ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে জবি ছাত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেন্স সহকারী শামীম আল মামুন বিষয়টি জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার (২৭ আগস্ট) রাতে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। এরপর তাকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এসময় আসামিপক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, আসামি খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর দেলোয়ার (অব.) তাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজগুলোতে ভিডিও আপলোড করে বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের মিথ্যা তথ্যপূর্ণ আলোচনা ইউটিউব, ফেইসবুকে প্রচার করে বাংলাদেশের সাধারণ জনগনকে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে তাদেরকে দেশ ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত করার চেষ্টা করে। তাদের মনগড়া মিথ্যা তথ্য এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকার বিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে ও বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈধ সরকারের পতনের উদ্দেশে দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তারা এমন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ, ঘৃণা সৃষ্টির অপচেষ্টাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের কার্যক্রম চালাচ্ছে। খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর দেলোয়ার (অব.) তাদের আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধু বান্ধবের সহায়তায় অনলাইনে এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর নিউ মার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কোবরা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ারকে আসামি করা হয়। মামলায় আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটানোর জন্য আক্রমনাত্মক ও মানহানিকর তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার ও প্রচারে সহয়তার করার অপরাধ উল্লেখ করা হয়েছে।
এ মামলার তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এরপর গত ৭ জুলাই সাইবার ট্রাইব্যুনাল এ মামলার অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এমএমএ/
