সানজানার আত্মহত্যা: বাবাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজানা মোসাদ্দিকার (২১) আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলায় তার বাবা শাহীন আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে সানজানার বাবাকে গ্রেফতার করে র্যাব। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) শাহীন আলমকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে দক্ষিণখান মোল্লারটেক এলাকার একটি ১২তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন সানজানা মোসাদ্দেক। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই সানজানার মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সানজানার বাবা শাহীন আলম পাঁচ বছর আগে তাদের না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপর সানজানার মা দুই মাস আগে স্বামীকে ডিভোর্স দেন। শাহীন সানজানার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফিসহ আনুষঙ্গিক খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন।
এদিকে, আত্মহত্যার আগে বাবাকে দায়ী করে একটি চিরকুট লিখে গেছেন সানজানা। চিরকুটটি উদ্ধার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ।
চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সঙ্গে থাকা যায়, কিন্তু অমানুষের সঙ্গে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট, যে কাজের মেয়েকেও ছাড়েননি। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা।’
এমএ/এএস
