কয়লা খনি দুর্নীতি
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৬ মার্চ
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। শুনানির দিন আগামী ৬ মার্চ ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) নতুন দিন দিন ধার্য করে এ আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান।
এদিন অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য থাকলেও খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আসামির পক্ষে তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন।
এই মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি আরেক আসামি আমিনুল হক মারা যান। ফলে বর্তমানে এই মামলার আসামি ১০ জন। তারা হলেন-খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রো বাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করা হয়।
এমএ/এসআইএইচ