সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলামের রিমান্ড স্থগিত
সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থী হত্যায় সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে দেওয়া তিন দিনের রিমান্ড আদেশ বিকালে স্থগিত করেছেন আদালত। একই সাথে যাত্রাবাড়ী থানার আরেক হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম মিয়া তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। নূরুল ইসলামের পক্ষে ফজলুল হক বাবু রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালতকে অবহিত করেন, তিনি ৬নং আসামি। ইতিমধ্যে তিনজন আগাম জামিন পেয়েছেন। তার বিষয়ে শুনানির আবেদন করেছি। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এরপর বিকালে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলামের আরেক আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা রিমান্ড স্থগিত চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে আদালতে তিনি বলেন, সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় ছাত্র ইমরান হাসানকে গুলি করে হত্যা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। আমরা সকালে রিমান্ড শুনানিতে বলেছিলাম এই মামলায় হাইকোর্টে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তার আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছে। শুনানির জন্য আজকে তারিখ ধার্য আছে। তখন বিচারক বলেন, আপনারা তো সকালে এই বিষয়ে কোন কাগজপত্র দাখিল করেননি। উত্তরে আইনজীবী বলেন, মৌখিকভাবে বলা হয়েছে স্যার (বিচারক)। আজকে আগাম জামিন বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকালকে আদেশের জন্য রেখেছেন। আমরা রিমান্ড স্থগিতের আবেদন জানাচ্ছি।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যাত্রাবাড়ী থানার রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হত্যা মামলায় নূরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মৃগাংক শেখর তালুকদার।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ইমরান হাসান নামে এক শিক্ষার্থী গুলিতে নিহতের মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে দুপুরে দেয়া তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ বিকেলে স্থগিত করেন। একই সাথে যাত্রাবাড়ী থানার রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের থেকে সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট সকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে। এতে ইমরান হাসান নামে এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।