এনআইডিতে থ্যালাসেমিয়ার তথ্য কেন নয়: হাইকোর্ট
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) কোনো ব্যক্তি থ্যালাসেমিয়ার বাহক কি-না, সে তথ্য কেন যুক্ত করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (৭ আগস্ট) এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। আর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, রুলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের বিষয়ে কেন নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতি থ্যালাসেমিয়া আছে কি না, তা শনাক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে এ তথ্য কেন যুক্ত করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতি থ্যালাসেমিয়া আছে কি-না তা শনাক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে এ তথ্য যুক্ত করার জন্য বিধি প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ মে রিট দায়ের করেন আইজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। এর আগে ২৫ মে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি। নোটিশে এই রোগের ভয়াবহতা থেকে মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কি-না মেডিকেল প্রতিবেদন অনুযায়ী অপশন যুক্ত করতে দাবি করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক যদি আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করেন, তাহলে তাদের সন্তানের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে একজন সুস্থ মানুষ আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করতে পারবে কারণ তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার আশঙ্কা ততটা থাকে না। যে কারণে জাতীয় পরিচয়পত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কি-না এ ধরনের অপশন যুক্ত থাকলে তা দেখে সহজেই দুইজন থ্যালাসেমিয়া বাহককের মধ্যে বিয়ে ঠেকানো সম্ভব।
তাই বিয়ের আগেই বর ও কনের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেককে জানতে হবে তারা থ্যালাসেমিয়া বাহক কি না। দুজন থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে বিবাহ বন্ধ করা গেলেই থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।
এমএ/এসএন