শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ৩

অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব: ৩

‘কতক্ষণ লাগবে আর?’
হাসানকে জিগ্যেস করলাম। সে খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিয়ে নিচুস্বরে বলল, ‘দশটা, সাড়ে দশটার ভেতর পৌঁছে যাব, স্যার। সামনে জ্যাম নাই।’

বোতলে পানি আছে। ঢকঢক করে পানি খেলাম। গাড়িতে বসে নেটে নানারকম ঘাটাঘাটি করার অভ্যাস আমার নেই। মাঝেমধ্যে গান শুনি। বেশিরভাগ সময় বই পড়ি। তুরির লেখা নোটবুক খুললাম। কবিতার পর সে কী লিখেছে পড়া শুরু করলাম।

“চড় খেয়ে হতভম্ব হয়ে গেছি। আজ আমার বাসর রাত। এই রাত নিয়ে মেয়েদের এক ধরনের ভয় আর চাপা উত্তেজনা থাকে। স্বপ্ন মেশানো গোপন আনন্দ থাকে। আমার ছিল প্রবল কৌতূহল। যার সাথে বিয়ে হয়েছে আমার, সে অতি পরিচিত। তার নাম শাবিন।
অনেক আগে পরিচয়। এক অফিসে কিছুদিন চাকরিও করেছি। মাঝে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম ইচ্ছে করেই। মনে হয়েছিল বাবা আমাদের বিয়ে মেনে নেবেন না। শাবিন অতি সাদামাটা সাধারণ একজন ছেলে। এমনও হতে পারে শাবিনকে গভীরভাবে ভালোবাসেছি। আমার জীবনে মারাত্মক এক দুর্ঘটনা আছে। সেই দুর্ঘটনার কথা শাবিনকে বলিনি। আবার ভেবেছি শাবিনকে বিয়ে করলে আমার ভালোবাসাকে ঠকানো হবে। তবে এটাও ঠিক, বেশিরভাগ মানুষ স্বাভাবিক ব্যাপার সহজভাবে নিতে পারে না। শাবিনের কিছু জানার কথা না। তবু ভয় হয়, সে কি কিছু জেনেছে কিনা।
ভীষণ অবাক হয়েছি, আমার স্বামী আমাকে চড় মেরেছে। সে চড় মেরেছে খুব জোরে। আমার গাল জ্বলতে শুরু করেছে। গাল জ্বলার ব্যাপারটা প্রথমে টের পাইনি। এতটাই অবাক হয়েছি যে ঘটনা কী ঘটেছে ঠিকঠাকমতো বুঝতে পারিনি। চড় খেয়ে আমার অপমানিত হওয়ার কথা। আমি হয়েছি বিস্মিত। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে চড় আমার গালে বসে যায়নি। তার হাত ঠাস করে গালে লেগে ক্লান্ত হয়ে পড়ে গেছে।
রাত হয়েছে অনেক। বিছানায় জুবুথুবু হয়ে বসে আছি। সে আসে না। সে আছে ঘরের বারান্দায়। দরজা লাগানো। উঠে গিয়ে শাড়ি বদলে এলাম। সে এলো না। আশঙ্কা হলো সে কি আমাকে কিছু বলতে চায়! আমার দুর্ঘটনা বা অন্য কারও সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে এমন কথা? কীভাবে আামাকে বলবে সেটা গুছিয়ে নিচ্ছে। অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে আমাকে বিয়ে না করলেও পারত। তাকে খুঁজে বের করেছি সত্য। এ বাড়িতে নিয়মিত আসার