বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ৪

অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব: ৪

পরদিন রাতে শাবিনকে বেশ ফুরফুরে মনে হলো। ঘর আটকে সে মেঝেতে আয়োজন করে বসেছে। তার সামনে ছোটো ব্যাগ। সেই ব্যাগ থেকে তিনটা ছোটো বোতল বের করল। আমি একজন মানুষ যে এ ঘরে আছি তা যেন ভুলে গেছে।
শাবিনের পাশে গিয়ে বসলাম। সে একটা বোতল খুলল। মুখ হা করে সেই বোতল থেকে ঢক করে অর্ধেকটা তরলকিছু খেয়ে ফেলল। ওষুধের হালকা গন্ধ আসছে। জিগ্যেস করলাম, ‘এটা কী?’
শাবিন বলল, ‘ডাইল।’
‘ডাইল কী?’
‘ফেন্সি।’
‘ফেনসিডিল?’
‘হু।’
‘খেলে কী হয়?’
‘নেশা হয়।’
‘নেশা করার জন্য তুমি ফেনসিডিল কেন খাবে, শাবিন! তুমি হুইস্কি খাবে, ভদকা খাবে, নহয় ওয়াইন খাবে। কিছু না পেলে ইন্ডিয়া থেকে প্রচুর রাম আসছে, রাম খাবে। ফেনসিডিল কেন খাচ্ছ?’
‘হুইস্কি খাওয়ার পয়সা জোগাড় করতে পারি না। মা টাকা দেয় না। বাপের কোনো খবর নেই দিনের পর দিন।’
‘এসব খাবে না। আমি তোমাকে হুইস্কি খাওয়াব। আমার সাথে খাবে।’
‘ফেনসিডিলেই আমার এখন নেশা ভালো হয়।’
বলে বোতলের বাকি ফেনসিডিল গলায় ঢেলে দিলো।
জানতে চাইলাম, ‘গতকাল কী খাচ্ছিলে?’
‘শাকসবজি।’
‘শাকসবজি?’
‘ঘাস।’
‘ঘাস কী?’
‘গাঁজা।’
‘তুমি রোজ খাও?’
‘হ্যাঁ।’
‘কেন খাও?’
‘তুমি খাবে? খেয়ে দেখো। মনে হবে আকাশে উড়ছ। মেঘের সঙ্গে তোমার প্রেম। তার হাত ধরে তুমি উড়বে।’
শাবিন আরেকটা বোতলের মুখ খুলল। এক ঢোক ফেনসিডিল খেলাম। আমার কিছু হলো না।
শাবিন সেই বোতলটাও শেষ করে আরেকটা বোতল খুলেছে। সে বলল, ‘তুমি খুব ভালো। তোমার হাতটা ধরি?’
হাত বাড়িয়ে দিলাম। শাবিন আমার হাত ধরে আলগোছে টান দিলো। তিন বোতল ফেনসিডিল খেয়ে তার নেশা হয়েছে মনে হচ্ছে। খানিকটা ঝুঁকে ওর কোলে শুয়ে পড়লাম।
শাবিন বলল, ‘তোমার কাঁধের কাছে লাল হয়ে আছে। কিসের দাগ?’
‘গতরাতে তুমি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলে। চড় মেরেছিলে।’
‘গাঁজা খেলে কিছু মনে থাকে না। আমার কিছু মনে নেই। তুমি সেই কথা বাড়ির অন্যদের বলোনি তো?’
‘না, বলিনি।’
‘কেন বলোনি?’
‘এটা তোমার আর আমার পারসোনাল ব্যাপার। অন্যদের কেন জানাব?’
‘তুমি সত্যি খুব ভালো মেয়ে। তোমাকে ঠিক ওরকম আরেকটা সোনার চেইন বানিয়ে দেব।’
‘আমার চেইন কী করেছ?’
‘বেচে দিয়েছি। তবে সব টাকা এখনো নিইনি। ওর কাছে কিছু রেখে দিয়েছি।’
‘কার কাছে?’
‘যার কাছে বেচেছি। টাকা নিয়ে ডাইল কিনেছি আর পুরিয়ার অর্ডার দিয়েছি।’
‘পুরিয়া কী?’
‘হেরোইন। চকলেটের খোঁজে আছি। সবুজ ম্যানেজ করবে বলেছে।’
‘সবুজ কে?’
‘আমার বন্ধু। সবুজ, হাবিব, এনায়েত। ওদের আজ সবাইকে তিন বোতল করে ডাইল গিফট করেছি। আমার বিয়ে উপলক্ষে বাদশাহী খাওয়া। অনেকদিন আমাদের হাতে টাকা ছিল না। এখন আমার টাকা হয়েছে। সেই টাকায় আমরা চকলেট খেতে পারব। সব হয়েছে তোমার জন্য। তুমি লাকী।‘
‘কী চকলেট?‘
‘হিটলার চকলেট। বাবা। শালা আমার বাবা। এতদিন চাকা খেয়েছি। এবার বাবা খাব।’
‘চাকা কী?’
‘নেশার ট্যাবলেট।’
‘বাবা কী?’
‘ইয়াবা। খামাখা দাম বেশি। তুমি দারুণ লাকী। তুমি আমাদের জন্য বাবা আনার ব্যবস্থা করে দিয়েছ। তোমাকে আজ ভীষণ আদর করতে ইচ্ছে হচ্ছে।’
উঠে বিছানায় এলাম। শাবিন এলো। অবসন্ন হাতে আমার পরনের কাপড় খুলতে থাকল। শাবিনকে সাহায্য করলাম। সে কী করবে যেন বুঝতে পারছে না। এলোমেলোভাবে আমাকে আদর করতে গেল। আমার ওপরে উঠল। আমাকে তারওপরে তুলে নিলো। কিছুতেই যেন নিজেকে প্রস্তুত করতে পারল না।
খাট থেকে নেমে পড়েছে শাবিন। ফ্লোরে বসে খাটে মাথা দিয়ে আছে। আমার অসহ্য লাগছে। শরীর অস্থির হয়ে গেছে। চুপচাপ চিত হয়ে শুয়ে আছি।
শাবিন কাঁদছে। সে খাট চেপে ধরে ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলল,‘ আই অ্যাম ফিনিশড। আমি শেষ হয়ে গেছি, তুরি। আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’

