১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ জজ মিয়ার
তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানোর মামলায় ফাঁসানো জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিআইডি, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সদর দপ্তরের সাবেক স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন, সাবেক এসপি আব্দুর রশিদ, সাবেক এসপি মুন্সী আশিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১১ জনকে নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে।
ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) তার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মো. কাওসার এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে এ ঘটনার মামলায় তাকে কারাগারে থাকার পর তার আর্থিক, সামাজিক বিষয়ে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে তদন্তের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। নোটিশে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। তা না হলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় পরের বছর ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় জজ মিয়াকে। তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি।
২৬ জুন আদালতে দেওয়া ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখ।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলা তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অব্যাহতি দেওয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়া জজ মিয়াকে। সে সময় বিনা অপরাধে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল জজ মিয়াকে।
এমএ/এসএন