পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতি রোধে কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতি রোধে পদক্ষেপ নিতে দুটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি গঠনের বিষয়টি হাইকোর্টকে অবহিত করা হয়েছে।
২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে একটি রিট আবেদন করা হয়। আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকনের ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি কীভাবে অনুমোদন করা হয়, তা খতিয়ে দেখে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ইউজিসিকে নির্দেশ দেন আদালত।
নির্দেশে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল’ এ বিষয়ে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
ওই আদেশ অনুসারে, ঢাবি ও ইউজিসি আদালতে প্রতিবেদন দেয়। আজ রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এরপর আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। রিটের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী ছিলেন মো. মনিরুজ্জামান (লিংকন)।
গতবছর ২১ জানুয়ারি শুনানি শেষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদেশ অনুসারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। এর মধ্যে আমরা সময় চেয়েছিলাম, সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া ইউজিসিও প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদন দেখে আদালত ঢাবি কর্তৃপক্ষকে আরেকটি নির্দেশ দিয়েছেন। পিএইচডি গবেষণা (থিসিস) কীভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো সফটওয়ার বা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কি না তা জানাতে হবে।’
এমএ/এসএ/