পিপলস লিজিং: ১১ পাসপোর্ট জমার শর্তে দুই বোনের জামিন

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিনের দুই মেয়ে শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবারের ১১ সিদস্যের পাসপোর্ট জমার শর্তে তাদের জামিন দিয়েছেন আদালত।
অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার এই বোনের বিষয়ে বুধবার (২৪ আগস্ট) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টে বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জামিন দেয়াত শর্তে আদালত বলেছে, ৩০ দিনের মধ্যে পিপলস লিজিংয়ের পরিচালনা বোর্ডের কাছে ১০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে। এ ছাড়া দুই বোনসহ তাদের পরিবারের মোট ১১ জনের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিলে তারা র্যাবের হেফাজত থেকে মুক্তি পাবেন।
রাজধানীর ধানমণ্ডি ও শ্যামলী থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে বুধবার র্যাব তাদের হাইকোর্টে হাজির করে।
গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী। কর্মরত থাকাকালে নিজে প্রায় ২০০ কোটি টাকা পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে বেনামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। পরে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে অর্থআত্মসাতের অভিযোগে এই পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
কর্মকর্তা মঈন বলেন, গ্রেপ্তার দুজন তাদের বাবা সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ নেয়। শারমিন ৩১ কোটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তারা গত ২৮ জুলাই কানাডা থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং আজ পুনরায় গোপনে কানাডার উদ্দেশে দেশ ত্যাগের পরিকল্পনা করছিল।
উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তী সময়ে নানা অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির কারণে ২০১৯ সালে কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সময় আদালত পি কে হালদারসহ প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করে।
এমএ/এমএমএ/
