পরীমনির মাদক মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ৪ সেপ্টেম্বর

চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের এই মামলায় আদালত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এই দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলার বাদী মজিবুর রহমানকে পুনরায় জেরা করার দিন ধার্য ছিল। তবে পরীমনির আইনজীবী সময় আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন আদালত। আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদীর জেরা ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
গত ১২ মে পরীমনির আইনজীবী ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করলে গত ২ জুন আদালত এ অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করেন।
গত বছর ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করে।
দুই মাস পর ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে গত ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমনিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেয়।
মামলাসূত্রে জানা যায়, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদক দ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এই মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এমনকি নিজের ব্যক্তিগত গাড়িটিও মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন তিনি।
এমএ/এসএন
