দালাল প্লাসের গ্রাহকদের টাকা ফেরত প্রশ্নে রুল
দালাল প্লাসের ৪১ গ্রাহকের ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা কেন ফেরত দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটিতে গ্রাহকের প্রায় সোয়া কোটি টাকা আটকে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে করা রিট আমলে নিয়ে এই রুল দেন আদালত।
সোমবার (৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
বাণিজ্যসচিব, অর্থসচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দালাল প্লাসসহ সব বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। আর রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লব।
গত ২৮ জুন দালাল প্লাসের গ্রাহকদের আটকে থাকা ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করা হয়। রিটে বাণিজ্যসচিব, অর্থসচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরসহ ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়।
দালাল প্লাসের ৪১ গ্রাহকের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পল্লব।
মোরশেদ নোমানসহ দালাল প্লাসের ৪১ জন গ্রাহক ২০২১ সালের মে, জুন ও জুলাই মাসে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ের জন্য টাকা পরিশোধ করেন। তবে পণ্য সরবরাহ না করায় ৪১ জন গ্রাহকের ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল এবং সূর্য-পে এর অ্যাকাউন্টে আটকে আছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে পরিশোধিত অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কোনো কূল-কিনারা করতে না পেরে তারা হাইকোর্টে রিট করেন।
হুমায়ূন কবির পল্লব বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দালাল প্লাস বিভিন্ন চটকদার অফার দিয়ে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে সেই টাকা তারা আত্মসাৎ করেছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারিত হওয়া ৪১ গ্রাহকের ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আমরা রিট করি। আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে ৪১ গ্রাহকের টাকা কেন ফেরত দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
এমএ/এসজি/