সোহেল চৌধুরী হত্যা: 'বোতল চৌধুরী'র মামলা ট্রাইব্যুনালেই

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলাটি দায়রা আদালতে ফেরত চেয়ে আবেদন করেছিল আসামিপক্ষ। বুধবার (২৪ আগস্ট) ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন। আদেশে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাদিয়া সুলতানা শিল্পী বলেন, দ্রুত বিচার আইন ২০০২ এর ১০(৪) ধারা মোতাবেক ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচারের সময় শেষ। এই যুক্তি দেখিয়ে আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীর পক্ষে তার আইনজীবী মামলাটি দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানোর আবেদন করেন। আদালত এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তারমানে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালেই এই মামলার বিচার কাজ চলবে।
মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
প্রসঙ্গত রাজধানীর বনানীতে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
মামলাসূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন।
১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
আসামিদের মধ্যে একজন ওই বছরই হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ফের মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এমএ/এএস
