বালু উত্তোলন
সেলিম খানের কাছ থেকে টাকা আদায়ে আদালতের নির্দেশ
আলোচিত-সমালোচিত সেলিম খানের কাছ থেকে মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলন বাবদ পাওনা টাকা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সোমবার (৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চাঁদপুরের জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান জানান, হাইকোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সাল থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন সেলিম খান। ওই রায় বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা ২০১০ এর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং আইনের লঙ্ঘন। এই বিবেচনায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। আপিলের বিস্তারিত শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেয় আপিল বিভাগ। ওই রায় প্রকাশিত হয়েছে আজ সোমবার। আপিল বিভাগের রায়ে বেশকিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০১৬ সাল থেকে সেলিম চেয়ারম্যান বালু উত্তোলন করে সরকারের অনেক অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করেছেন। তিনি সরকারকে কোনো রয়্যালিটি দেননি। তাই সেলিম চেয়ারম্যান যে বালু উত্তোলন করেছেন, তার রাজস্ব নির্ধারণ করে সরকারের কোষাগারে সেই টাকা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে রয়্যালিটি নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া সেলিম চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হাইকোর্টের রায় এর আগে বাতিল করে আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) জনস্বার্থে নিজ খরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান। ওই রিটে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।
এমএ/এসজি/