শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অফিসে কাজের সময় ঘাড় শক্ত হয়ে যায়,কীভাবে রেহাই পাবেন?

ছবি সংগৃহিত

অফিসে একটানা বসে কাজ করার মাঝে হাত নাড়াচড়া করতে গেলে কাঁধে প্রবল যন্ত্রণা হয়। সমস্যার নাম ‘ফ্রোজ়েন শোল্ডার’। মনে হয় যেন কাঁধটা শক্ত হয়ে গিয়েছে, কোনও ভাবেই নাড়ানো যাচ্ছে না। এই রোগে আক্রান্ত হলে কাঁধের বল ও সকেট সন্ধি আক্রান্ত হয়। বয়স ৪০ পেরোলেই এই রোগের ঝুঁকি বেশি করে দেখা দেয়। ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, হার্টের আসুখ থাকলে ফ্রোজ়েন শোল্ডারের ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে কিংবা কোনও চোট-আঘাত থেকেও এই রোগ হতে পারে। ফ্রোজ়েন শোল্ডারের সমস্যা থাকলে কী ভাবে যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাবেন?

প্রথমত প্রাথমিক পর্যায় কাঁধ ঘোরাতে গেলে তীব্র যন্ত্রণা হয়। সময় যত এগোতে থাকে, ততই ব্যথা অসহ্যকর হয়ে ওঠে। ঘাড় ও কাঁধের অংশ শক্ত হয়ে যায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, হার্টের আসুখ থাকলে ফ্রোজেন শোল্ডারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে কিংবা কোনও চোট-আঘাতের কারণেও এ সমস্যা বাড়তে পারে।

ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যায় ভুগলে রোজ যে কাজগুলি করলে ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন-

১) এই সমস্যার থেকে রেহাই পেতে ঘুমের সঙ্গে কোনও রকম আপস করা যাবে না। ঘুমোনোর সময়ে খেয়াল রাখবেন যেন শোয়ার ধরন ঠিক থাকে। ভুল ভঙ্গিমায় শোয়ার জন্য ঘাড়ে ব্যথা হয়। খুব বেশি উঁচু কিংবা শক্ত বালিশ নিয়ে ঘুমোবেন না।

২) অফিসে কাজ করতে করতে যখনই ক্লান্ত লাগবে, কাঁধে যন্ত্রণা হবে তখন চেয়ারে বসে না থেকে মিনিট দশেকের বিরতি নিন। হাঁটাহাঁটি করুন। হাতের ব্যায়াম করতে শুরু করুন।

৩) ‘লং ড্রাইভ’-এ যেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে ফ্রোজ়েন শোল্ডার থাকলে একটানা অনেক ক্ষণ গাড়ি চালাবেন না, এতে সমস্যা বাড়বে।

৪) যতটা সম্ভভ নিজেকে মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখুন। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, চিন্তা বাড়লেই ঘুম কম হবে, ক্লান্তি থেকে ঘাড়ে ব্যথা হবে।

৫) এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যায়াম ছাড়া উপায় নেই। রোজ ঘুম থেকে উঠে ঘাড়ের হালকা ব্যায়াম করুন। তা হলে ঘাড় সচল থাকবে। এ ক্ষেত্রে যোগাসন ভীষণ কার্যকর। মার্জারাসন, সেতুবন্ধনাস, গরুড়াসন, গোমুখাসনের মতো আসন নিয়মিত করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

প্রচণ্ড ব্যথা হলে কী করবেন?

১)ঘাড়কে হালকা স্ট্রেচ করুন

ঘাড়ের অনমনীয়তা জনিত ব্যথা উপশমের জন্য কিছু কার্যকর নেক এক্সারসাইজ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬০ স্পোর্টস মেডিসিন অ্যান্ড স্পাইন থেরাপির ফিজিক্যাল থেরাপিস্ট শেলী কফম্যান বলেন, ‘ঘাড়ে সঠিক রক্তপ্রবাহ ও প্রদাহ প্রশমনের জন্য সমতলভাবে শুয়ে ঘাড়ের নিচে একটি রোল করা তোয়ালে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে মাথাকে এমনভাবে রোটেট (এপাশ-ওপাশ) করুন যেন মনে হবে আপনি না বলছেন। এরপর মাথাকে ধীরেধীরে এমনভাবে নাড়ান (ওপর-নিচ) যেন মনে হবে আপনি হ্যাঁ বলছেন। এভাবে দুটি সেট সম্পন্ন করুন, প্রত্যেক সেটে ২০টি রেপ থাকবে। প্রতিদিন দুই-তিনবার রিপিট করুন।

