নগদের কার্যক্রম কেন বেআইনি নয়, জানতে চান হাইকোর্ট

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২০১৯ সালে সাময়িক অনুমোদন নিয়ে নগদ লিমিটেডের মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) কার্যক্রম শুরু কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেওয়া ওই অনুমোদন বাতিল করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে এ রুলে।
বুধবার ( ২ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ রুল দেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাপরিচালক, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক, নগদ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
নগদের মোবাইলে আর্থিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা সংশ্লিষ্ট বিধানসম্মত নয় উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ও মো. হাসান উজ জামান গত ২৭ অক্টোবর রিটটি করেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
মোবাইল ফিন্যান্স সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রোভাইডার হিসেবে ২০১৯ সালে কার্যক্রম শুরু করে। এ সেবা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তখন একটি রেগুলেশন (প্রবিধান) ছিল। এতে বলা ছিল, এ সেবা দিতে হলে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত (অ্যাফিলিয়েটেড এনটিটি) থাকতে হবে। তবে নগদ তখন কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। ২০১৮ সালের রেগুলেশন বাতিল করে ২০২২ সালে আরেকটি রেগুলেশন করা হয় এবং বলা হয়, শুধু ব্যাংক নয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও চলবে।
এমএমএ/