সূত্রে তার মা আমাকে পছন্দ করেছেন। হয়তো শাবিনের মা জোর করে বিয়ে দিয়েছেন। শাবিনের বাবার কোনো খোঁজ নেই। তিনি বহুদিন হলো বাড়ি ছেড়েছেন। মাঝেমধ্যে নাকি আসতেন। আমার শাশুড়ি তাঁর বাবার কাছ থেকে বাড়ি পেয়েছেন। সেই বাড়ির একপাশ তিনি ভাড়া দিয়েছেন। অন্যপাশে আমরা থাকি। বাড়ি ভাড়ার টাকায় সংসার চলে। শাবিনের বাবা মাঝে কয়েকবার এসে আমার শাশুড়ির কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে গেছেন। তারপর তার আর কোনো সন্ধান নেই। শাবিন বলে তিনি এই সংসারের কথা গোপন করে আরেকটা বিয়ে করেছেন। সেখানে সংসার করছেন। বিয়েতে আমাদের বাড়ি থেকে প্রচুর জিনিসপত্র আর নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। হয়তো সেটা শাবিনের মায়ের প্রয়োজন ছিল।
বারান্দার কাছে গিয়ে আস্তে করে দরজা খুললাম। আমার নাকে উৎকট গন্ধ এলো। আচমকা শরীর গুলিয়ে আসছিল। শাবিন বারান্দায় বসে সিগারেট খাচ্ছে। বারান্দায় বসে সিগারেট খাওয়ার কী আছে বুঝতে পারলাম না। আমরা তো একসাথে স্মোক করেছি। সিগারেটের গন্ধ আমি চিনি। এই গন্ধ অন্যরকম। আমার অপরিচিত। আবার মনে হলো পরিচিত, খুব পরিচিত।
আলতো গলায় বললাম, ‘ঘরে এসো।’
সে উঠে এসে আমার সামনে দাঁড়াল। আচমকা আমাকে ধাক্কা দিলো। তাল সামলাতে না পেরে ঘরের মেঝেতে পড়ে গেলাম।
শাবিন হিসহিস করে বলল, ‘তোকে নিয়ে এসেছে আমাকে আটকাবে বলে। দুমাস হলো টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। এখন নিজে কামাই করে খাই। ঘরে বসে থাকলে এসব কে এনে দেবে আমাকে?’
আচমকা ধাক্কা খেয়ে অবাক হয়ে গেছি। দুহাঁটু ভাঁজ করে ওঠার চেষ্টা করলাম। উঠতে-উঠতে বললাম, ‘কী হয়েছে?’
তখন শাবিন ঠাস করে আমার গালে চড় মারল। বলল, ‘চুপ কর শালি। একদম চুপ।’
ছিঃ কী নোংরা কথা। ঘেন্নায় আমার গা রিরি করে উঠল। শাবিনের কোনো বিকার নেই। আমার দিকে হাত বাড়াল। আমার গলায় দেড়ভরি ওজনের সোনার চেইন ছিল। হেঁচকা টান দিয়ে সেটা ছিঁড়ে নিল। কিছু বললাম না। শাবিন দুপা সামনে হেঁটে ধড়াম করে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল। একটু বাদে তার নিশ্বাস ভারী হয়ে এলো। শাবিন ঘুমিয়ে পড়েছে।
এ আমি কোন শাবিনকে দেখছি। মাঝে যখন তাকে ছেড়ে দূরে ছিলাম তখন কিছু হয়েছে? শাবিন কেন এরকম করছে তা পুরোপুরি বোঝা সম্ভব হলো না।
তার কাছে আমার সোনার চেইন থেকে গেছে। ইচ্ছে করলে সেটা খুঁজে নিতে পারতাম। কেন জানি ইচ্ছে হলো না। ঘেন্না লাগছিল সেটা আবার ছুঁতে কিংবা গলায় পরতে।”

 

