বিশ্ব পুরুষ দিবস আজ
ছবি সংগৃহিত
নারী দিবসের কথা সবার জানা। কিন্তু, পুরুষ দিবসও যে আছে তা অনেকেই জানেন না। আবারও জানলেও সেটা ঘটা করে উদযাপন করা হয় না। আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। তাই চাইলেই আপনার প্রিয় পুরুষ মানুষটিকে আজ কিছু উপহার দিতে পারেন। তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন তাকে আপনি কতোটা পছন্দ করেন।
শুরুর বছরগুলোতে পুরুষ দিবস ক্যারিবীয় অঞ্চলে দারুণ সমর্থন পেয়েছিল। ক্যারিবীয় এই উদ্যোগটি এখন সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, হাইতি, জ্যামাইকা, হাঙ্গেরি, মাল্টা, ঘানা, মলদোভা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়। দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
১৯৯৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপন শুরু হয়। উদযাপনের মাধ্যমগুলোর আছে উপহার দেওয়া, পাবলিক সেমিনার, ফোরাম, সম্মেলন, পুরুষদের স্বাস্থ্য ইভেন্ট, রেডিও ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মিছিল, সংগীত কনসার্ট এবং শিল্প প্রদর্শনী।
পুরুষদের জন্য বিশেষ একটি দিবসের কথা উঠেছিল অনেক আগেই। ১৯৬০ সাল থেকে এমন একটি দিবস পালনের দাবি অনেকেই জানাতে শুরু করেন। বিশ্ব নারী দিবস পালন শুরু হলে এই দাবি আরও জোরালো হয়। ১৯৯২ সালে প্রথম পুরুষ দিবস পালিত হয়। আর ১৯৯৯ সাল থেকে ১৯ নভেম্বর পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব পুরুষ দিবস। পুরুষ দিবস পুরুষদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও দৃষ্টি দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ঘটছে। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু, পুরুষের আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বজুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালন করা হয়। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি।
এটা মনে রাখতে পুরুষ দিবসের উদ্দেশ্য নারী দিবসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা নয়। বরং পুরুষের সামাজিক অভিজ্ঞতাকে সবার কাছে তুলে ধরা এই দিবসের উদ্দেশ্য। তাই সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি উদযাপন করা যেতে পারে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে “জিরো মেল সুইসাইড” এর উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যেও আত্মহত্যার প্রবণতা থাকে এবং সেটা শূন্যে নামিয়ে আনাই লক্ষ্য।