চা-বাগানে খুন: হাইকোর্টে সবাই খালাস

সিলেটের দলদলি চা বাগানে এক ব্যক্তি হত্যার মামলায় বিচারিক আদালত আটজনকে দণ্ড দিয়েছিল। রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল একজনের, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সাতজনকে। আট জনের সবাইকে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) খালাস দিয়েছে উচ্চ আদালত।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। মামলার ডেথ রেফারেন্স খারিজ এবং আপিল মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন আদালত।
আদালতে আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল হালিম কাফি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর ওই চা বাগানে জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করা হয়। তার মরদেহ পাওয়া যায় পাশের একটি খালে।
ওই ঘটনায় নিহতের বাবা ফরিদ মিয়ার করা মামলায় ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি ১২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর হোসেন মৃধা ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর নগরীর কলবাখানি এলাকার শরীফ উদ্দিনকে ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেন। আর কালাম মিয়া, ইকবাল মিয়া, গুলজার আহমদ, নয়ন ওরফে রিপন, রাজ্জাক, জলিল ও হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। অন্য চার আসামিকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন। ডেথরেফারেন্স ও আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে এ মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
এমএ/এমএমএ/