তুরির লেখা আমাকে আচমকা আচ্ছন্ন করে ফেলল। নোটবুক বন্ধ করে বললাম, ‘আনিস, গাড়ি থামাও। চা খাব।’
আনিস রাস্তার পাশে সাইড করে গাড়ি থামাল। খাঁকারি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিয়ে বলল, ‘স্যার, চলে এসেছি। তাদের ফোন দেন। কোন জায়গায় যেতে হবে জিগ্যেস করে নেন।’
গাড়ি থেকে নেমে এলাম। জায়গাটার নাম মাসকান্দা। সামনে শহর। অনেকক্ষণ হলো গাড়ির ভেতর বসে আছি। দুপা আড়ষ্ট হয়ে গেছে। খানিকটা হাঁটা দরকার। আমি নেমেছি সিগারেট খেতে। প্রচণ্ড চায়ের তেষ্টাও পেয়েছে। রাস্তার পাশের দোকানে গিয়ে দুধ-চিনি ছাড়া চা দিতে বললাম।
পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটার বের করলাম। সিগারেট জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে ফোন এলো। ময়মনসিংহ থেকে ফোন করেছে। বললাম, ‘কাছাকাছি চলে এসেছি। শিগরি পৌঁছে যাব।’
এখান থেকে অনুষ্ঠানের সেই জায়গা কতদূরে অনুমান করতে পারছি না। ঠিকানা জেনে নিয়েছি। আমার এখন আর কোনো তাড়া নেই। তুরির লেখা পড়তে ভালো লাগছে। ময়মনসিংহে পৌঁছানোর আগে পড়ে শেষ করতে পারলে শান্তি পেতাম। পড়া শেষ হয়নি। বাকিটা ফেরার পথে পড়তে হবে। ফেরার পথে সঙ্গে কেউ না এলে ভালো হয়। সঙ্গে কেউ থাকলে অনবরত কথা বলে।
‘স্যার, নতুন কী উপন্যাস লিখছেন?’
‘লিখব একটা। এখনো ঠিক করিনি।’
‘মেলা তো চলে এলো। আর কবে ঠিক করবেন?’
‘আস্তে ধীরে লিখব।’
‘কবিতা লেখেন, স্যার। আপনার লেখায় কাব্যিক ভাব প্রবল।’

গাড়িতে বসে এরকম অপ্রয়োজনীয় কথা হয়। পড়া হয় না। খানিকবাদে সহযাত্রী বলে, ‘স্যার, এখানে গোরুর খাঁটি দুধের চা পাওয়া যায়। খড়ির চুলায় তৈরি। তাতে ধোঁয়ার গন্ধও পাবেন। একদম গ্রামের ফ্লেভার। খাবেন স্যার এককাপ চা? গাড়ি থামাতে বলি?’
‘এখন চা খেতে ইচ্ছে করছে না।’
‘আপনারা সাহিত্যিক মানুষ। আপনাদের গ্রামীণ ফ্লেভারের দরকার আছে, স্যার।’
‘সেজন্য সকালবিকেল দুবেলা নিয়ম করে গোবরের গন্ধ শুঁকি। আমাদের বাসার পাশ গাভী আছে। এক মহিলা গাভী পোষে। ঘুম থেকে উঠে গাভীর চোনার গন্ধ শুঁকতে যায়। মন শীতল হয়ে আসে।’
এতক্ষণে সহযাত্রী থামে। ঘুমানোর চেষ্টা করে এবং ঘুমিয়ে পড়ে। সে ঘুমে আচ্ছন্ন হয়েছে বোঝা যায় নাক ডাকার শব্দে। প্রবল জোরে ঘড়ঘড় শব্দে নাক ডাকে মুখ হা করে। মাঝেমধ্যে মুখ দিয়ে ফ্রুস জাতীয় শব্দ করে ওঠে। মনে হয় ঘোড়ার আস্তাবলে আছি।
সিগারেট শেষ হয়েছে। চায়ের দাম মিটিয়ে দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম। আনিস গাড়ি ছেড়ে দিলো। আমরা চলছি। আনিসকে পথের দিকনির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। বুঝতে না পারলে গাড়ি থামিয়ে কাউকে জিগ্যেস করে নিতে বলেছি।
আমার মাথায় নতুন গল্পের ভাবনা এসেছে। শাবিন আর তুরিকে নিয়ে গল্প লিখব। তার আগে তুরির লেখা নোটবুক পুরোটা পড়ে নিতে হবে।

