রাজারবাগ পীরের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারির নির্দেশ
ছবি : সংগৃহীত
রাজারবাগ দরবার শরীফ ও পীরের কর্মকাণ্ডের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে কাউন্টার টেররিজমকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত আদেশে পীরের বিদেশ যাত্রায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি ও কাউন্টার টেররিজম চাইলে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বলেও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মামলার তদন্তের স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া যাবে বলে রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ২ ডিসেম্বর রাজারবাগ দরবারের পীর দিল্লুর রহমানসহ চার জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক রিট আবেদন দায়ের করা হয়। অন্য তিনজন হলেন শাকিরুল কবির, ফারুকুর রহমান ও মফিজুল ইসলাম।
ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে আইনজীবী এমাদুল হক বশির সম্পূরক এ রিট আবেদন দায়ের করেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি ভুয়া মামলার নেপথ্যে রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমানের নাম উঠে আসে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হাইকোর্টে ওই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদন জমা দেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রতন কৃঞ্চ নাথ। প্রতিবেদন দাখিলের পর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির নেপথ্যে পীরের কারসাজির তথ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। এর আগে রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ‘অস্তিত্বহীন’ বাদীর করা ৪৯ মামলার প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
বশির বলেন, ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের হয়।
এসব মামলায় তিনি ১ হাজার ৪৬৫ দিন জেল খেটেছেন। কিন্তু একটি মামলারও বাদীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় তিনি অনেক মামলায় খালাস পেয়েছেন। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
এমএ/এমএমএ/