এমসি কলেজে গণধর্ষণ: দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রশ্নে রুল
এক নারীকে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাবরিনা জেরিন ও এম. আব্দুল কাইয়ুম।
গণধর্ষণের ওই ঘটনায় করা দুই মামলার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে গত ১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। বর্তমানে এই মামলার বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
মামলাসূত্রে জানা গেছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে ওই নারীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন।
মামলায় আট জনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয় সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী। অভিযোগপত্রে নাম থাকা আসামিরা হলেন-সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়েরা করা মামলায় আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে এলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন আদালত।
এমএ/এমএমএ/