মাসুদ রানা-কুয়াশা সিরিজের বই বিক্রিতে স্থিতাবস্থা
জনপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের বই বিক্রিতে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। সেবা প্রকাশনীর ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমকে স্বত্বের স্বীকৃতি দিয়ে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
উচ্চ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন গ্রহণ করে আপিল বিভাগ সোমবার (৮ আগস্ট) স্থিতাবস্থার এই আদেশ দেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর ‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের জন্য নিজের লেখা বইগুলোর লেখক স্বত্ব পেয়েছিলেন শেখ আবদুল হাকিম। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কপিরাইট অফিসের আদেশের বিরুদ্ধে করা সেবা প্রকাশনীর কাজী আনোয়ার হোসেনের রিট খারিজ করে এ রায় দেয়। ফলে ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বই এবং ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের স্বত্ব পান প্রয়াত লেখক শেখ আবদুল হাকিম।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আপিল করেন কাজী আনোয়ার হোসেনের আইনজীবীরা। সেই আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার স্থিতাদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
এর আগে ‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের বইগুলোর লেখকস্বত্ব শেখ আবদুল হাকিমের-কপিরাইট অফিসের এমন সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, কপিরাইট অফিসের এই সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না। তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত। ২০২০ সালে লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর এ রুল জারি করেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০১৯ সালের ২৯ জুলাই শেখ আবদুল হাকিম ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি এবং ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট দপ্তরে অভিযোগ করেন।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াই শেষে ২০২০ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে আদেশ দেন। ফলে দাবি করা মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি এবং কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক স্বত্ব শেখ আবদুল হাকিমের হয়।
এমএ/এমএমএ/