঙ্গে চাকরি করেছে। সেটা আনতে হবে কাহিনিতে।

আমার ভালো লাগছে। গল্পের লাইন পেয়ে গেছি। নতুন গল্প মানে অতি সুন্দর সময়।

(চলবে)

 

তৃতীয় পর্ব: অঘ্রানের অন্ধকারে

দ্বিতীয় পর্ব: অঘ্রানের অন্ধকারে

প্রথম পর্ব: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad
Header Ad

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি। সর্বশেষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় এসেছে।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। একইভাবে ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায় নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু এরপর থেকে দুই দশকের বেশি সময়েও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের দৃশ্য দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “ওদের ক্যারিয়ার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অসাধারণ ছিল। মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ ওদের প্রাপ্য ছিল। যারা ভালোবেসেছে ও সমর্থন দিয়েছে, তারাও চাইত গ্যালারি ভরা দর্শকের হাততালির মধ্যে তারা বিদায় নিক। কিন্তু সেই সুযোগটা আর হলো না। কেন মাঠে অবসর নেয়নি, সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে।”

অনেকে মনে করেন, বোর্ডের পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এমনটা ঘটছে। তবে সুজন এই দাবির সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, “যখন আমি অবসর নিয়েছিলাম, আগেই জানিয়েছিলাম সেটাই আমার শেষ ম্যাচ। কিন্তু যদি কেউ না জানায়, বোর্ড বুঝবে কীভাবে? ক্রিকেটাররা আগেই বললে বোর্ডও সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা করতে পারে।”

সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে এবং মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তাদের এমন সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন সুজন। তার মতে, “ওরা চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন খেলতে পারত। কিন্তু মাঠ থেকে বিদায় নিলে সেটা আরও স্মরণীয় হয়ে থাকত।”

মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা না গেলে ভবিষ্যতেও এই ধরনের পরিস্থিতি চলতেই থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৩ মার্চ এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহফুজ আলম গত ১২ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন যে, “জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল।” মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বলেন, মাহফুজ আলম জামায়াত সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা আসলে একটি প্রতিবেশি দেশের গুপ্তচর শাহরিয়ার কবিরদের ভাষার অনুকরণ।

তিনি আরও বলেন, মাহফুজ আলমের উচিত স্মরণ রাখা যে, তিনি একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করে এমন মন্তব্য করার অধিকার তার নেই। এমন মন্তব্য দিয়ে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অরাজনৈতিক চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার উল্লেখ করেন যে, শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গঠিত তদন্ত কমিশনেও জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি অধ্যাপক গোলাম আযম সুপ্রিম কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের প্রভাবিত বিচার এবং স্কাইপ কেলেঙ্কারি, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য এবং সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর বক্তব্য এই বিচার ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী আহলে সুন্নত আল জামায়াতের অনুসারী এবং এর আক্বিদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আশা প্রকাশ করেন যে, মাহফুজ আলম তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

শফিউল আজম টুটুলকে আহ্বায়ক ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিককে সদস্য সচিব করে নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এই কমিটি অনুমোদন দেন।

কমিটির অন্যান্য নেতারা হলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান কামরুজ্জামান কামাল,মো. জাহাঙ্গীর আলম গুলজার, শামিম নুর আলম শিপলু,মো. মাহমুদ হাসান,গোলাম মোস্তফা তাতু,আলম তাজ তাজু,মো. মিজানুর রহমান রনি, মো. মামুনুর রশিদ,আব্দুল্লাহ আল মামুন শিমুল,হাসিবুর রহমান প্লাবন,মো. নূর নবী,মো. আব্দুল বারী তুহিন,মো. রাগিব শাহরিয়ার কৌশিক,মো. শহিদুজ্জামান সৌরভ,মো. ফারহিম ইসলাম মুন্না।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়া সদস্যরা হলেন, আব্দুল বারী হিরা, মহসিন আলী,মুশফিকুর রহমান সুজন চৌধুরী,মেহেদী হাসান পলাশ,মো. হেলাল উদ্দিন,আরিফুল ইসলাম বাপ্পী,স্বাধীন সরদার,কে এম রাব্বি রিফাত স্বচ্ছ,মো. সুরুজ সরকার,মো. মামুনুর রশিদ বুলেট,মো. মাসুদ রানা,মো. শাহরিয়ার হক রাজু,মো. সালমান ফারসী রাজ,মো. শামীম হোসেন, মো. ইস্রাফিল আলম তিতাস,মো. রায়হানুল ইসলাম রিপন,মো.শামস বিন আইয়ুব,মো. আশাদুল ইসলাম,মো. রুহুল আমিন মল্লিক,মো. ইশতিয়াক আহমেদ মিনার,মো. এনামুল হক (দপ্তরের দায়িত্বে),মো. রাকিন হোসেন (সহ-দপ্তরের দায়িত্বে),মো. পাঠান মুরাদ,মো. আশিক আহমেদ শাওন,মো. সবুজ হোসেন,মো. ডলার,শ.ম. আলেফ হোসেন সুমন,মো. শহীদুজ্জামান মুরাদ,মো. রিপন রেজা, এ্যাড, আলতাফ হোসেন উজ্জল,সোহেলী আক্তার শুভ,সোহাগ কুমার কর্মকার,মোঃ ওমর ফারুক (ওমর),মো. স্বাধীন আহমেদ।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন
উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত
নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস
‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের বাবা গ্রেপ্তার
শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দেশের সব পর্ন ওয়েবসাইট
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা নিয়ে যা বলল হামাস
গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা
আছিয়ার মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেওয়া হবে
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
সোয়া ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল
ধর্ষণের হুমকি পেলেন ভাইরাল কন্যা ফারজানা সিঁথি, অতঃপর...
যমুনা সেতু মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২৫
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি
চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল
টাঙ্গাইলে ‘বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস ও বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’র নাম পরিবর্তন