ছাত্র অধিকারের মামুনের মুক্তিতে আইনি বাধা নেই

ছাত্র অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে জামিন দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ সোমবার (২২ আগস্ট) এই আদেশ দেন।
আইনজীবীরা বলছেন, ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় সর্বোচ্চ আদালতে জামিন বহাল থাকার ফলে মামুনের কারামুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।
আদালতে মামুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
পরে শিশির মনির বলেন, হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে তার সাবেক এক নারী সহকর্মী মামলা দায়ের করেন। এরপর তিনি গত ২ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
পরে বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মামুনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর পর হাসান আল মামুন জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে হাসান আল মামুনকে জামিন দেয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ১ মার্চ চেম্বার আদালত মামুনের জামিন ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে। এরপর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল (সিপি) দায়ের করেন।
শুনানি নিয়ে সোমবার (২২ আগস্ট) আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল রাখে।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ঢাকার লালবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) ভিপি নূরুল হক নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা ও মেসেঞ্জার গ্রুপে কুৎসা রটানোর অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মামুন ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ২০২১ সালের ১৬ জুন হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পরিদর্শক আসলাম উদ্দিন মোল্লা। এতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে নুর ছাড়াও নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা এবং আবদুল্লাহ হিল বাকীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
এরপর গত ৩ নভেম্বর পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৫ জনকে অব্যাহতি দেন আদালত।
এমএ/এমএমএ/