বাথরুমে গেলাম। ঠান্ডা পানিতে শাওয়ার নিলাম। ঘরে ফিরে এসে দেখি শাবিন ঘুমিয়ে গেছে। সে বিছানায় শুয়ে ঘুমাচ্ছে।
সুনসান ঘর। বাতাসে ফেনসিডিলের হালকা গন্ধ। শাবিনের ভারী শ্বাসের শব্দ। আমার ঘুম এলো না। জেগে থাকলাম।

আমার মাথায় নতুন ভাবনা এসেছে। এরপর কী? শাবিনকে আটকে দিয়েছে তুরি। বাড়ি থেকে বেরুতে দেয়নি। কী করছে তখন শাবিন?
ল্যাপটপে নতুন ফাইল ওপেন করলাম। ফাইলের নাম দিলাম ‘তুরির নোটবুক’। ওয়ার্ড ডকুমেন্টে গিয়ে লিখতে শুরু করলাম।

অনেক বেলা করে চাঁদের ঘুম ভাঙল। সে এলোমেলো হয়ে ঘুমিয়েছিল। ঘুমানোর সময় তার পরনে কাপড় ছিল না। তুরি তাকে বিছানায় গুছিয়ে শুইয়ে দিয়েছে। গায়ের ওপর চাদর দিয়েছে। তুরি আজ সেজেছে। তাকে অপূর্ব দেখাচ্ছে।
ঘুম ভেঙে শাবিন খেয়াল করল পরনে কিছু নেই। তার গতরাতের কথা মনে পড়েছে। সে ফ্যালফ্যাল করে ঘরের চারপাশে তাকাচ্ছে। তুরি সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তার হাতে শাবিনের ট্রাউজার আর টিশার্ট।
তুরি বলল, ‘দাঁত ব্রাশ করো। শেভ করবে। গোসল করে বেরুবে। এগুলো পরবে। পরিষ্কার কাপড়। ইস্তিরি করিয়ে এনেছি। তোমার কাপড়গুলো ময়লা হয়েছে। ওগুলো কাচতে হবে।’


