ড. ইউনূসের আপিল শুনানি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছেন তিনি।
ওই আবেদনের উপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার জজ আদালত শুনানির দিন ধার্য করে বুধবার (২৪ আগস্ট) এই আদেশ দেন।
আদালতে ড. ইউনুসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। আর শ্রম আদালতের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দাখিল করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না মর্মে রুল গত ১৭ আগস্ট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত থাকবে বলে গত ১৩ জুন আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আদেশে এই সময়ের মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের আদেশে রুল শুনানি নিয়ে খারিজ করে দেন আদালত।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি।
এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।
এমএ/এমএমএ/