অল্প সময়ের ভেতর অনুষ্ঠানের জায়গায় পৌঁছে গেলাম। আমরা পৌঁছানোর আরও আধাঘণ্টা পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ভেবেছিলাম, আমার দেরির জন্য অনুষ্ঠান পিছিয়েছে। পরে জানলাম স্থানীয় এমপি আসবেন। তাঁর আসতে দেরি হচ্ছে। তিনি আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি। অনুষ্ঠান উদ্বোধন তিনি করবেন।
আমার কাজ শুধু বক্তৃতা দেওয়া। মুখের ভেতর তেতো হয়ে গেল। কোনোরকমে অনুষ্ঠান শেষ করে গাড়িতে উঠে বসলাম।
আমার সঙ্গে কেউ ঢাকায় আসতে চাইছিল। বললাম, ‘আজ পারব না। আমার অন্য কাজ আছে।’
যে আমার সঙ্গে ঢাকায় রওনা হওয়ার জন্য এসেছিল সে চার বক্স মিষ্টি হাসানের হাতে দিয়ে চলে গেল।
ঢাকায় পৌঁছুতে রাত সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে। রাতে পড়া বা লেখা কিছু হলো না। তুরির নোকবুক পড়লাম পরদিন অফিসে বসে।

(চলবে)

 

‘অঘ্রানের অন্ধকারে’, দ্বিতীয় পর্ব

 

‘অঘ্রানের অন্ধকারে’, প্রথম পর্ব

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় ফের ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ১৮ নম্বর আসন এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলটি ঢাকার উত্তরা এলাকায় সংগঠিত হয়, যেখানে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকেন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবি জানান।

মিছিলে তারা ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এবং ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’—এই ধরনের স্লোগানে রাজপথ কাঁপান।

জানা গেছে, এই ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেন উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন।

আওয়ামী লীগের সাবেক ছাত্রনেতা নুর হোসেন তার ফেসবুকে মিছিলের একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, “আজ ১৮/০৪/২৫ ইং তারিখ সকালে উত্তরা ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

এর আগেও গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা প্রধান সড়কে আওয়ামী লীগ একটি হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন সময় তারা হঠাৎ বিক্ষোভ ও মিছিল করে বর্তমান সরকারবিরোধী অবস্থান প্রকাশ করে চলেছেন।

Header Ad
Header Ad

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে—লিওনেল মেসি কি খেলবেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে? বারবারই আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবারও তার কথায় সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।

সম্প্রতি ‘সিম্পিলিমেন্টে ফুটবল’ নামক এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন এবং দলে থাকতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস বিবেচনা করে।

“নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে আমাকে। আমি যদি দেখি যে বিশ্বকাপে খেলার মতো ফিট আছি, দলকে সাহায্য করতে পারব—তবেই সিদ্ধান্ত নেব। আমি কোনোভাবেই দলের বোঝা হতে চাই না।” — বললেন মেসি।

আগামী জুনে ৩৮ বছরে পা রাখবেন তিনি, আর ২০২৬ বিশ্বকাপে বয়স হবে ৩৯। এমন বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা সহজ নয়। তাই মেসি বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যাচাই করে এগোচ্ছেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি ফিরেছেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথায়ও, যেখানে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। এ প্রসঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের একটি তুলনা টেনেছেন তিনি।

“এমবাপ্পে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার গোল করেও জিততে পারেনি। এটা অনেকটা আমার ২০১৪ সালের অনুভূতির মতো। যদিও তার কাছে ২০১৮ সালের একটি বিশ্বকাপ শিরোপা আছে, সেটা একটা সান্ত্বনা। কিন্তু ওই হার আমার জন্য মানসিকভাবে খুবই কষ্টদায়ক ছিল। এখনো ভাবলে মনে হয়, আমারও দুটি বিশ্বকাপ থাকতে পারত।”

তবে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করছেন। তিনি বলেন, “আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। ফুটবলে যা কিছু অর্জন করা সম্ভব, আমি তা পেয়েছি। বিশ্বকাপটাই শুধু ছিল না, সেটাও এখন আছে। ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ—তিনি আমাকে সব দিয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা