সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ বহাল
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করে আদেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন তিনি। সম্রাটের ওই আবেদন বুধবার (১০ আগস্ট) খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। আইনজীবীরা বলছেন, ফলে তার জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল থাকল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সম্রাটের আপিল আবেদনের উপর শুনানি শেষ হয় গত সোমবার (৮ আগস্ট)। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য করে আপিল বিভাগ। আদালতে ওইদিন সম্রাটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রোকন উদ্দিন মাহমুদ। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।
গত ১৮ মে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হয় হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপরে গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। এরপর জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
এই মামলায় জামিন পাওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে করা আরও ৩টি মামলায় জামিন পান তিনি। ৪টি মামলার সবকটিতেই জামিন পাওয়ায় গত ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। এর একদিন আগেই ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি মামলায় ঢাকার পৃথক আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে।
এদিকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপরে একই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। পরের বছর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এমএ/এসআইএইচ