হিজড়া বেশধারী সেই ৪ পুরুষ কারাগারে

তৃতীয় লিঙ্গ পরিচয়ধারী গ্রেফতারকৃত ৪ পুরুষকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গণপরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে তৃতীয় লিঙ্গের বেশধারী এই চার পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ছদ্মনাম ব্যবহারকারী আসামিরা হলেন- মৌসুমী (৩২), অনিকা (১৯), তুলি (২৪) ও দুলী (২৫)।
গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবীর।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, গ্রেফতারের পর তৃতীয় লিঙ্গের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। এরপর জানা যায় তারা মূলত তৃতীয় লিঙ্গের কেউ নয়, সবাই পুরুষ। তৃতীয় লিঙ্গের বেশে দীর্ঘদিন ধরে উত্তরা এলাকায় বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করতো তারা। টাকা না দিলে কাউন্টার ও গাড়িতে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতো। যাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করতো।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা উত্তরা পশ্চিম থানার ৭ নম্বর সেক্টরের বিএনএস টাওয়ারের সামনে এনা পরিবহনের ম্যানেজার জিয়াউল হকের কাছে দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা যাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ শুরু করেন।
ওসি মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, একপর্যায়ে ওই ম্যানেজার ৫০০ টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু আসামিরা তাদের দাবি করা টাকার জন্য অনড় থাকেন। তারা ভুক্তভোগী জিয়ার পকেট থেকে এক হাজার ১০ টাকা নিয়ে নেন এবং আরও ৪৯০ টাকার জন্য কাউন্টারজুড়ে হৈ হুল্লোড় শুরু করেন। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে তৃতীয় লিঙ্গের বেশধারী ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় জিয়াউল হক বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছেন।
এমএ/এএস
