সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার: তথ্য না জানার কারণ জানতে চেয়ে রুল
বাংলাদেশিরা অবৈধ পথে সুইস ব্যাংকে যেসব অর্থ জমা রেখেছেন বা পাচার করেছেন সেসব বিষয়ে সরকার এবং দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বিষয় জানতে চেয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এই প্রশ্ন রাখে আদালত। স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্ট এই প্রশ্ন রাখেন।
গণমাধ্যম প্রকাশিত সংবাদের রেফারেন্স টেনে আদালত জানতে চায় কী পরিমান অর্থ সুইচ ব্যাংকে পাচার হয়েছে এবং এ বিষয়ে সরকার ও দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বা দুদক কোনো তথ্য দিতে পারেনি আদালতকে।
তাই আগামী রবিবার মধ্যে এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা হাইকোর্টকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
গতকাল (১০ আগস্ট) সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
আইনজীবীরা জানান, সুইস ব্যাংকে জমা করা অর্থের বেশিরভাগই অবৈধ পথে এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুইস ব্যাংকের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি, এ সম্পর্কে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা তা রবিবারের মধ্যে দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষকে জানানোর জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এমএ/এমএমএ/