ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী লিচুর মতো দেখতে এই ফল!
লংগান বা আঁশফল। ছবি: সংগৃহীত
গ্রীষ্ম ঋতু মানেই নানা ফলের সমারোহ। যার মধ্যে বিশেষ দুই ফল হল আম, লিচু। যা প্রতি বছরই বাজারে ঢেলে বিক্রি হয়। এবারেও তা কম হয়নি। মৌসুম শেষ হলেই হয়ত এসব ফল আর সেরকম দেখা যাবে না। তবে এই দুই ফলের পাশাপাশি বাজারে মিলবে আরো এক বিশেষ ফল। যা লিচুর মতো দেখতে হলেও লিচু নয়। অপরদিকে স্বাদের দিক থেকেও রয়েছে দারুণ মিষ্টি।
বিশেষ এই ফল লিচু থেকে কিছুটা ছোট, তুলনামূলক শক্ত বাদামি খোসা। কিন্তু ভেতরটা লিচুর মতোই, স্বাদও একই। এর নাম লংগান। খোসা ছাড়ালে চোখের মতো দেখতে, তাই চীনে লংগানকে ‘ড্রাগনস আই’ বলা হয়। থাই জাতের এই লংগান সুমিষ্ট ও বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হওয়ায় আশপাশের চাষিরাও এ জাতের লংগান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বরেন্দ্র এলাকায় উচ্চ মূল্যের অপ্রচলিত এই ফল চাষে বাণিজ্যিক চাষাবাদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষিবিদেরা।
লিচুর মৌসুম শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ এপ্রিল-মে মাসে এই ফলের চাষ শুরু হয়। যা জুন-জুলাই নাগাদ ফল ধরে এবং পাকতে শুরু করে। লিচুর মতো দেখতে এই আঁশফল বা লংগান ফল। তবে লিচুর মত লাল নয়। আবার ডিম্বাকারও নয় বরং কিছুটা গোলাকার দেখতে এই আঁশফল। যার স্বাদ খুবই মিষ্টি।
সুস্বাদু এই ফল ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। কোন কোন রোগে কাজ করে এই আঁশফল?
সম্প্রতি ভারতের এক গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, লিচু শ্রেণীর এই বিশেষ ফল আঁশফলে রয়েছে অ্যান্টি-ক্যানসার ধর্মী উপাদান। যার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী এই আঁশফল। পাশাপাশি ইমিউনিটি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে এই ফল। আরো একটি বিশেষ বিষয় হল এই ফলের চাষ অর্থাৎ লিচু ক্ষেতেই এই আঁশফল চাষ করে দারুণ লাভ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত জুলাই থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এই ফল চাষের আদর্শ সময়। যা জাতীয় লিচু গবেষণা কেন্দ্রে সফলভাবে এই কাঠ ফল চাষ করতে সক্ষম হয়েছে বিশেষজ্ঞরা।