ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির সুযোগ সবার থাকে না, বিশেষ করে কারাবন্দিদের। তবে তাদের জন্যও বিশেষ আয়োজন করে কারা কর্তৃপক্ষ, যাতে বন্দিরা অন্তত ঈদের আনন্দের কিছুটা স্বাদ পেতে পারেন। এ আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বিশেষ খাবার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলা।
কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দুটি জামাত কারাগারের স্টাফদের জন্য এবং একটি জামাতে অংশ নেবেন কারাবন্দিরা। শনিবার (২৯ মার্চ) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ কে এম মাসুম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঈদের দিন সকাল ৭টা ও ১০টায় কারাগারের স্টাফদের জন্য পৃথক দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, সকাল ৮টায় কারাগারের মাঠে বন্দিদের জন্য জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারও কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সকালের নাশতায়: মুড়ি, পায়েস অথবা সেমাই।
দুপুরের খাবারে: গরুর মাংস, মুরগির রোস্ট, ডিম, কোমল পানীয়, সালাদ ও পান-সুপারি। যারা গরুর মাংস খাবেন না, তাদের জন্য খাসির মাংস রাখা হবে।
রাতের খাবারে: সাদা ভাতের সঙ্গে রুই মাছ ও আলুর দম পরিবেশন করা হবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দ্বিতীয় দিনে বন্দিদের জন্য বিশেষ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বন্দিরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৫ মিনিট বেশি সময় ধরে স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন।
এছাড়া, ঈদের দিন স্বজনরা বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, তবে রান্না করা খাবার আনতে পারবেন না। ঈদের দ্বিতীয় দিন বাসা থেকে রান্না করা খাবার আনার অনুমতি থাকবে।
কারা স্টাফদের জন্যও বিশেষ আয়োজন থাকছে। ঈদের দিনে দায়িত্ব পালন করা কারা স্টাফদের জন্য বিশেষ প্রীতিভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ আয়োজনের মাধ্যমে ঈদ উৎসবের আনন্দ কিছুটা হলেও কারাবন্দিদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে কারা কর্তৃপক্ষ।