বাস থেকে ফেলে জবির সাবেক শিক্ষার্থী হত্যা: চালক হেলপার রিমান্ডে

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী (জবি) আবু সায়েম মুরাদকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দিয়ে চাকায় পিষ্ট করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে৷
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চালক শাহ আলম ও হেলপার মোহন মিয়ার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নিহত সায়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০০৪-০৫ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে রাজিবুল ইসলাম (ডায়মন্ড) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আবু সায়েম মুরাদ মতিঝিলে একটি বায়িং হাউজে কর্মরত ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যার দিকে তিনি মতিঝিল থেকে ৮ নম্বর যাত্রীবাহী বাসে করে যাত্রাবাড়ীতে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন।
বাসটি যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে আসামাত্র হেল্পার মোহন মিয়া ও চালক শাহ আলম তাকে মারধর করে বাস থেকে ফেলে দেন। চলন্ত গাড়ির চাকার নিচে মাথা পিষ্ট হয় মুরাদের। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আবু সায়েমের বড় ভাই আবু সাদাত শনিবার রাতেই যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।
এমএমএ/