২)গরম সেঁক ও ঠান্ডা সেঁক দিন

শক্ত ঘাড়ে গরম সেঁক দিলে পেশীগুলো শিথিল হবে ও সেখানে তাজা রক্ত ছুটে আসবে, বলেন ডা. কফম্যান। ঘাড়ে গরম সেঁক দিতে হিটিং প্যাড অথবা সহনীয় গরমের কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। এর কিছুসময় পর ঠান্ডা সেঁকও দিতে পারেন, যা আপনার ঘাড়ের ব্যথাকে অসাড় করবে ও প্রদাহ কমাবে। গরম সেঁক ও ঠান্ডা সেঁকের মধ্যে ন্যূনতম ১০ মিনিটের ব্যবধান থাকা চাই, এভাবে দিনে পাঁচ-ছয়বার রিপিট করুন। ব্যথা বেশি থাকলে এক ঘণ্টা পরপর উভয় সেঁক দিতে পারেন। ঘাড়ে অনমনীয়তার পাশাপাশি প্রচুর ব্যথা অনুভূত হলে বরফ ব্যবহার করতে পারেন, বলেন ডা. কফম্যান। এটা মনে রাখা ভালো যে, অতিরিক্ত বা ঘনঘন গরম সেঁকে প্রদাহ ও ব্যথা বেড়ে যেতে পারে, তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত অথবা প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৩)হাঁটতে বের হোন

আপনার কাছে এটা সাংঘর্ষিক মনে হতে পারে, কিন্তু হাঁটার মতো লো-ইম্প্যাক্ট এক্সারসাইজ হচ্ছে অনমনীয় ঘাড়ের অন্যতম সেরা চিকিৎসা। এক্সারসাইজ সকল নরম টিস্যুতে অক্সিজেন বহনে সাহায্য করে, এর মধ্যে মেরুদন্ড সংশ্লিষ্ট টিস্যুও অন্তর্ভুক্ত- এটি নিরাময় প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে। ঘাড় শক্ত হয়ে গেলে আপনি কঠিন বা ভারী এক্সারসাইজ করতে পারবেন না, তাই আপনাকে হাঁটার মতো সহজ এক্সারসাইজ বেছে নিতে হবে, বলেন ডা. কফম্যান। ঝাঁকুনিমূলক বা যন্ত্রণাদায়ক কাজকর্ম এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন।

৪) ঘাড়ের ব্যথা যদি অসহ্য হয়ে ওঠে তা হলে আইস প্যাক চাপা দিয়ে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে আরাম পাবেন।

৫) ঘাড়ের উপর হিটিং প্যাড চেপে রাখুন। রক্ত সঞ্চালন বেড়ে ঘাড়ে ব্যথা কমবে।

সমস্যা বাড়াবাড়ির পর্যায় পৌঁছলে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কাঁধের এক্স-রে করে প্রয়োজনে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

 

 

Header Ad
Header Ad

আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ সিরিয়ার লাতাকিয়া শহরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সিরিয়ার প্রাক্তন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী তাদের অস্ত্র হস্তান্তর করছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের শুরুতে শুট করা ফুটেজে দেখা যায়, সাদা পোশাকে পুরুষদের লম্বা লাইন। মূলত, তারা তাদের ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র সিরীয় সরকারের নতুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

কর্মকর্তাদের অনানুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর পুরুষ সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যায়। এছাড়াও অস্ত্র জমা দেয়ার সময় তাদের মুখের ছবি নিতে দেখা যায়। সরকারী অফিসের এক কোণায় শত শত হ্যান্ডগান ও গোলাবারুদ পড়ে থাকতে দেখা যায় ভিডিওতে ।

হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) গ্রুপের নেতৃত্বে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং আন্তর্জাতিক বৈধতা অর্জনের জন্য কাজ করছে। এজন্যই আসাদের শাসনের সময় দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের অস্ত্র হস্তান্তরে উদ্বুদ্ধ হয়।

Header Ad
Header Ad

দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন,৯ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আর আমাদের নেতা অভিভাবক তারেক রহমান ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছেন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বিন্যাফৈর স্কুল মাঠে দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের চেয়ারম্যান নিহত রফিকুল ইসলাম ফারুকের ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রী রাজ্জাক সাহেব বলে ছিলেন- বিএনপিকে বলা হয়েছিল যদি তারা নির্বাচনে আসে তাহলে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হবে না। কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান জনগণের অধিকারের কথা চিন্তা করে ওই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে কোন আপোষ করে নাই। বিএনপি গণ মানুষের দল, মানুষের কথা চিন্তা করেই পদক্ষে নেয়। জনগণও সবসময় বিএনপির সাথে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক ও গণতন্ত্রের পক্ষের দল। আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমরা কখনই জনগণের গণতন্ত্র হরণ করেনি।জনগণ আর বিএনপি পরিপূরক, বাংলাদেশ আর বিএনপি পরিপূরক। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বিএনপি থাকবে।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নিহত রফিকুল ইসলাম ফারুক হত্যার বিচার সম্পন্ন করা আশ্বাস দিয়ে আরও বলেন, যারা দলের দূর্দিনে দলের কাজ করেছেন তারা দলের নেতৃত্ব দিবে। যারা এখন আসবেন তারা দয়া করে দূর্দিনের কর্মীদের পিছনে থাকবেন। দলের মধ্যে কখনওই বিভেদ সৃষ্টি করার কাজে লিপ্ত হবেন না। লিপ্ত হলে দল করা কিন্তু আপনাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক আরও বলেছেন, ৯ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আর আমাদের নেতা অভিভাবক তারেক রহমান ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছেন। নেতা কি আপোষ করেছেন, করেনি। ২৪ সালের অনেকেই ক্ষমতার লোভে ভাগাভাগির নির্বাচনে গিয়েছেন। জনগণ ভোট দেয় নাই। দেশ নায়ক তারেক রহমানকে অনেকভাবেই অফার করা হয়েছিল।

