ডেসটিনির হারুনের জামিন বহাল

জামিন স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পুনরায় আবেদন করলেও ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে ৬ মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
চার বছরের কারাদণ্ডের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেয়েছিলেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।
আদালতে হারুন-অর-রশিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) হারুন-অর রশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের পর ওইদিনই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ৬ মাসের জামিন দেন। গত ২৯ জুন তার মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গত ৯ জুন তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। তবে ওইদিন তাকে জামিন দেননি আদালত।
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।
বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
জেডএ/এসজি
