বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চান মতিউরের স্ত্রী লায়লা
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী। ছবি: সংগৃহীত
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন।
রবিবার (৩০ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে এই আবেদন করেন তিনি। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ জুন একই আদালত মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে তৌফিকুর রহমানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
এদিকে মতিউর রহমান ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী, ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত এবং ইরফান ইতোমধ্যে দেশত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এবারের কোরবানির ঈদে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ‘সাদিক এগ্রো ফার্ম’র ১৫ লাখ টাকার ছাগল। মূলত ওই ফার্মে বিপুল পরিমাণ টাকায় ছাগল কিনতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। এরপর বেরিয়ে আসে ওই তরুণের বাবা মতিউর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন কর্মকর্তা। একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এতো টাকায় ছাগল কিনতে আসে, এ নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে ফাঁস হয় মতিউর রহমানের দুর্নীতির খবর।
ছেলের ছাগলকাণ্ডের পর এনবিআরের পদ হারান মতিউর, সরে যেতে হয় সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও। মতিউরসহ তার স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তার সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনুসন্ধানে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় মতিউরের নামে বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পদের খোঁজ মিলেছে। মতিউরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও আছে শতকোটি টাকা। এমনকি তার ছেলে-মেয়ের নামেও বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের খোঁজে রোববার (৩০ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।