শহীদ রফিকুল ইসলাম ফারুক স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোটেক ফরহাদ ইকবাল, জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিহতের ছোট ভাই লাবলু মিয়া প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ

জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সম্পত্তি গত ১৫ বছরে ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ। এটি শুধু সরকারি হিসাব। এর বাইরেও আরো বিপুল অবৈধ সম্পত্তি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, নানক ও তার স্ত্রীর যৌথ সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫১ টাকার।

২০২৪ সালের হলফনামায় ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৫১ টাকার সম্পদ দেখানো হয়। এই হিসাবেই তার সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিলেন না। আয়কর তথ্যের হিসাবে ২০০৮ সালের পর থেকে ১৫ বছরে নানকের সম্পদ বেড়েছে ৩০ গুণ।

আওয়ামী লীগের এই নেতার জমিজমা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে; যার কিছু আছে ঢাকায়, কিছু নিজ জেলা বরিশালে আবার কিছু আছে কক্সবাজারেও।

২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে জায়গা করে নেন নানক। এরপর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ছত্রছায়ায় স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পান তিনি। মন্ত্রণালয়ে থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির, যেখানে টেন্ডার সিন্ডিকেটে পার্সেন্টেজ নেওয়ার জন্য বেশ কঠোর ছিলেন এই নেতা।

২০০৮ সালের নির্বাচনে তাঁর দাখিল করা হলফনামায় দেখা যায়, নানক ও তাঁর স্ত্রীর যৌথ সম্পদের পরিমাণ হিসাবে ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫১ টাকা। এ ছাড়া ব্যবসা ও কৃষিকাজ থেকে তাদের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকা বলেও হলফনামায় উল্লেখ করেন নানক। পরের পাঁচ বছরের ক্ষমতায় যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যান নানক। ২০১৪ সালের নির্বাচনের হলফনামায় দাখিল করা তথ্যে নানক পরিবারের সম্পদ ১০ গুণ বেড়ে যায়। ২০১৪ সালে এসে ছয় কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা হয়ে যায়।

সম্পদ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে স্ত্রীর চাকরি, কৃষি, মৎস্য ব্যবসাসহ আরো অনেক কিছু উল্লেখ করেন নানক। অলৌকিকভাবে ২০১৪ সালে এসে আওয়ামী এই নেতার বার্ষিক আয়ও দুই লাখ থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়।

এরপর দ্বাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইলে দল থেকে গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায় সেবার সংসদের বাইরেই রয়ে যান নানক। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে দূরে থাকেননি এই নেতা। ছলে-বলে-কৌশলে অবৈধ আয় করেই গেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পান। এবার নানক ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তি ১৫ বছরে প্রায় ৩০ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৫১ টাকায়।

২০০৮ সালে নানক কৃষি-অকৃষি মিলিয়ে মাত্র দুই একর ৬৫ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন। ২০২৪ সালে এসে নানকের রাজধানীর উত্তরায় ছয়তলা বাড়ি, মোহাম্মদপুরে আটতলা বাড়ি, কক্সবাজারে জমি, জন্মস্থান বরিশালে দুটি বাড়ি, বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় ভূ-সম্পত্তি এবং মাছের খামারের মালিক হয়ে যান। এসব কিছুর বেশির ভাগই পৈতৃক সম্পত্তি বলে দাবি করেন তিনি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ
দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে বঙ্গবন্ধুর নাম বাতিল হচ্ছে
গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিয়ন্ত্রণে বনানী বস্তির আগুন
জোলানীর মাথার বিনিময়ে ১ কোটি ডলার পুরস্কার বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটের ভিড়ে গাড়িচাপায় দু’জন নিহত, আহত ৬৮  
‘আলো আসবেই’ গ্রুপে সক্রিয় থাকা জ্যোতির কোথাও ঠাই হচ্ছেনা
সাগরে নিম্নচাপ, সমূদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত
আজ রাহাত ফাতেহ আলী খানের কনসার্ট, বিনা পারিশ্রমিকে উপস্থাপনা করবেন দীপ্তিও
গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, গত ২৪ ঘন্টায় নিহত আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি
৬১ কোটি টাকা লোকসান; আবারও মাড়াই মওসুম শুরু হচ্ছে কেরুর  
নোয়াখালী বিভাগ চাই; দাবিতে মানববন্ধন
নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা মাহফুজের ফেইসবুক পোস্টে ভারতের ‘তীব্র প্রতিবাদ’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
টাঙ্গাইলে হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় আ’লীগ নেতা
যমুনা রেল সেতু জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথমে উদ্বোধন: রেল সচিব