নর্থ সাউথের আরও ২ ট্রাস্টির জামিন আবেদন
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ট্রাস্টি মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজির আহমেদ জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
বিশ্বিবদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় জামিন চেয়ে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) এই আবেদন করেন তারা।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদনের উপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী শাহ মুঞ্জুরুল হক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দুই ট্রাস্টি রেহানা রহমান এবং এম এ কাশেমের জামিন বিষয়ে রুল জারি করেছেন একই বেঞ্চ।
গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) একই আদালতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে তাদের দুজনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতে আসামিপক্ষে সেদিন শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মুঞ্জুরুল হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
আসামিদের মধ্যে চারজন আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। গত ২২ মে চার আসামিকে জামিন না দিয়ে শাহবাগ থানায় পাঠান হাইকোর্ট।
আদালতে ওইদিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও মিজান সাঈদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
হাইকোর্টের ওই আদেশের পর চারজনকে আদালতে নিয়োজিত পুলিশের কাছে সোপর্দ করে হাইকোর্ট। ২৩ মে অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টিকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালত।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন-রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)। ছয়জনের মধ্যে ওই চারজন আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর ওপর গত ২১ মে শুনানি হয়।
ওইদিন আদালত মামলাভুক্ত পক্ষগুলোকে শুনানির সারসংক্ষেপ লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ২২ মে পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। নির্ধারিত তারিখে আবেদনকারী পক্ষ সারসংক্ষেপ লিখিত আকারে জমা দিতে সময়ের আরজি জানালে আদালত ওইদিন বেলা ২টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে এবং আবেদনকারীদের নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
পরে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে চার ট্রাস্টিকে পুলিশে সোপর্দ করেন আদালত। এরপর বিচারিক আদালতে জামিন না মঞ্জুর হলে দুই আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
এমএ/এমএমএ/