শীতকালে পায়ের রগে হঠাৎ টান!
কনকনে শীত। টেনে ধরেছে পায়ের রগ। ব্যথায় ঘুম ভেঙে গেল। অনুভব করলেন পা নাড়াতে পারছেন না।
যে দিকেই সরাতে যাচ্ছেন, ব্যথা করছে। অথচ কী করলে ব্যথা কমবে বুঝতেও পারছেন না। তারই মধ্যে দেখছেন পায়ের আঙুল বেঁকে যাচ্ছে। পা টান করা যাচ্ছে না। একইভাবে টান ধরতে পারে কোমর, পিঠ, ঘাড় কিংবা হাতেও।
শুধু যে ঘুমের মধ্যেই পেশিতে টান লাগবে, এমন নয়। কখনও কখনও হাত-পা ছড়িয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও পেশিতে প্রবল টান পড়তে পারে। অনেক সময় আমাদের অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এ ধরনের সমস্যার জন্য দায়ী হয়। এ ছাড়াও একাধিক কারণ রয়েছে।
শীতকালে রগে টান ধরে এমন সমস্যা হতেই থাকে। হঠাৎ রগে টান ধরলে সঙ্গে সঙ্গে কী করা প্রয়োজন...
১. পা সোজা করে পায়ের পেছনের মাংসপেশিতে হালকা মালিশ করতে পারেন।
২. গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে হালকা সেঁক বা পানির বোতলে গরম পানি দিয়ে সেঁক দিতে পারেন ১৫ থেকে ২০ মিনিট।
৩. ভয় পাবেন না, কারণ সহজভাবে শরীর পেশিগুলো ছেড়ে রাখলে কিছু সময়ের মধ্যে ব্যথা চলে যায়।
৪. গর্ভকালীন যে রগে টান পড়ে, বেশিরভাগ সময় প্রসবের পর পায়ের টান চলে যায়।
কেন হয়
১. শরীরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের ঘাটতি।
২. অতিরিক্ত ব্যায়াম, পরিশ্রম বা পায়ের পেশির বেশি ব্যবহার।
৩. পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। খুব ঠান্ডা আবহাওয়া।
৪. গর্ভকালীন, বিশেষ করে শেষের দিকে প্রয়োজনীয় খনিজের অভাবে রগে টান পড়ে।
৫. বেশি সময় বসে থাকা, শক্ত জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা, ঘুমের সময় ভুল দেহভঙ্গির কারণে এমন হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
১. নিয়মিত কাফ মাসল স্ট্রেচিং করতে হবে।
২. সোজা হয়ে পায়ের আঙুলের ওপর ভর করে দাঁড়ালে কাফ মাসলে স্ট্রেচ হয়। ১০ সেকেন্ড ধরে রেখে পা নামিয়ে ফেলুন। তিন বা চারবার করুন। প্রতিদিন অন্তত একবার।
৩. বসে দুই পা সোজা করে, তোয়ালে দিয়ে পায়ের পাতা সামনের দিকে টেনে আনার চেষ্টা করুন। ১০ সেকেন্ড ধরে রেখে ছেড়ে দিন। পাঁচ থেকে ছয়বার করুন।
৪. সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটুন।
৫. শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাব হলে পায়ের মাংস পেশিতে টান লাগে। তাই প্রচুর পানি বা তরল গ্রহণ করুন। যেমন স্যুপ, ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি।
৬. ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন ডিম, দুধ, সবুজ শাক-সবজি, ফল, কলিজা ইত্যাদি।
এসএন