আইনজীবী নিয়োগ: অগ্রণী ব্যাংককে আইনি নোটিশ
অগ্রণী ব্যাংকের আইনজীবী নিয়োগ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটিকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির মামলা পরিচালনায় তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের মেয়াদ বাড়ানো এবং নতুন আইনজীবী তালিকাভুক্তির বিজ্ঞপ্তিতে এক হাজার টাকা ব্যাংক ড্রাফট করার বিধান বাতিলে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে শর্তটি বাতিলের অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (লিটিগেশন-১অধিশাখা) উপসচিব, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও এবং উপ-মহাব্যবস্থাপককে (সদস্যসচিব, আইনজীবী তালিকাভুক্তি কমিটি) শর্তটি বাতিলে অনুরোধ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, গত ৪ জানুয়ারি অগ্রণী ব্যাংকের ওয়েসাইটে ‘অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের আরও দুই বছর মেয়াদে নবায়ন এবং নতুন আইনজীবী দুই বছর মেয়াদে তালিকাভুক্তির নিমিত্তে দরখাস্ত আহ্বান প্রসঙ্গে’ শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও প্রচার করা হয়।
এতে ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবীদের মেয়াদ নবায়ন এবং নতুনভাবে তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্যে আইনজীবীদের কাছ থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দরখাস্ত আহ্বান করা হয়।
দরখাস্ত আবেদনের শর্তাবলীর মধ্যে একটি বিশেষ শর্তের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। যেখানে বলা হয়েছে-প্রত্যেক আবেদনকারীকে আবেদন পত্রের সঙ্গে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, ল’ডিভিশনের অনুকূলে ১০০০/- (একহাজার) টাকার পে-অর্ডার/ ব্যাংকড্রাফট (অফেরতযোগ্য) সংযোজন করতে হবে। সরকারি বেসরকারি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের পক্ষে বা বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবীদের কাছ থেকে সার্ভিস নিয়ে থাকে। মামলা পরিচালনার সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনজীবীদের তালিকা তৈরি থাকে, যা ব্যাংকে কোনো আনুষ্ঠানিক নিয়োগ নয়।যে কারণে ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্তাবলীর মধ্যে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট সংযোজনের বিষয়টি নিতান্তই দুঃখজনক, যা কেবল আইনগতভাবে অবৈধই নয় বরং আইনজীবীদের জন্য অবমাননাকর ও বটে।কোনো মামলা বা আইনগত কাজে নিয়োজিত বা নির্দেশিত হওয়ার জন্য আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক ক্লায়েন্টের প্রতি যে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন সম্মানজনক আইন পেশার দীর্ঘস্থায়ী প্রথা এবং আইনজীবীদের পেশাগত আচরণবিধি তথা আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।
এমতাবস্থায় নোটিশ প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকে তালিকাভুক্ত আইনজীবী হওয়ার শর্তাবলী থেকে এক হাজার টাকার পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট সংযুক্তির শর্তটি বাতিল করে সংশোধিত আইনজীবী তালিকাভুক্তির বিজ্ঞপ্তি পুনরায় প্রকাশ করতে এবং এরইমধ্যে আবেদন করা আইনজীবীদের পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট বাবদ নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের পক্ষে আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন এ নোটিশ পাঠান।
আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন নিজেই নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এমএ/এমএমএ/