দেশে হেনরি ডুনান্ট মুট কোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন

৯৭ মিলিয়ন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে দুনিয়াজোড়া কার্যক্রম পরিচালনা করে রেড ক্রস। তাদের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্টের নামে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেনরি ডুনান্ট মেমোরিয়াল মুট কোর্ট কম্পিটিশন’ করেন আইনের ছাত্র, ছাত্রীদের নিয়ে।
‘দি ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দি রেড ক্রস (আইসিআরসি)’র আয়োজনে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ (আইইউবি)’ ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার স্থায়ী ক্যাম্পাসে ‘১৩তম জাতীয় হেনরি ডুনান্ট মেমোরিয়াল মুট কোর্ট প্রতিযোগিতা’র সম্পন্ন হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ পর্ব হয়ে গেল।
এই জাতীয় প্রতিযোগি বাছাইয়ের আয়োজক ছিল আইইউবির আইন বিভাগ।
এবারের বিষয় ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন’ বা ‘ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানেটেরিয়াল ল (আইএইচএল)’।
আইইউবি অডিটোরিয়ামে ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর টানা দুদিনের পর্বে বাংলাদেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৮১ জন ছাত্র, ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছেন।
মুটিং বা বিচারবিতর্ক, অ্যাডভোকেটি বা ওকালতি এবং আইনী গবেষণা উপস্থাপন পর্বগুলোতেও অংশগ্রহণ করেছেন তারা।
কোনো একটি মামলার গবেষণা এবারের আয়োজনকে অনন্যতা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক আপরাধ আদালতের নিয়মেও তারা আইনজীবির কাজ করেছেন।
প্রকৃতিকে রক্ষার আইনী লড়াই লড়েছেন তারা।
অস্ত্র ও সংঘাতের বিপক্ষে সব শ্রেণীর সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর জন্য আইনী লড়াই লড়েছেন।
তাদের পড়ালেখার বিষয় ছিল।
সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল রাউন্ডের বিচারক প্যানেলে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা।
তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দল।
তারা জানিয়েছেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।
তারা ও জাহাঙ্গীরনগর দল ‘হেনরি ডুনান্ট মেমোরিয়াল মুট কোর্ট প্রতিযোগিতা’র নিয়মানুসারে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাউন্ডের ফাইনালে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে লড়বেন। হবে নেপালের কাঠমান্ডুতে।
এই প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, ‘পরিপূর্ণ বিদ্যা ও পূর্ণ পেশাদার মনোভাব নিয়ে এখানে আইনের ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করতে পারছে। তাদের মানুষকে সুরক্ষা প্রদানের দিকে মনোযোগী হতে হবে।’
‘দি ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দি রেড ক্রস (আইসিআরসি)’র উপ-প্রধান ফেবরিস এদওয়ার্দ বলেছেন, ‘এমনকি যুদ্ধের সময়ও মানুষের আইনী মর্যাদা সুরক্ষা করা আমাদের মৌলিক প্রেরণা।’
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির উপ-প্রধান আরো বলেছেন, ‘আইনকে সবচেয়ে ভালোভাবে উপস্থাপনের এই লড়াই আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।’
আরেক অতিথি ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেছেন, ‘পেশাদার জীবনে সাফল্যের জন্য আইনের ছাত্র, ছাত্রীদের আদর্শগত ও তত্বীয় জ্ঞানের পূর্ণ ভিত্তি থাকতে হবে।’
আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান বলেছেন, ‘আইনের মৌখিক প্রয়োগ ও অনুশীলন এবং লিখিত ও ব্যবহারিকের এভাবেই একমাত্র বড় আকারে অনুশীলন ঘটে। এমন আয়োজনের আইসিআরসির সঙ্গে যৌথ আয়োজক হওয়ায় আমরা গর্বিত।’
এই প্রতিযোগিতায় আইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও আইসিআরসির আইনী উপদেষ্টারা অংশগ্রহণ করেছেন।
জুরি বোর্ডে বিচারক হিসেবে ছিলেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের উপদেষ্টা ও কৃতি অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান। তিনি বলেছেন, ‘এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের ছাত্র, ছাত্রীরা তাদের আইনী পড়ার দক্ষতাগুলোকে প্রয়োগ, ধারালো, দলগঠন ও দলীয় কাজের মনোভাবকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উন্নত, নতুন নেটওয়ার্ক তৈরিতেও সুযোগ পেয়েছে।’
ওএফএস।
