জমির উদ্দিন সরকারের ৫ মামলা বাতিল, ফেরত দিতে হবে টাকা

জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে করা পাঁচটি মামলা বাতিল করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এই রায় দেয়। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া তার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন। অবৈধ উপায়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদক এ মামলা পাঁচটি দায়ের করে কমিশন।
পরে এই পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আদালত অভিযোগ আমলে নেন। এই অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন। শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিভক্ত আদেশ দেন। নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে তৃতীয় বেঞ্চে যায় মামলাটি। তৃতীয় বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেয়। পরে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আর কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ।
এমএ/এমএমএ/