শাবিনের পরনে থাকে জিনসের প্যান্ট। ওই এক জিনসের প্যান্ট যে শাবিন কতদিন পরে তার হিসেব বলতে পারবে না। তাতে ময়লা জমে। চিটচিটে হয়ে যায়। তাও পরে। ঘরে শার্ট, টিশার্ট যা পায় পরে নেই। সেসব শার্ট, টিশার্ট কোনোদিন কেচে কেউ পরিষ্কার করে বলে মনে হয় না।
শাবিন বাথরুমে গিয়ে দাঁত মাজছে। তার মনে হচ্ছে সে অনেকদিন পর দাঁত ব্রাশ করছে। রোজ সকালে উঠে দাঁত মাজার মতো ব্যাপারগুলোকে সে পাত্তা দেয় না। প্রতিদিন গোসল করতেই হবে এমন নিয়ম মানে না। সে আরও অনেককিছুকেই পাত্তা দেয় না। নিজের মতো থাকে।
আজ তার দিন ভালো। আজ সে সবকিছুকে পাত্তা দেবে। চুলে শ্যাম্পু দিয়ে, সাবান দিয়ে ডলে গোসল করবে। হিটলার চকলেট আনবে। আর পাউডার। আহ্ হোয়াইট পাউডার। আজ তারা রাজাধিরাজ।
শাবিন মাথা দুলিয়ে মনে মনে বলল, ‘লাভ ইউ, তুরি। তোমার জন্য এত সব আয়োজন হচ্ছে। তোমার সোনার চেইন আমাদের বাবা এনে দিয়েছে।’
শাবিনের নাস্তা ঘরে নিয়ে এসেছে তুরি। গুছিয়ে নাস্তা খেয়েছে শাবিন। সে চিনি বেশি দিয়ে চা খেতে চেয়েছিল। তাকে চিনি বেশি দিয়ে চা দেওয়া হয়েছে।
শাবিন আয়েশ করে চা খাচ্ছে। তুরি বসে আছে তার সামনে। ‘শাবিন বলল, তোমাকে কিছু গিফট দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। কী গিফট দেওয়া যায় বলো দেখি?’
‘আজকের দিনটা তুমি আমাকে দাও। আমার কাছে থাকো। তোমার সঙ্গে আমার অনেক কথা আছে।’
মাথা ঝাঁকাচ্ছে শাবিন। সে বলল, ‘আজ ফেরার সময় তোমার জন্য অনেকগুলো টিপ নিয়ে আসব। টিপ পরলে তোমাকে আরও সুন্দর দেখবে। কী রঙের টিপ আনব, লাল, সবুজ?’
চায়ের কাপ, নাস্তার এঁটো প্লেট নিয়ে তুরি চলে গেল। শাবিন উঠে পড়েছে। সে আয়নায় নিজেকে আরেকবার দেখল। পরিপাটি চুল আবার আঁচড়াল। হলুদ পোলো গেঞ্জিতে বেশ মানিয়েছে। আজকে সান্গ্লাস কিনবে। তার নিজের সানগ্লাস থাকা দরকার।
দরজা খুলতে গিয়ে শাবিন খেয়াল করল দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। সে তুরিকে ডাকল। তুরি সাড়া দিলো না। শাবিন মাকে ডাকল। মা সাড়া দিলেন না। শাবিন চিৎকার করছে। কেউ আসছে না।
শাবিনের নেশা উঠে গেছে। সে হাত দিয়ে ঘনঘন নাক ঘষছে। নাক দিয়ে সর্দি ঝরছে। গা-হাত-পা থরথর করে কাঁপছে। মনে হচ্ছে হাতে পায়ে খিল ধরে আসছে। আড়ষ্ট হয়ে গেছে হাত-পা।
শাবিন জোরে জোরে সবাইকে ডাকতে থাকল। কেউ তার কথা শুনছে না। টেবিলের ওপর তুরির কাচের চুড়ি অগোছালো হয়ে আছে। শাবিন সেগুলো ছুড়ে ফেলল। ওয়ারড্রবের ওপর থেকে কাচের ফুলদানি নিয়ে মেঝেতে ছুড়ে মারল। ফুলদানি ভেঙে ঘরের চারপাশে কাচ ছড়িয়ে পড়েছে।
শাবিনের পেটে ব্যথা করছে। তার সমস্ত নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে বের হয়ে আসতে চাইছে। সে পেট চেপে ধরে শরীর মুচড়াচ্ছে। তার হেঁচকি উঠতে শুরু করেছে। হেঁচকি এখন হিক্কা হয়ে গেছে। হিক্কা থামছে না। হিক্কা দিতে দিতে শাবিন ঘরের মেঝে ভাসিয়ে হড়হড় করে বমি করল। বমির টক গন্ধে ঘরের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
শাবিন দলা পাকিয়ে বমির ভেতর শুয়ে গড়াচ্ছে।
এ পর্যন্ত লিখে মনে হলো শাবিন আর তুরির প্রথম দেখা, তাদের মেলামেশা এগুলো লিখে আসা দরকার। তুরি লিখেছে শাবিন আর সে একসঙ্গে চাকরি করেছে। সেটা আনতে হবে কাহিনিতে।

আমার ভালো লাগছে। গল্পের লাইন পেয়ে গেছি। নতুন গল্প মানে অতি সুন্দর সময়।

(চলবে)

 

তৃতীয় পর্ব: অঘ্রানের অন্ধকারে

দ্বিতীয় পর্ব: অঘ্রানের অন্ধকারে

প্রথম পর্ব: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া