সোহেল চৌধুরী হত্যা: ইমনের জামিন কেন নয়?

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি সানজিদুল ইসলাম ইমনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৯ আগস্ট) এই রুল জারি করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। আর আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বদিউজ্জামান তফাদার।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক নায়ক সোহেল চৌধুরী। সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী ওই ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরের বছর ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
দুই বছর পর মামলাটি ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এক আসামি ওই বছর মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়।
সাত বছর পর মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত এলে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।
এমএ/এসএন
