জি কে শামীমের ১২ বছরের কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ ৮ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (৬ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ জি কে শামীমসহ ৮ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। আদালত আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জি কে শামীমসহ ৮ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছি। আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৭ সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র্যাব। সেখান থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি করে র্যাব।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নিজের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে আসছিলেন। বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে শামীম বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
কেএম/এসজি
