মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১০ জন কারাগারে
বগুড়ার ধুপচাঁচিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরীন রুপা ও হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজাদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে হওয়া মামলায় এই দুইজনসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠনোর আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- নোমান সিদ্দিকী, আল আমিন আজাদ রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।
মঙ্গলবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় রমনা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোহাম্ম আলী আসামি মাহবুবা নাসরীন রুপা, আল আমিন আজাদ রনি, নাহিদ হাসান,রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আগামী ৩০ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদেশে কাফরুল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নূরে আলম সিদ্দিক আসামি হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজাদ, নোমান সিদ্দিকী, তানজির আহমেদ ও শহীদ উল্লাহকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীর আবেদন মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২২ জানুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় (সন্দেহমূলক) রুপাসহ ৬ জনকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে রমনা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে হাজির করা হয়।
এদিকে প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় মাহবুবা নাসরিন রুপাকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২১ জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত মিরপুর, কাকরাইল ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় চলা অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের থেকে ছয়টি ইয়ার ডিভাইস, ছয়টি মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার, ব্যাংকের চেক পাঁচটি, ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সাতটি, স্মার্ট ফোন ১০টি, ফিচার মোবাইল ছয়টি, প্রবেশপত্র ১৮টি ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের তিনটি সেট জব্দ করা হয়।
এমএ/এএস